দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হল অথচ লোক বিনিময় হল না কেন?

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হল অথচ লোক বিনিময় হল না কেন?
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

লোক বিনিময় না করে হিন্দু মুসলমানের বিদ্বেষকে চিরস্থায়ী করার জন্যই দেশভাগ হয়েছিল।দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সমাদানের পরিবর্তে দুটি সম্প্রদায়কে ঠেলে দেয়া হয়েছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।

সংখ্যালঘু অতি প্রাচীন একটা সমস্যা।এক সময় ইউরোপেও এই সমস্যা ছিল।তখন সেখানে সংবিধান সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।সমাধান হয়েছিল সংখ্যালঘু বিনিময়ের মাধ্যমে।তুরস্ক গ্রীস বুলগেরিয়ার ইতিহাস সে কথাই বলে।ঠিক তেমনি ভারতের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মতো একটি বিধান ও পারেনি দুটি ধর্মের সহাবস্থানে। মুসলিম শাসনের ভয়াবহতা থেকে হিন্দু শিখদের রক্ষার উদ্দেশ্যে ডঃঅম্বেদকর লোক বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।পঃপাঞ্জাবে দাঙ্গার পর পাঞ্জাবকে বিভক্তের প্রস্তাব উঠেছিল।কিন্তু কংগ্রেসের কান্ডজ্ঞানহীন নেতৃত্ব সে প্রস্তাব তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সাথে বাতিল করে দিয়েছিলেন।দেশভাগের আগে পাঞ্জাবে হিন্দু হত্যা ক্যালকাটা কিলিং এবং নোয়াখালী দাঙ্গার পর মাউন্ট ব্যাটেন নেতাদের ভাবতে বলেছিলেন মুসলমানদের যদি চিরতরে তাদের স্বপ্নের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া যায়।সর্দার প্যাটেল মাউন্ট ব্যাটেনের এই যুক্তিতে প্রভাবিত হয়েছিলেন কিন্তু কিছুই করতে পারেননি।
তখন বিশাল ভারতবর্ষের পক্ষে মাত্র কয়েক কোটি হিন্দু মুসলিম বিনিময় অসম্ভব ছিলনা।গান্ধী বলেছিলেন,যিনি যে প্রদেশেই থাকুন না কেন হিন্দুই হোন বা মুসলমান অথবা অন্যকোন ধর্মে বিশ্বাসী তারা সবাই ভারতীয়।কিন্তু মুসলমান সহস্র বার সহস্র কন্ঠে ঘোষণা করেছে তারা মুসলিম ভারতীয় নন।তাদের আনুগত্য ভারতীয় কৃষ্টি সংস্কৃতিরকে কেন্দ্র করে নয় তাদের ঐতিহ্য  কোরানের নির্দেশিত পথে।মুসলমান যদি ভারতীয়ই হবে তাহলে জাতিবিদ্বেষ নিয়ে প্রতি মুহুর্তে ভারতকে অস্বস্তিতে পড়তে হতনা।যেখানে মুসলমানের দৃষ্টিতে হিন্দুরা কাফের হিন্দু বিদ্বেষ তাদের রক্তে মিশে গিয়েছে সেখানে হিন্দুদের জীবনের সুরক্ষা  নয় বিনাস তাদের বিধিলিপি।কারন একবারের জন্যও কেউ ভাবেনি দ্বিজাতিতত্ত্বের উপর ভারত বিভক্ত হলে কেন এবং কোন অধিকারে মুসলমান এদেশে থাকবে?কারণ মুসলিমরাই ছিল দেশভাগের প্রবক্তা পাকিস্তান দাবির সমর্থক।নির্বাচনে তাদের ভোটেই মুসলিম লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রস্তাব এনেছিল।কিন্তু ভারত ছাড়া মুসলিম দেশের প্রতি মুসলমানদের আনুগত্য প্রদর্শন  ইসলাম তত্ত্বের এক অভিন্ন রূপ যা থেকে তাদের পিছু হঠার কোন সুযোগ নেই।

তত্ত্বগতভাবে মুসলিম রাষ্ট্র হল ধর্মীয় রাষ্ট্র আল্লাহ হলেন সেই রাষ্ট্রের সম্রাট আর রাষ্ট্রনায়ক হলেন তার প্রতিনিধি মাত্র।ইসলামের বিধানানুসারে মুসলমানদের পবিত্র কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ আনুসারে কাফেরদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ করা যতক্ষণ না কাফেরদের দেশ ইসলামী দেশে রূপান্তরিত হয়।সারা পৃথিবীতে ইসলামের নামে যত অশান্তি তার মূলে রয়েছে আল্লাহর রাজত্ব কায়েমের সংগ্রাম।সেটি ভারতে হোক ফ্রান্সে হোক সুইডেনে হোক সর্বত্র একই আওয়াজ আল্লাহর রাজত্ব কায়েম।ভারতে যত অশান্তি তার একটাই উদ্দেশ্য ভারতকে ইসলামের তরবারির নীচে ন্যস্ত করা।ইসলামে ধর্ম ও রাজনীতি অবিচ্ছেদ্য।অন্যকোনো ধর্মে রাজনীতির সাথে ধর্মকে সংযুক্ত করেনি।দর্শনগতভাবে জগতের দুটি রূপ একটি ইহলোক অপরটি পরলোক।মানুষের ঐহিক প্রয়োজন পূরনের জন্য হল রাষ্ট্র আর পরলোক বা আধ্যাত্মিক জগতের জন্য হল ধর্ম।পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশ যাতে মানুষ সৎ ন্যায়নিষ্ঠ পরিশীলিত জীবন যাপন করতে পারে।ধর্মের মূল কথাই সেটা।কিন্তু  ইসলামের দৃষ্টিতে পরলোকে সুখ স্বাচ্ছন্দের জন্য যত অসংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন তাহাই করতে হবে এটাই নির্দেশ। তাই এত অশান্তি দাঙ্গা মারামারি। 

ভারতে মুসলমানরা রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতের নাগরিক কিন্তু নাগরিকত্বই শেষ কথা নয় জাতীয়তাবোধই হল মূল কথা।যে কেউ ইচ্ছে করলেই ইংল্যান্ডের নাগরিক হতে পারেনা।কিন্তু ভারতে পারে।এর পিছনেও রয়েছে ইসলামের আগ্রাসন।গান্ধী নেহেরু বাস্তববাদী ছিলেন না ছিলেন অনুপ্রানিত।তাই ভারত বিভাগকারী মুসলমানদের ভারতীয় বলতে তাদের দ্বিধা ছিলনা।মুসলমানদের প্রীতিভাজন হওয়ার আশায় হিন্দুদের হেয় উপেক্ষা করতে তাদের সঙ্কোচ বোধ হয়নি দেশভাগ ছিল তারই ফলশ্রুতি।এতদিন এসব ইতিহাস ছিল অন্ধকারে আজ সে সব ইতিহাস সামনে আসলেই ভারত সাম্প্রদায়িক দেশ।তাহলে এতদিন যেভাবে ভারতে হিন্দু হিন্দুত্বকে পদদলিত করে ভারতকে একটি তোষামোদি রাষ্ট্রে পরিনত করে রেখেছিল সেটাই বুঝি ছিল অসাম্প্রদায়িক ভারত।যেখানে নাগরিক হিসাবে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের তাদের ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল?অতীতের ভুলের উপর দাড়িয়ে এখনকার ভারতে হিন্দু-জাগরণে জোয়ার এসেছে। তাই দেখে প্রতিমুহূর্তে ভারত বিদ্বেষীরা নতুন কৌশলে ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চায়।সাবধান ভারতবাসী সামনে আরও অনেক পথ চলা বাকী।ঐক্যবদ্ধ ভারতকে পদানত করা সহজ নয় দুর্বৃত্তরা সেটা প্রতি পদক্ষেপে বুঝতে পাচ্ছে।তাই এখনই সময় গর্জে উঠার।
    জয় শ্রী রাম 
জয় হিন্দু রাষ্ট্র

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted