এখনই সময় যুদ্ধে যাওয়ার হিন্দু ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
যে জাতি তার ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভুলে যায় তার বিনাস নিশ্চিত।ইতিহাসে সেই সকল ঘটনার প্রাধান্য থাকা উচিত দেশ ও জাতির জীবনে যার প্রভাব ছিল সুগভীর।কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় দেশভাগের পর থেকে একটি চিহ্নিত মহল অত্যন্ত সুকৌশলে ভারতের ইতিহাস ঐতিহ্য পরম্পরা শিক্ষা সংস্কৃতি মুছে ফেলার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।আর এর পিছনে ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।দেশভাগের পর থেকেই সরকারি উদ্যোগে ইতিহাস বিকৃতি শুরু করেছিল জাতীয় কংগ্রেস।মুসলিম অত্যাচারের ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে বলা হয়েছিল প্রজাহিতৈষী মুসলিম শাসকগন নাকি কোন হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেনি তাদের নাকি ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ছিল।ভারতবর্ষে মুসলিম শাসন প্রকৃতপক্ষে বিদেশি শাসন ছিল না।কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ডঃতারাচাঁদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের সেক্রেটারি প্রনীত ভারতের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে লেখা হয়েছে ভারতবর্ষের পরাধীনতা ছিল মাত্র দুইশত বৎসরের।অর্থাৎ ইংরেজি শাসনেই ভারতবর্ষ পরাধীন ছিল মুসলিম শাসনে নয়।সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রনীত ইতিহাসের লক্ষই ছিল মিথ্যা মোহজাল সৃষ্টি করে জনমানস থেকে অতীতকে মুছে ফেলা।মিথ্যা ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে রচনা করে দেশকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল হত্যা-ধর্ষণ নির্যাতন আর নিপীড়নের অন্ধকার জগতে।
অতীতের শিক্ষাই হবে ভবিষ্যতের দিশারি।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় মধ্যযুগের ভারত-ইতিহাস প্রনয়নে এই স্বীকৃত মানদন্ডকে অস্বীকার করা হয়েছে।আকবর-বাবর-বখতিয়ার খিলজি-ঔরঙ্গজেব-তৈমুরলঙ-টিপুসুলতান-শাহজাহানের মতো কোটি কোটি হিন্দু হত্যাকারী মন্দির ধ্বংসকারী সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ধ্বংসকারীদের ভারতের ইতিহাসের পাঠ্যবইয়ে তাদের বীরত্ব মহত্ব বর্নিত হয়েছে গর্বের সাথে।অথচ হর্ষ বর্ধন,পৃথ্বীরাজ চৌহান,সম্রাট অশোক,মহারানা প্রতাবের নাম ছিল অজ্ঞাতে অন্ধকারে ।তাদের বীরত্ব গৌরব গাথা নিয়ে কোন ইতিহাস নেই।অথচ এরাই হিন্দু সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দু ঐতিহ্য পরম্পরাকে রক্ষার জন্য গড়ে তুলেছিলেন প্রতিরোধ।এতদিন এইসব বীরেদের বীরত্বগাথা ছিল পর্দার অন্তরালে।
মুসলিম শাসন অবসানে শিখ রাজপুত মারাঠাদের যে অসীম সাহসী ভূমিকা ছিল সে ইতিহাস ভারতের ইতিহাসে দেখানো হয়েছে কৃষক বিদ্রোহরূপে। মুসলমানরা অতি সহজেই ভারত জয় করেছিল এ কথা ঠিক নয়।৬৩৬খৃষ্টাব্দে উসমানের ভারত আক্রমণ থেকে শুরু করে ১৭৬১ সালে আহমদ শাহ আব্দালির ভারত অভিযান এই এগারশ বছর মুসলমান ধারাবাহিকভাবে ভারত আক্রমণ করেছে।কিন্তু কোন সময়ই মুসলমানরা সমগ্র ভারতবর্ষ জয় করতে পারেনি।বিদেশি মুসলমান আক্রমণকারীরা যখন ভারতে আসে তখন ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৬০কোটি।এই ৬০কোটি হিন্দু কাফেরের সামনেও তখন দুটো রাস্তা খোলা ছিল হয় ইসলাম নয় মৃত্যু।কিন্তু মুসকিল হল মুসলমানরা কোটি কোটি হিন্দুকে হত্যা করল বটে কিন্তু তাদের মুসলমান করতে পারেনি।তাই ১১শ বছর রাজত্ব করে তারা দেশের মাত্র ১১শতাংশ হিন্দুকে মুসলমান করতে সক্ষম হয়েছিল।এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে তৎকালীন মুসলিম পর্যটক আলবেরুনী লিখেছিলেন, "হিন্দুরা বিশ্বাস করে তাদের দেশের মতো দেশ নেই,তাদের রাজার মতো রাজা নেই,তাদের ধর্মের মতো ধর্ম নেই,তাদের বিজ্ঞানের মতো বিজ্ঞান নেই।এই সব কারনে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে মুসলমান করা খুবই কঠিন কাজ ছিল।
এক বিরাট ভূখণ্ড ছিল হিন্দু রাজশক্তির শাসনাধীন।অনেক মুমিনরা বলে থাকেন দীর্ঘ এগারশ বছরের মুসলিম শাসনে যদি মুসলিমরা অত্যাচারীই হয়ে থাকে তাহলে ভারতে একটিও মন্দির অবশিষ্ট থাকত না।সে ক্ষমতা মুসলিম শাসকদের ছিলনা।সারা ভারতব্যাপী ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম শাসকরা চেষ্টার কোন ত্রুটি করেনি।কিন্তু হিন্দু রাজাদের কৌশল তীক্ষ্ম যুদ্ধ কৌশল এবং বুদ্ধিমত্তার কাছে স্বৈরশাসকের পরাজয় হয়েছে।কিন্তু সে ইতিহাস ভারতের কোন পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ নেই।সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকেই হিন্দু রাজারা তাদের হৃতভূমি পুনঃরুদ্ধারের জন্য মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল।হিন্দু সাম্রাজ্যের প্রায় কোন ইতিহাসই ভারতের পাঠ্যপুস্তকে নেই।* ৬০০বছরের মৌর্য সাম্রাজ্য * ৬৫০ বছরের অহম সাম্রাজ্য * ৬৫০ বছরের চানক্য সাম্রাজ্য * ৫০০ বছরের সাতবাহন সাম্রাজ্য *১০০০বছরের চোল সাম্রাজ্য *৮০০বছরের পাড্রু সাম্রাজ্য *৪০০ বছরের চান্ডিল্য সাম্রাজ্য *৬০০ বছরের গুপ্ত সাম্রাজ্য *৬০০ বছরের পল্লব সাম্রাজ্য। এই না জানা এবং না জানানোর পিছনে ছিল একটি সুগভীর চক্রান্ত।দেশভাগের পর ভারতের সর্বপ্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।এই মহান ব্যক্তির কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছিলনা।তিনি ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত।তিনি ভারতের কেউ ছিলেন না।তিনি সৌদি আরব থেকে ভারতে এসেছিলেন।তার আদি নিবাস ছিল মক্কা উসমানীয় সাম্রাজ্য।উর্দু ভাষায় তার কবিতা ও ধর্ম সংক্রান্ত রচনা রয়েছে।যে ধর্ম মানুষকে অমানবিক হতে বলে যে ধর্ম বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করে সে ধর্মের অনুসারী ছিলেন মৌলানা আজাদ।সুতরাং সহজেই অনুমেয় এই ব্যক্তি কিভাবে ভারতের পাঁচ হাজার বছরের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করবেন।১৯৪৭-১৯৭৭ পর্যন্ত কংগ্রেস শাসনামলে ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন মাওলানা আজাদের পর যথাক্রমে হুমায়ুন কবির,মোঃকরিম,ফকরুদ্দিন আলী,নুরুল হাসান।অর্থাৎ ভারত স্বাধীনতা পেয়েছিল একটি পরিবারের মর্জির উপর ভিত্তি করে এবং হিন্দু তার অধিকার অস্তিত্ব পরম্পরা ছিল একটি পরিবারের কাছে দায়বদ্ধ।এখন সে পরিবার ক্ষয়িষ্ণু তাসের ঘরের মতো ভেঙে গিয়েছে।ইতিহাসকে ঢেকে রাখা যায়না।ইতিহাস আপন গতিতেই উদ্ভাসিত হয়।এখনই সময় যুদ্ধে যাওয়ার।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................