আজ জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে আজ আমরা পেয়েছি প্রায় ১৩ বিলিয়ন বছর পূর্বের মহাবিশ্বের একটি অংশের ছবি। অথচ আজ থেকে ২ হাজার বছর আগেও বিশ্বের একটি বড় অংশ ভাবত জগতের বয়স মাত্র ৬০০০ বছর। তারা বিশ্বাস করত সৃষ্টিকর্তা নাকি মাত্র ৬ দিনে সমগ্র মহাবিশ্ব তৈরী করেছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল উন্নত বৈদিক সভ্যতা। একমাত্র বৈদিক সভ্যতাতেই বিশ্বাস করা হতো পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪.৩২ বিলিয়ন বছর যেখানে বিজ্ঞানও আজ বলছে পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর। যেখানে অন্যান্য আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের রিলিজিয়নগুলোর কল্পনার সীমা ছিল মাত্র ৬ হাজার বছর সেখানে বৈদিক ধর্ম জানত কত প্রাচীন ও কত অসীম এই মহাবিশ্ব।
আজকে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো এই ছবিটি দেখুন। এই একটি ছবিতেই ধরা পড়েছে আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ে(আকাশগঙ্গা) সহ অনোকগুলো ছায়াপথ। প্রতিটি ছায়াপথেই রয়েছে শতকোটি গ্রহনক্ষত্র, সৌরজগত। তাহলো এই ছবির মধ্যেই কত হাজার কোটি গ্রহ-নক্ষত্র রয়েছে ভেবে দেখুন অর্থাৎ কী বিশাল আয়তন! অথচ এই ছবিটি মহাবিশ্বের কতটুকু জানেন কি? হাতের তর্জনীর উপর একটি বালুর কণা রেখে সম্পূর্ণ বাহুটিকে আকাশের দিকে যদি প্রসারিত করেন তবে বালুর কণাটি আকাশের যেটুকু স্থান ঢেকে রাখবে, মহাশূন্যের ঠিক সেটুকু স্থানের একটি ছবি তুলেছে নাসার জেমস টি ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ! তাহলে ভেবে দেখুন সম্পূর্ণ মহাশূন্য আরও কত বিশাল বড়! আমাদের কল্পনারও অনেক অনেক বাইরে, যা আমাদের পক্ষে পরিমাপ করাই সম্ভব নয়, এতই বড় আমাদের এই মহাবিশ্ব।
পবিত্র বেদেও মহাবিশ্বকে অমিত বা পরিমাপ করা যায়না এমনটা বলা হয়েছে-
সহোভির্বিশ্বং পরি চক্রসু রজঃ পূর্বা ধামান্যমিতা...
(ঋগ্বেদ ১০.৫৬.৫)
অর্থাৎ আত্মাসমূহের পরিক্রমণীয় এই বিশ্বধাম অমিত(ধামানি অমিত), যার পরিমাপ করা যায়না এতই সুবিশাল।
আর সেই অমিত মহাবিশ্বের বালিসম বিন্দুর ন্যায় একটি অংশের ছবিই বিজ্ঞানীদের অসামান্য মেধা ও পরিশ্রমের ফলে আজ আমাদের হাতে যাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি ১৩০০ কোটি বছর আগের এই ছায়াপথগুলোর অবস্থান। এভাবেই মানুষ মেধা ও যোগ্যতাবলে পেরোচ্ছে একের পর এক ধাপ, অতিক্রম করছে সকল বাঁধা। সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক বৈদিক শাস্ত্রের ভাষায়-
চরৈবতি চরৈবতি
এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................