মাত্র ষাট সত্তর বছর আগেও এদেশের গ্রামের মেয়েরা ব্লাউজ পরত না।

নরসিংদী রেল স্টেশনে একটি মেয়েকে তার পোশাকের জন্য আক্রমণ করেছে কিছু মানুষ। এটি বাংলাদেশের সামাজিক ঐতিহ্য নয়, এটি ধর্মীয় সমস্যা। মাত্র ষাট সত্তর বছর আগেও এদেশের গ্রামের মেয়েরা ব্লাউজ পরত না। অবিবাহিতদের মাথায় কাপড় থাকত না। বোরখা বা ইসলামিক পর্দাও খুব কম মানুষ করত। তখনো এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান ছিলো।


দেওবন্দ মাদ্রাসাগুলি ইসলামের চেতনা নতুন করে জাগানোর লক্ষ্যে গ্রাম গঞ্জে ওয়াজ মাহফিল ও মসজিদের মাধ্যমে বিপুলভাবে মানুষকে সতর্ক করতে থাকে। এতে বিপুল সাড়া পড়ে। বদলে যেতে থাকে গ্রাম গঞ্জের চিত্র। অভাবী মানুষ মধ্যপাচ্যে শ্রম বিক্রি করতে গিয়েও ইসলামের সঙ্গে যে পরিচয় তাদের ঘটে, সেই মোতাবেক দেশে নিজ পরিবারে তার প্রতিফলন তারা ঘটাতে থাকে। ফলে অল্প বয়েসী মেয়েদের সৌদি বোরখায় ছয়লাব হতে দেখা যায়। পাড়া গায়ে মসজিদ ও মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়তে থাকে। মধ্যপাচ্যে শ্রম বিক্রির পয়সায় বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন মান বৃদ্ধি পায়। গ্রামগুলি সমৃদ্ধ হতে থাকে। পরিবারগুলিতে পুষ্টির লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। সবার গায়েই পোশাক, পায়ে সেন্ডেল। কিন্তু উলঙ্গ হতে থাকে গ্রামীণ সংস্কৃতি জীবনের। দেওবন্ধ মাদ্রাসাগুলি সরাসরি গ্রামীণ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলাফল, বাংলাদেশের একটা মফস্বল বা গ্রাম যেখানেই কোন মেয়ে ওয়েস্টার্ণ ড্রেস পরে গেলে তার নিরাপত্তা নিয়ে আপনি চিন্তিত হতে বাধ্য হবেন...।

#সুষুপ্তপাঠক
20 May 2022

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted