অনাদিকাল ধরেই ভারতে হিন্দু সভ্যতা অটুট ছিল আছে থাকবে।

অনাদিকাল ধরেই ভারতে হিন্দু সভ্যতা অটুট ছিল আছে থাকবে।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

হরিদ্বার থেকে কলকাতা আসতে গঙ্গায় অনেক নদী ও নর্দমার জল এসে মিশেছে  তাতে গঙ্গার পবিত্রতা বিন্দুমাত্র নস্ট হয়নি।গঙ্গা গঙ্গাই রয়ে গিয়েছে।সৃষ্টির আদি থেকেই ভারত হিন্দুদের দেশ।তাই হিন্দুত্বের শিকড় থেকে কেউ হিন্দুদের আলাদা করতে পারেনি।দেশভাগের পর থেকে নিরন্তর চেষ্টা হয়েছে হিন্দুত্বের পরম্পরা থেকে ভারতকে আলাদা করতে।কিন্তু পারেনি এখনো চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ভারত এখনো একটি মহান দেশ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ভারতে চলে আসতে পারেন কারন ভারত হিন্দুদের মাতৃভূমি। সমস্ত হিন্দুর শিকড় এই ভারতবর্ষে।কারন সৃষ্টির আদি থেকেই ভারত হিন্দুর দেশ হিসাবে স্বীকৃত।কিন্তু একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ ও হিন্দুদের একটি অংশ এবং বামেরা মনে করে ভারতে হিন্দু হিন্দুত্ব বিকাশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। তাই যতই হিন্দু সভ্যতা জেগে উঠছে ততই তারা ভারত একটি অসহিষ্ণু দেশ বলে দেশে-বিদেশে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে।

ইতিমধ্যে গুজরাট এবং উত্তরাখন্ডে পাঠ্যপুস্তকে গীতা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেই দেশে বসবাসরত মানুষদের শত্রু ভাবতে শিক্ষা দেয় বা সেদেশ গাজোয়াতুল হিন্দের নামে দখল করার শিক্ষা দেয় সেদেশে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন থাকবে।তাই অসমে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে সেখানে সাধারণ স্কুল খোলা হয়েছে। ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনঃনির্মিত হয়েছে,রামমন্দির নির্মানে সারা বিশ্বব্যাপী ভক্তদের মধ্যে বাধভাঙ্গা উচ্ছাস,জাতীয় শিক্ষানীতিতে আমূল-পরিবর্তন হয়েছে,দিল্লি বোর্ডের পাঠক্রমে ইসলামের ঘৃণার ইতিহাসের অংশ বাদ পড়ায় কি সংশ্লিষ্ট মহল হতাশ হয়ে বলছেন যে ভারতে মুসলমানরা নিরাপদ নয়?নাকি ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথে আতঙ্কিত হয়ে বলছেন ভারত একটি অসহিষ্ণু রাষ্ট্র? এসবই আইন মেনে করা হয়েছে।ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হিন্দু সভ্যতাকে ভারতের পরম্পরা হিসাবে মর্যাদা দেয়।

হিন্দুর শক্তি বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদ্রোহি ছাড়া অন্য কারো আতঙ্কিত হবার কোন কারন নেই।হিন্দু কারো মসজিদ ভেঙেছে,গীর্জা ভেঙেছে ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই।বাবরি মসজিদ সরিয়ে সেখানে রাম মন্দির স্থাপন ছিল হিন্দুদের দখলিকৃত পরম্পরাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।সৃষ্টির আদি থেকেই হিন্দু একটি শৃঙখলিত জাতি হিসাবে পরিচিত।বেদ পুরানে হিন্দু সংস্কৃতি জীবন ধারা সামাজিক পরম্পরা এবং অন্য জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে আচরণ পদ্ধতি নির্ধারিত রয়েছে।সেখানে কোন ধর্মের আচার অনুষ্ঠানকে হেয় করার কথা বলা নেই।কিন্তু এটি হিন্দু ধর্মের দুর্বলতা নয় বরং মহানুভবতা।কিন্তু এই মহানুভবতা নিয়ে একটি সম্প্রদায় দিনদিন তাদের ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাচ্ছে।ভারতকে তারা বিশ্বের দরবারে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়।তারা এদেশের খায় এদেশের পড়ে বিদেশ থেকে তাদের টাকা আসে তার বিনিময়ে তারা মানবাধিকারের নামে অসহিষ্ণুতার নামে ভারতকে হেয় করতে চায়।অথচ এরাই কিন্তু ২৬/১১ মুম্বাই জঙ্গি হামলা,২০০১ সনে ভারতীয় লোকসভায় জঙ্গি আক্রমনের সময় নীরব ছিল। আজও একটি হিন্দু নারী অপহৃত হলে,হিন্দু মন্দির ধ্বংস হলে হিন্দু ধর্মীয় শোভাযাত্রা আক্রান্ত হলে মুসলমানদের কোন প্রতিবাদ নেই নীরবে সমর্থন করে।নব্বইয়ের দশকে বিশিষ্ট কাশ্মীরী শিক্ষাবিদ সর্বানন্দ কাউল যে কপালে তিলক পড়তেন সে কপালে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক ঠুকে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।এসব কিছুই কিন্তু ঘটেছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মাটিতে।দিল্লির ক্ষমতায় তখন ছিল তাদেরই প্রিয় জাতীয় কংগ্রেস।ভারতবাসী এসব ভুলে যায়নি বরং এথেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতীয় সভ্যতা নব দিগন্তে প্রদার্পন করছে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যদি অসহিষ্ণুতা হয় তাহলে যারা এই শাসনে খুশি নন তাদের এদেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার নেই।কারন দেশ চলবে আইন মেনে মানবাধিকারের ভিত্তিতে কোন গায়েবি অনুশাসনে নয়।দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা যদি অসহিষ্ণুতা হয়,দিল্লিতে মসজিদের সামনে দিয়ে ধর্মীয় শোভাযাত্রা গেলে যদি অসহিষ্ণুতা হয় তারজন্য শোভাযাত্রা আক্রান্ত যদি সহিষ্ণুতা হয়,হত্যা ধর্ষনের মতো অপরাধিদের আত্মসমর্পনে বুলডোজার যদি ফলপ্রসু হয় সেইজন্য যদি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সে দায় রাষ্ট্রের নয় অভিযুক্ত সম্প্রদায়ের।কারন দেশের মোট জনসংখ্যার ১৪.২% মুসলিম।দেশজুড়ে জেলবন্দি মুসলমান অপরাধীর সংখ্যা ১৮.৭%।দিন যতই যাচ্ছে মুসলিম অপরাধীর সংখ্যা ততই বাড়ছে।

মসজিদে মাইক ব্যবহার ইসলাম ধর্মের কোন বিধান নয়।পৃথিবীর সভ্যদেশে মসজিদে মাইক ব্যবহারে বিধিনিষেধ রয়েছে এমনকি ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল সৌদি আরবেও বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে।কিন্তু ভারতে মসজিদে মাইকে আযানের নামে সাধারণ মানুষের বিরক্ত করে বুঝাতে হবে ইসলাম পৃথিবীর সেরা ধর্ম।এনিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাইক ব্যবহার নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে,কোন ধর্মই এটা শিখায় না যে প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে।সেক্ষেত্রে যদি কোন ধর্মীয় আচার থেকে থাকে তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যদের বিরক্তির উদ্রেক না হয়।

সুপ্রিমকোর্ট বলেছে,সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু সেই ধর্মাচারনের ফলে অন্য কারোর অসুবিধা করার অধিকার কারও নেই।হিজাব বিতর্ক ইসলামের অত্যাবশকীয় কোন বিধান নয়।রাস্তাঘাট বাজার-বন্দরে যে কেউ হিজাব-বোরকা পরতে পারবে কিন্তু সংবিধিবদ্ধ এলাকা এবং প্রতিষ্ঠানে পরতে পারবে না।স্কুল কলেজ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুলিশ বিভিন্ন বাহিনী ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান যেখানে পোশাকবিধি রয়েছে সেখানে হিজাব পরা যাবে না।কিন্তু ভারতে এই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে প্রচলিত আইনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ যা ইসলাম শিক্ষা দেয়।

সারা পৃথিবীতেই মুসলমানদের মধ্যে একটি প্রবনতা দেখা দিয়েছে ব্যস্ততম রাস্তাঘাট আটকিয়ে নামাজ পড়া।এটিও ইসলামের বিধান নয় কিন্তু এক শ্রেনীর মুসলিম ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত করার জন্য এই কাজটি করে যাচ্ছে।কোন ধর্মই জোর করে মানুষের অসুবিধা করে ধর্ম পালন করার কথা বলেনি ব্যতিক্রম একমাত্র ইসলাম।এবারের ঈদে রাজস্থানে এনিয়ে অশান্তি হয়েছে কিন্তু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এবারই প্রথম উত্তর প্রদেশে কোন মুসলিম রাস্তা বন্ধ করে নামাজ পড়েনি এবং কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি সম্ভবত বুলডোজারের কার্যকারিতা এখানেই সফল।

লাভ জিহাদের প্রলোভনে পড়ে হিন্দু মেয়েরা প্রতারিত লাঞ্চিত নির্যাতিত সর্বোপরি হত্যার ঘটনার পর লাভ জিহাদ প্রতিরোধ আইন করা হয়েছে উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানায়।আজও একটি হিন্দু মেয়ে মুসলমান দ্বারা অপহৃত হলে কোন মুসলমান তার প্রতিবাদ করে না।একজন বাবা কতটুকু অধৈর্য হলে তার মেয়েকে একজন মুসলিম অপহরনের পর ধর্ষন করেলে আদালতের সামনে তাকে গুলি করতে পারে!!

তাই ভারত অসহিষ্ণুতার নামে পথ হারাবে না।হিন্দুত্বই হল প্রকৃত ধর্ম।পৃথিবীর বেশির ভাগ ধর্মের লোকেরাই হিন্দুদের উত্তরসূরি।পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই উপমহাদেশের সবাই হিন্দুদের বংশধর ছিল।হিন্দুত্বের কোন শেষ নেই এ এক অনন্ত দিগন্ত যার বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে এর শেষ দেখা যায়না।অনাদিকাল ধরেই ভারতে হিন্দু সভ্যতা অটুট ছিল আছে থাকবে শত চেষ্টা করেও এই সভ্যতার উপর কালিমা লেপন করা যাবে না।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted