কাতার বিশ্বকাপে নারীরা তাদের ইচ্ছা মত পোশাক পরতে পারবেন না। স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের বাইরে কাঁধ ও হাঁটু ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরতে হবে। না হলে জেলে যেতো হতে পারে। কাতার বিশ্বকাপের চিফ টেকনোলজি অফিসার নিয়াস আব্দুল রহমান বলেছেন, ‘‘স্টেডিয়ামে আমরা অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসিয়েছি। সেই ক্যামেরার সাহায্যে বিশেষ একটি আসনের দিকেও ভাল করে লক্ষ্য রাখা যাবে। পুরো বিষয়টা রেকর্ড করা হবে। তা হলে পরবর্তীতে প্রয়োজন পড়লে আমরা রেকর্ডিং দেখতে পারব। দর্শকদের পোশাকের দিকে নজর রাখব আমরা।’’
এমন একটা মধ্যযুগীয় বর্বর ইসলামিক আইন আছে এমন দেশে ফিফা বিশ্বকাপ ফেলে গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
এই বিশ্বে মধাপাচ্যের এই দেশগুলি মানবসভ্যতার ক্ষতচিহ্নের মত। বিশ্বকাপ চলাকালে বিদেশী অতিথিদের এখনি জানিয়ে দেয়া হয়েছে খেলা দেখতে স্ত্রী বা বান্ধবীদের সঙ্গে খেলা দেখার সময় জড়িয়ে ধরা চুম্বন করা যাবে না। এই ধরণের প্রেম ভালোবাসার বহির্প্রকাশ ইসলামে নিষিদ্ধ। কাতারে এখনো দাসী ছহবত হালাল। এখনো কাতারের শেখদের ডজন ডজন বৈধ বউ সহ বহু যৌনদাসী হেরেমে থাকে। কিন্তু সেখানে নিজের বউকেও সকলের সামনে জড়িয়ে ধরা যায় না। তা না যাক, কিন্তু বিশ্বকাপের মত বৈশ্বিক ইভেন্টে বহু সংস্কৃতিকে সন্মান জানানোই স্বাগতিক দেশের একটি কর্তব্য। ফিফার অর্থের লোভের কাছে সেসব নীতি নৈতিকতা আজ বিলিন। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন স্রেফ টাকা ছাড়া আর কোন যৌক্তিক কারণ ছিলো না। কাতারের তেল বেচা টাকা ছাড়া সভ্য ভব্যতার কোন সংস্কৃতি নেই। ফিফা অনেকদিন থেকেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে তার নীতিকে শিথিল করে চলেছে। ইরানের হিজাব পরে ফুটবল খেলার সুযোগ তেমনই একটি নমনীয়তা। নারী দর্শকদের মাঠে খেলা দেখার সুযোগ না দেয়ায় ইরানকে বিশ্বকাপ থেকে বের করে দেয়া ছিলো ফিফার রুলসের একটি অংশ। কিন্তু ফিফা সেটি করেনি। ক্রিকেটে যেমন আমরা দেখি দ্বৈতনীতি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বর্ণবাদের কারণে ২৪ বছর নিষিদ্ধ করে রাখে ক্রিকেটে কিন্তু আফগানিস্থানে কওমি জঙ্গিরা ক্ষমতায় এসেই নারী ক্রিকেট নিষিদ্ধ করার পরও আইসিসি চুপ! তবু কেউ বলে না আইসিসি মানে ‘ইসলামিক ক্রিকেট কাউন্সিল’!
Written by : সুষুপ্ত পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................