বাম-কংগ্রেস জেহাদিদের দিয়ে ভারতে খেলাফত কায়েম করতে চায়।

বাম-কংগ্রেস জেহাদিদের দিয়ে ভারতে খেলাফত কায়েম করতে চায়।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন চার বছর পর এরা হবে বিজেপির ক্যাডার আর বাম কংগ্রেস বলছে এরা হবে আরএসএস এর সহযোগী। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় সেনাকে আধুনিকীকরণের স্বার্থেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এই প্রকল্পের কোন বিকল্প নেই।বর্তমানে ভারতীয় সেনার গড় বয়স ৩২।অগ্নিপথ প্রকল্প কার্যকর হলে এক ধাক্কায় হবে ২৬।বিশ্বের বহুদেশে এই অগ্নিপথের মতো পদ্ধতিতেই সেনায় নিয়োগের ব্যবস্থা রয়েছে।মার্কিন সেনাবাহিনীতেও এই অস্থায়ী পদ্ধতি রয়েছে।সেখানেও ৪ বছরের জন্যই নিয়োগ দেয়া হয় পরবর্তীতে প্রয়োজনে আরো ৪বছর বাড়ানো হয়।অবসরের পরও তারা পূর্ন মেয়াদের জন্য চাকরির আবেদন করতে পারে।কিন্তু পঃবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অগ্নিবীরেদের চাকুরির বয়স হতে হবে ৬০/৬৫ বছর।একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানেন না সেনাবাহিনীর জোয়ানরা কত বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন।অর্থাৎ দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে উস্কে দিয়ে ট্রেন বাস পুড়িয়ে রাস্তা অবরোধ করিয়ে এই প্রকল্প বাতিল করাই মূল উদ্দেশ্য যেভাবে সিএএ আইন পাশের পর সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নাগরিকত্ব আইনকে স্থগিত করার চেষ্টা হয়েছিল।

কিন্তু সেনাবাহিনীর ৩ প্রধান বলে দিয়েছেন যারা হিংসাত্মক ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের বাহিনীতে নিয়োগ নয়।প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানিয়েছে যারা চাকুরীপ্রার্থী তাদের প্রমাণ দিতে হবে যে তারা কোন হিংসা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন না।

এই পদ্ধতি কার্যকর করে চিনারা এখন সারা পৃথিবীতে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীতে পরিনত হয়েছে।প্রতিবছর চিনা সেনায় সাড়ে ৪ লক্ষ নিয়োগ দেয়া হয় এভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে।সেখানে নিয়োগ হয় মাত্র ২ বছরের জন্য এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ৪০ দিনের।পরবর্তীতে তাদের মধ্যে থেকেই পূর্ন মেয়াদে সেনায় নিয়োগ দেয়া হয়।২ বছর পর অবসরের পর তাদের কম সুদে ঋন দেয়া হয়।একই ভাবে রুশ সেনায় দেয়া হয় ১ বছরের ট্রেনিং।তারপর নিয়োগ দেয়া হয় ১ বছরের জন্য।তারপর এদের মধ্যে থেকেই পূর্নমেয়াদের জন্য বাছাই করে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।ইসরাইলে প্রতি পরিবার থেকে কমপক্ষে ১ জনকে বাধ্যতামূলক সেনায় যোগ দিতে হয়।যুবকদের ৩২ মাস আর মেয়েদের ২৪ মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।তারপর তাদের রিজার্ভে রাখা হয় প্রয়োজনে যেকোনো সময় তাদের কাজে লাগানো হয়।তাদের মধ্যে থেকেই ১০% কে সেনায় পাকাপাকি নিয়োগ দেয়া হয় এবং ৭ বছর থাকে ওদের চাকরির মেয়াদ।

সারা বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ভারতকে টেনে ধরার পিছনে রয়েছে বাম কংগ্রেসের পুরনো ছক।যেভাবে তারা দেশভাগের পর ভারতকে তোষামুদের রাজত্বে পরিনত করে ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছিল ঠিক একই কায়দায় তারা আবার দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়।এই প্রশিক্ষণ যে একটা জাতিকে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্বীপ্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাতে যে তাদের কায়েমি স্বার্থে আঘাত লাগবে।তাই এই প্রশিক্ষণ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হল মাদ্রাসার ট্রেনিং।যে ট্রেনিং ভারতকে গাজোয়াতুল হিন্দের মুখোমুখি করবে সে ট্রেনিং তাদের কাছে খুব প্রিয়।দেশভাগের পর থেকে চলছে এই ট্রেনিং যা আজও অব্যাহত রয়েছে।৩৩ হাজার মাদ্রাসা আর ৩০ লক্ষ মসজিদের দেশ ভারত।স্বাধীনতার পর ভারতে বহু নামি-দামি ইসলামী রিসার্চ সেন্টার গড়ে উঠেছে।এই রিসার্চ সেন্টারগুলো হল জেহাদি তৈরির কারখানা।এই উপমহাদেশের বহু জেহাদি আলেম-উলেমা ভারতীয় ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত।এদের সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোন কংগ্রেসী বা বামেরা একটি কথাও উচ্চারণ করেনি।

মাদ্রাসা শিক্ষার নামে ভারতে চলছে জেহাদের প্রস্তুতি।গত বছর উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের শেরকোটা এলাকার দারুল হামিদিয়া মাদ্রাসা থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।গত ২ বছর আগে ইসলামী জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় শ্রীলঙ্কায় ৩০০ এর অধিক নিরিহ মানুষ হত্যার পর বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকেও অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল।এবার ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্র।ধর্মীয় শিক্ষার আড়ালে দেশের মাদ্রাসা গুলো হয়ে উঠেছে নিরাপদ জঙ্গি শিবির।ভারতের লোকসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে বলেছেন পঃবঙ্গের সীমান্ত বর্তী মাদ্রাসা গুলোতে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ।এ নিয়ে পঃবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোন হেলদোল লক্ষ করা যাচ্ছে না।

মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিক শিক্ষার কোন মাফকাঠি নয়।এই শিক্ষার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই,কারিগরি দিক নেই,চিকিৎসার মত মানুষের অতি জরুরী শিক্ষার কোন ব্যাবস্থা নেই।এই শিক্ষা কেবল মানুষকে বিদ্বেষ শিখায়,বিভাজনে উৎসাহিত করে।বলা হয় শান্তির ধর্ম কিন্ত সারা পৃথিবীতে অশান্তির মূল উৎস ইসলাম।তাই এই শিক্ষার দরকার নেই।দেওবন্দের মতো ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করে সেখানে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে মানবজাতির কল্যানে গড়ে উঠুক ঐক্যমত্য।চাইনা এমন শিক্ষা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মের নামে মানুষ মারার শিক্ষা দেয়া হয়।চাইনা এমন শিক্ষা যে শিক্ষার বানীতে বলা হয়েছে,-"তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক,যতক্ষণ না (তাদের) ধর্মদ্রোহিতা দূর হয় এবং আল্লাহর দীন ধর্ম প্রতিষ্ঠিত না হয়।-- - - (সুরা -২আয়াত--১৯৩)। যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না এবং সত্য ধর্ম অনুসরণ করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বেচ্ছায় জিজিয়া দেয়।-- (সুরা-৯ আয়াত-২৯)।অভিযানে বের হয়ে পড় লঘু রন সম্ভার হোক, অথবা গুরু রন সম্ভার হোক,এবং তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর।---(সুরা--৯ আয়াত-- ৪১)।
কোরানে বলা হয়েছে, ইসলাম হল একমাত্র সত্য ধর্ম। অন্য সকল ধর্ম মিথ্যা।যারা আল্লাহ ও মহন্মদে বিশ্বাস করে না তারা হল অবিশ্বাসী,অংশীবাদী,
কাফের,ও সত্য প্রত্যাখ্যানকারী।মুসলমানের যে সকল কাজ অমুসলমানদের নিকট অনৈতিক,নির্মম, অমানবিক বলে বিবেচিত হয় তাও কোরান অনুমোদিত। এ শিক্ষা চাই না।মাদ্রাসা শিক্ষার বিলুপ্তি চাই মানবিক ধর্মের বিকাশ চাই।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted