রাজা ভোজ = যিনি গজনীর মাহমুদ কে পরাজিত এবং হত্যা করেছিলেন।

“রাজা ভোজ = যিনি গজনীর মাহমুদ কে পরাজিত এবং হত্যা করেছিলেন”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ 

যদি বলা হয়, গজনীর মাহমুদ সম্বন্ধে যা আমাদের ইতিহাসে পড়ানো হয় তা সর্বৈব মিথ্যা তাহলে কেউ কি বিশ্বাস করবেন???? এই ইতিহাস কার লেখা?? মুসলিম ঐতিহাসিক ফেরদৌসীর। তার লেখা ইতিহাস আধুনিক কালে লিখেছেন দুজন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’- ইরফান হাবিব এবং রোমিলা থাপার।

 
মাহমুদ বারে বারে ভারত আক্রমন করে। তার আক্রমন মুলত ছিলো এক জেহাদী যুদ্ধ পদ্ধতি, যার নাম ‘রিজিয়া’। এটা হচ্ছে, বারে বারে সীমান্ত লঙ্ঘন করে লুটপাট করা এবং বীভৎষার সৃষ্টি করে মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করা। সম ‘জেহাদী লুটেরা’ একই কাজ করেছিলো। কাশ্মীরে আজো তাই করা হচ্ছে। 
মাহমুদ জানতো, ভারতের হিন্দু রাজার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করলেও ‘বিদেশী শক্তির’ বিরুদ্ধে একত্রে লড়াই করে। আর তাদের পরাজিত করা সম্ভব নয় সোজা পথে। ভারতে কোনো সাম্রাজ্য স্থাপন তার লক্ষ্য ছিলো না। লক্ষ্য ছিলো, ভারতের অপরিমেয় ধন সম্পদ লুট করা। সেই কাজ আরো সহজে হয় যদি মন্দিরে রক্ষিত ধন লুট করা যায়। মাহমুদ ১৭ বার এসেছিলো কি ১৬ বার তার সত্য ইতিহাস জানা যায় না। তবে তার ১৬ তম বার ১০২৬ সালে সে সম্পুর্ন ভাবে পরাজিত এবং নিহত হয় ‘রাজা ভোজ” এর কাছে।


 
রাজ ভোজ একজন নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন। ‘মালোয়া’ তার রাজ্য ছিলো। রাজধানী ‘উজ্জয়নী’। সমস্ত ভারতের সব রাজাদের নিয়ে এক শক্তিশালী ‘যুক্তরাষ্ট্র’ গঠন তার স্বপ্ন ছিলো। মাহমুদ ‘সোমনাথ’ মন্দির ধংস করে, বিশাল অংকের ধন সম্পদ ( প্রায় ৩৫০০০ কোটি টাকা) লুট করে। ধরে নিয়ে যায় অগনিত হিন্দু মহিলাদের। মাহমুদ আসতো খাইবার পেরিয়ে। এবার সে বুঝতে পারে হিন্দুরা তাকে পালাতে দেবে না। সে তখন জলপথে পালাবার জন্য সিন্ধু এসে হাজির হয়। 
মাহমুদের এই বর্বরতা এবং লাম্পট্যের খবর আসে রাজা ভোজের কাছে। তিনি আরো অনেক রাজা মহারাজাদের সঙ্গে যোগা যোগ করে, তাদের সাহায্যে এক সুবিশাল সৈন্য বাহিনী নিয়ে মাহমুদ কে আক্রমন করেন। সেই যুদ্ধে মাহমুদ পরাজিত ও নিহত হয়। 
সত্য এটাই। ম্যালেরিয়া বা যক্ষা হয়ে সে মারা যায় নি। 
**** সোর্স ইন্টারনেট*****

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted