নিজের সন্তান ইহুদি দেশে পড়ালেখা করাই আর অন্যের সন্তানের জন্য মাদ্রাসা বানিয়ে দেওয়ার নামই মুসলিম ধার্মিক!!

নিজের সন্তান ইহুদি দেশে পড়ালেখা করাই আর অন্যের সন্তানের জন্য মাদ্রাসা বানিয়ে দেওয়ার নামই ধার্মিক!!

শাবানাকে প্রশ্ন করা হয়ঃ আপনার সন্তানেরা কে কী করছেন?
উত্তরে শাবানা জানানঃ সুমী ইকবাল এমবিএ, সিপিএ করেছে। তবে এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী।ছোট মেয়ে উর্মি সাদিক মাস দুয়েকের মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করবে। ছেলে নাহিন সাদিক রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স শেষে ব্লুমবার্গে চাকরি করছে।

মজার ব্যাপার হলো, নিজের ছেলে মেয়েদেরকে ইহুদী নাসারাদের দেশে রেখে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা সাবেক এই চিত্রনায়িকা তার হারাম পথে উপার্জনের (চলচ্চিত্র) পয়সা দিয়ে ২০১২ সালে কেশবপুরে নির্মান করেছেন আবাসিক মাদ্রাসা। অর্থাৎ, নিজের ছেলেমেয়ের জন্য উন্নত জ্ঞান বিজ্ঞান, উন্নত পরিবেশ। নিজে সিনেমা করে উপার্জন করবে কোটি কোটি টাকা, আর বাই প্রোডাক্ট হিসেবে উপার্জিত পাপ কাটাতে বানাবে মাদ্রাসা। আরও মজার ব্যাপার হলো - তিনি বহুবার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে তার সিনেমা আর টিভিতে না দেখানো হয়। অথচ, তিনি কিন্তু বসবাসের জন্য মধ্যপ্রাচ্য বেছে নেননি, আ'ফগান, ই'রাক বেছে নেয়নি, তিনি বেছে নিয়েছেন ইহুদী-নাসারাদের দেশ আমেরিকাকে। আবার এই ঘোষণা দেয়ার পরে ২০১৫ সালে তিনি ঠিকই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় পুরষ্কারও নেন।

কেবলমাত্র চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবানা-ই যে একাজ করেছে তাও নয়; বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত প্রায় সকল অভিনেতা অভিনেত্রীই একহাতে ধর্মে নিষিদ্ধ ও হারাম এসব কাজ করে; কিন্তু যখন নিজের মধ্যে পাপের অনুশোচনা হয় তখনই কেউ মসজিদ বানায়, কেউ মাদ্রাসা বানায়, কেউ মাথায় টুপি পরে কেউ বোরকা লাগায়, কেউ হজ্জ করে, আরো কতকি।

আরেক চলচ্চিত্র অভিনেতা আহমেদ শরীফ কুষ্টিয়ার বানিয়াপাড়ায় মসজিদ বানিয়েছেন; কয়েকমাস পূর্বে দেখলাম এফডিসিতে আয়োজন করে মসজিদ উদ্ভোদন করা হলো; মিসা সওদাগরকে প্রায়শই দেখা যায় মাথায় টুপি লাগিয়ে রাখে; অনন্ত জলীল বর্ষাপা মন চাইলে বছর বছর হজ্জ করে; এছাড়া প্রায়শই নিউজপত্রের মারফতে দেখা যায় - অমুক নায়িকা সিনেমা নাটক ছেড়ে ধর্মের পথে আসছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দিন দুয়েক না যেতেই সেই নায়িকাকে দেখা যায় টিভির পর্দায়!

এদের নামের নিচেই লাখো মুমিন বলেন - মারহাবা, মাশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ!

গতকাল দেখলাম, ভ্রুপ্লাগ করে মুখে দুই ইঞ্চি মেকাপ নিয়ে হিজাব পড়ে এক আপা শীতকালীন মাহফিলের জন্যে নুরা ফাতেহিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় হাহুতাশ করে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে!

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, মিড়িয়া পাড়ার এসব মানুষের সঙ্গে আমাদের দেশের আমলাদেরও বড় মিল আছে। তারা এক হাতে ঘুষ দুর্নীতি করে, কিন্তু যখন নিজের মধ্যে পাপের অনুশোচনাবোধ হয় তখন মক্কায় গিয়ে অন্যহাতে শয়তানকে পাথর মারে!

পাকিস্তানি নাটক সিরিয়াল দেখলেও সেখানে একটা বিষয় দেখবেন - কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ, মারহাবা শব্দগুলো খুবই চর্চা করা হয়। হঠাৎ মনে হবে- আরে ভুল করে কোন ওয়াহ মাহফিলে চলে আসলাম নাকি!

যদি বলা হয়, বর্তমান পৃথিবীতে কোন ধর্মের লোকেরা সবচেয়ে বেশি ভন্ডামি দেখাচ্ছে, তবে তা এক বাক্যেই বলা যায় - তারা মুসলিম সম্প্রদায়!

মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশ্বের অন্য সম্প্রদায়গুলো হাসাহাসি করে, কেনো করে তা কি আমরা নিজেদের প্রশ্ন করেছি?!

©

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted