কোরান / হাদিস নিয়ে বন্ধুর কাছে খোলা চিঠি
+++++++++++++++++++++++++++
লন্ডন থেকে আমার এক বন্ধু গোলাম আলী আমাকে মেসেঞ্জারে লিখেছেন কোন মন্দিরে হা*ম*লা তো বহুদূর, মূর্তিকে গালি দেওয়া পর্যন্ত ইসলামে নিষেধ করেছে।
সে যাকিছু আমাকে মেসেঞ্জারে পাঠিয়েছে সবই হাদিসের কথা !
যেমন রহমতের নবী [ﷺ] ) বলেন, ‘
কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ [ﷺ] ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব। ’
(সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২)
মানবজাতি সহ সমগ্র সৃষ্টি জগতের দয়ার [ﷺ] আরও বলেন, ‘
অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। ’
(সহিহ বোখারি : ৩১৬৬)
নবী সা: বলেন,
যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের পর কোনো মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভেঙে ফেলবে না।
(মুসান্নাফ আবি শায়বা : ৩৩৮০৪)
মুহাম্মদ (সা.) আরও বলেন,
যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। (সুনানে আবু দাউদ : ৫১২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, একদিন এক বেদুইন দাঁড়িয়ে মসজিদে প্রস্রাব শুরু করল। উপস্থিত লোকজন দেখে তাকে বাধা দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ [ﷺ] তাদের বললেন, ওকে ছেড়ে দাও। ওর প্রস্রাব শেষ হলে এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ো।
এটা রাসূল ([ﷺ] -এর সামনে জঘন্য অপরাধ ছিলো না। রাসূল [ﷺ] কি তার গর্দান ফেলে দিয়েছেন? না। তা করেননি বরং তিনি বলেছেন—
‘নিশ্চিতভাবে জেনে রেখো, তোমাদের ( মুসলমানদের) সহজ ও বিনয়ী আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, চরম-কঠোরতা বা উগ্রতার জন্য পাঠানো হয়নি।’ (বোখারি শরিফ, পৃ. ২২০)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ [ﷺ] সাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠী সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫১২৩)
******************************************
উপরের লিখাগুলো সবই হাদিসের কথা ! এখন আমরা দেখবো কোরানে কি লিখা আছে ?
গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন।
কুরআন ৪৮ঃ১৬
-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
কোরআন ২-১৯১
-যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
কোরআন ৮-১২
-অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
কোরআন ৯-৫
সূরা আল বাক্বারাহ:২১৬ যুদ্ধ করে ইসলামকে ঠিয়ে রাখতে হবে।
সূরা আন নিসা:১০১ – কাফেররা হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু দোস্মন ।
সূরা আল আহযাব:৫৭ – যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অবমাননা করে তাদেরকে আল্যা অভিশাপ করেছে আর অভিশাপ্তকে হত্যা কর। সূরা আল আহযাব:৬১ – অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।
সূরা আল-আনফাল:১২ – কাফেরদেরকে হত্যা করে মুসলমানের আত্মা শান্তি কর। গর্দান মার হত্যা কর জোড়ায় জোড়ায়
সুরা মুহাম্মহ ৪ কাফেরদের বন্দি কর শক্ত করে বেধে পেলো। তাদের অনুগ্রহ কর না । মুক্তিপণ লও পরে হত্যা করে পেলো ।
সূরা আত তাওবাহ:১১১ – আল্লাহ বিক্রি করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর কাফেরকে হত্যা করে ও নিজেরা মরে।
সূরা আত তাওবাহ:২৯ – তোমরা যুদ্ধ কর তাদের সাথে জারা ইসলাম কবুল করেনা এবং হত্যা কর।
সূরা আত তাওবাহ:৫ – অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং ইসলাম কবুল করলে তাদের পথ ছেড়ে দাও।
সূরা বাইয়্যিনাহ:৬ – অমুসলিমরা হচ্ছে নিকৃষ্ট প্রাণি জঘন্য।
সূরা আল মায়েদাহ:৬০ – তোমরা অমুসলিমদের সাথে জঘন্য ব্যাবহার কর। তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।
সূরা আম্বিয়া:২৩ – আল্যা ও রাসুলকে প্রশ্ন করা যাবে না।
প্রিয় বন্ধু গোলাম আলী ! লন্ডন থেকে হাদিসের সুন্দর উপদেশ দিয়েছো ! কিন্তু কোরানের সাথে তার কোন মিল নাই ! কোরান বলেছে ঠিক তার উল্টো কথা !
এখন আমি কোনটা বিশ্বাস করি ?
সূরা আম্বিয়া : ২৩ আমাকে সতর্ক করে দিয়েছে প্রশ্ন না করার জন্য , তাই কোন প্রশ্ন না করেই ধরে নিলাম ! কোরানই সত্য কথা লিখেছে !
আপনি কি বলেন ? হ
শুভ রাত্রি .....
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................