-আর্মি হেড কোয়াটারে কি যে কেউ চাইলেই প্রবেশ করতে পারে? মক্কা হচ্ছে মুসলমানদের সেই হেড কোয়াটার যেখানে চাইলেই কোন অমুসলিম প্রবেশ করতে পারবে না। প্রবেশ করতে হলে কলেমা পড়ে মুসলমান হতে হবে- বুঝলেন?
-বুঝেছি। জাকির নায়েক না থাকলে আপনাদের চাপার দৌড় কই থাকত ভাবছি! ঠিক আছে, আপনাকে আমি সমর্থন করবো যখন কাশি বেনারস থেকে মুসলমানদের বের করে দেয়া হবে এবং সেখানকার মসজিদগুলি উঠিয়ে দেয়া হবে। কারণ হিন্দু বিশ্বাস মতে এই নগরীগুলি হচ্ছে দেবালয়। কাজেই এটাও তো সংরক্ষিত এলাকা। এখানে প্রবেশ করতে হলে হিন্দু হতে হবে- কি এক মত? একইভাবে জেরুজালেম থেকেও আল আকসা মসিজদ উঠিয়ে দিতে হবে। জেরুজালেম হচ্ছে ইহুদীদের তীর্থ। এখানে মুসলমানদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। জেরুজালেমে ঢিল ছোড়া, হাঙ্গামা, আগুন লাগিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের তো আরো আগে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। ইহুদীদের ‘আর্মি হেড কোয়াটার’ কেন বারবার নামাজ পড়ার ছলে আক্রান্ত হবে?
-আপনি জানেন না যে হযরত আদম থেকে শুরু করে সব নবীই মুসলমান ছিলো। তাদের একটাই ধর্ম ছিলো ইসলাম। কাজেই জেরুজালেম ইহুদীদের এটা হাস্যকর দাবী! এই কাশিফাসিও মুসলমানদের!
-বাহ তাহলে তো ইহুদীদেরও হজ করতে সুযোগ করে দিতে হবে! হিন্দুরা কাবার চারপাশে সাতবার পাক দিবে যেমনটা এখন তারা ভারতের বহু পুরোনো মন্দিরের চারপাশে দিয়ে থাকে। যেহেতু সব নবীই মুসলমান আর তারা ইসলাম ধর্মই প্রচার করেছে তার মানে মক্কাতে ‘অমুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ’ কথাটাই হাস্যকর!
-আরে মিয়া তারা তো তাদের ধর্ম বিকৃত করে ফেলছে! এই কারণে তারা অমুসলিম তাই তাদের মক্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ!
-আরে ভাই কন কি? তাইলে ৮০ পারা কুরআনের মালিক শিয়াদের কিভাবে মক্কায় প্রবেশ করতে দেন? যেখানে সুন্নীদের ৩০ পারা কুরআন, নামাজেও শিয়ারা ভিন্ন, তারা পড়ে তিন ওয়াক্ত নামাজ, আপনারা সুন্নিরা পড়েন পাঁচ ওয়াক্ত। আপনাদের যুক্তি অনুযায়ী এবং দাবীও করেন যে শিয়ারা কাফের! তাহলে তারা তো মক্কাতে প্রবেশ করতে পারবে না- কথা বলেন ঠিক না!
-এ্যাঁ... হুম... ওগুলি অন্য প্রসঙ্গ...
-আরেকটা কথা বলি, যদি সমস্ত নবীই মুসলমান হয়ে থাকে আর তারা ইসলাম প্রচার করে থাকে তাহলে যে কাবাঘর এখন মুসলমানদের প্রধান তীর্থ যেটা ইহুদীদের নবী আব্রাহাম তৈরি করেছে বলে মুসলমানরা দাবী করে সেই কাবাঘর হতো ইহুদীদের প্রধান তীর্থ! কারণ এটা আব্রাহাম তৈরি করেছে। কিন্তু ইহুদী খ্রিস্টানদের হাজার বছরের ইতিহাসে কাবাঘরের কোন উল্লেখ নাই। ইহুদী খ্রিস্টান ধর্মের জন্মও কিন্তু আরব দেশে। ইব্রাহিম এই কাবাঘর তৈরি করলে ইহুদীরা এখানে হজ করতে আসত। যীশুও হজ করত। কিন্তু তারা কেউ আসে নাই। যখন ইহুদী খ্রিস্টান ধর্মটি জন্ম নিয়েছে তখন আবরের কুরাইশরা পৌত্তলিক ধর্ম পালন করত। তাদেরই হজ ছিলো। খুবই অনুল্লখ্য একটি ধর্ম ছিলো প্যাগনদের। সেমিটিক জাতিগুলি (ইহুদী) প্যাগন পৌত্তলিকদের গোণায় ধরত না। মাথাও ঘামাত না। আরবে হাজার হাজার বছর ধরে ইহুদী পৌত্তলিক তবু শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করেছে। আর কিছু বলব?
-বললাম তো ওরা ওদের ধর্ম বিকৃত করে ফেলেছে!
-কাবাঘরকে বিকৃত করে বাদ দিলে ইহুদীদের কি লাভ? হজ থেকে কুরাইশরা টাকা পেতো। ইহুদীদের হাতেই তো কাবাঘর থাকত যদি এটা আব্রাহাম তৈরি করত। তাছাড়া ইহুদীরা তাদের ধর্ম বিকৃত করে ফেলেছে তার প্রমাণ কি? তাওরাতের প্রাচীনতম কপি জাদুঘরে রক্ষিত আছে। সেখান থেকে দেথান তো সেখানে কাবাঘরের কথা আছে কিনা? দেখাতে পারবেন? জাকির নায়েকের বিষ্ঠা আর কত খাবেন? মাথাটা ঘামান একটু!
-সুষুপ্ত পাঠক
23 July 2022
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................