*কুরবানীর মূল সত্য*
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
আরবের 👉ভূমিতে গরু নেই, গরু কুরবানী দিতে হবে এমন কোনও কোথাও লেখা বা বলা নেই।
কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের বেশির ভাগই গরু কুরবানী দেয়।
*কিন্তু কেন*❓️
আসল কথা হলো মুসলমানরা গরু কুরবানী দেয় হিন্দুদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ধর্মীয় আঘাত দিতেই।
*তার কারণ এটা গোপালের দেশ* !!
রাখাল গোপালের প্রতি যেমন শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠা হিন্দুদের রয়েছে তেমনই গোপালের গরুর প্রতিও রয়েছে।
ঋষিরা গরুকে গোধন হিসেবে বলেছে তার কারণ গরুর শিং থেকে খুর সবই সম্পদের মতো ব্যাবহার করা হয়।
গোমাতার তত্ত্ব আমি মানিনা, কারণ আমার জন্মদাত্রী মা আর গরু এক নয়।
আমি কখনোই দুজনের ছবি একসাথে টাঙ্গিয়ে রাখবনা।
তবে গরুর প্রতি আমার শ্রদ্ধা বা টান রয়েছে, তার কারণ আমি আমার মায়ের দুধের পর সব থেকে বেশি খেয়েছি এই গাভীর দুধ।
মুসলমানরাও চাষ করে গরু দিয়ে, গরুর দুধ তারাও খায়।
কিন্তু তাও তারা গরুকে কুরবানী দেয়,
তার নেপথ্যে রয়েছে তাদের এখনকার মৌলবাদী মৌলবী হুজুরের ফতোয়া।
গরু কুরবানী না দিলে কুরবানীই হবে না এরকম ফতোয়াও আমরা এখানে শুনেছি, অথচ তাদের পিঠভূমি আরবে কেউ এই কথা বলেনি।
প্রাচীন ভারতবর্ষে যখনই বিদেশী মুসলিম শাসকরা হামলা চালিয়েছে তার বেশিরভাগই লুঠপাট, হত্যা, ধর্ষণের, পাশাপাশি বিভিন্ন মন্দির ধ্বংস করে সেখানে গরুর রক্ত ছিটিয়ে তা অপবিত্র করা হয়েছে।
তার কারণ ওরা নিজেদের নয় তাদের ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালিয়ে ছিলো।
হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাভাগকে আঘাত করতেই তারা যেভাবে গরুর মাধ্যম নিতো ভারতবর্ষের মুসলিমরাও ওই একই পদ্ধতি নিচ্ছে।
বিভিন্ন সময় আমরা এখনও গরুর শরীরের নানা অংশ দিয়ে আমাদের মন্দির অপবিত্র করতে দেখি।
এটি একটি *ল্যান্ড জিহাদ* এর প্ল্যান, যেখানে এই রকম ঘটবে সেখানে হিন্দু ওদের ভয় পাবেই এবং একপর্যায়ে জায়গা জমি ছেড়ে ওইখান থেকে পালাবে।
বাস্তবিক পক্ষে হয়েছেও সেটাই, কিন্তু সেটার প্রতিরোধ কি করে করতে হবে সেটা জানার হিন্দুদের কোনও আগ্রহ নেই।
সেকথা বললে হিন্দুদের ব্রাহ্মণবাদী সমাজ রে রে করে তেড়ে আসবে।
অথচ আত্মরক্ষার সেটাই একমাত্র পথ বলে মনে করি।
ওদের (মুসলমান) যে জিনিসটার প্রতি ঘৃণা সেটা যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন প্রিয় করে তুলি তবে ল্যান্ড জিহাদ প্ল্যানকে সফল করা কঠিন হবেই, আর নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষাও হবে।
*আমরা হাঙ্গেরিতে জেহাদি রিফিউজি প্রবেশ ঠেকাতে ওদের আর্মিদের শুয়োর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে নিশ্চই দেখেছি*।
এবং হাঙ্গেরিতে জেহাদি রিফিউজি সে কারণেই প্রবেশ করতে পারেনি।
আমাদের ভারতবর্ষে মুসলমানরা গরু কুরবানী দিয়ে প্রকৃতপক্ষে 80% হিন্দুদের চ্যালেঞ্জ করে জিতে যায়।
ব্যাপারটা ঠিক এমন, এই দ্যাখ তোদের নিষিদ্ধ জিনিসকে আমরা তোদের সামনেই কেটে খাচ্ছি, তোরা মেজরিটি হওয়া সত্ত্বেও। মুসলমান দের জেতার আকাঙ্ক্ষা খুব। তাই তারা এমন করে। যেহেতু এখনও 51% হয়নি তাই সাইকোলজিক্যাল ভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিতে আগামী দিনের জন্য ওরা নিজেদের প্রস্তুত করছে।
ভারতবর্ষে যে বা যারা এসেছে সবাই লীন হয়েছে কিন্তু মুসলমান কখনোই হয়নি, আর হবেও না। কারণ ওদের ধর্মীয় তত্ত্ব অনুযায়ী এই পৃথিবী দারুল ইসলাম আর দারুল হারবে বিভক্ত, এই পৃথিবীর মানুষ কাফের ও মুমিন দুই ভাগে বিভক্ত।
দারুল হারেবকে দারুল ইসলামে রূপান্তরিত করা ওদের মূল উদ্দেশ্য এবং বিধেয়।
*হিন্দুদের এই সব জ্ঞান নেই*
*1000 বছর ইসলামিক শাসন থেকেও ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের পরেও হিন্দু ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাইল না*।
কোরআন পড়লো না।
তাই তারা ভয়ে সেকুলারিজমের গান গায়।
এই সাইকলজিক্যাল যুদ্ধে হিন্দুদের জিততে হলে শুয়োরের চেয়ে বড়ো মাধ্যম আর নেই।
*বরাহদেবের পুজা আর জীবন্ত বরাহের ফার্ম, ব্যাবসা, খাওয়া-দাওয়া করতে হবেই*।
*হিন্দুদের পাড়া গুলোতে বরাহের ফার্ম, এমনভাবে করতে হবে যাতে ওরা হিন্দুদের হিন্দুদের পাড়াতেই না ঢোকে*।
বর্তমানে যেমন আসামের অলিতে গলিতে দেখতে পাবেন, তাই অসমীয়া মেয়েদের উপর লাভ জেহাদের প্রভাব খুবই কম!
বাঙালি হিন্দুদের ক্ষেত্রে অনেকেই হয়তো আমাদের ধর্মীয় বিধানের কথা বলবে, ওদের বলবো আমাদের আদি মূল বাল্মীকি রামায়ণ পড়তে।
সেখানে রাম নিজেই বরাহ শিকারে গেছে বলা আছে।
ইসলাম আসার আগে ভারতীয় হিন্দু বরাহ খেত, ওদের শাসকরাই নিজেদের স্বার্থে আমাদের পন্ডিতদের দিয়ে ভয়ের মাধ্যমে এই বরাহের বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ তৈরি করেছে।
মৎস্যও কিন্তু অবতার, আমরা কিন্তু সেটাকেও খাই শুধু নয় বাঙালি হিন্দুদের পরিচয়টাই মাছে ভাতে বাঙালি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
তাই বরাহ অবতার হলেও আমরা খেতে পারবো।
ওদের বিরুদ্ধে সাইকলজিক্যাল যুদ্ধে জেতার এটাই মোক্ষম অস্ত্র বলে আমি মনে করি।
একবার ভেবে দেখবেন দয়া করে।
জয় শ্রীরাম 🙏🏻🙏🏻
কলমে---উত্তম ভাই।।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................