ইসলাম কি পৃথিবীর প্রথম ধর্ম ?
মুসলমানরা বেশ অনেক আগে থেকেই বলে আসছে যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম, শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এই কথা পৃথিবীর ক’জন অমুসলিম বিশ্বাস করে ? গাঁজাখোরেরা তো গাঁজার প্রশংসা করবেই, এতে কী গাঁজা উপকারী হয়ে যাবে ? আমি ভালো, একথা বললে- কেউ সে কথা বিশ্বাস তো করেই না, বরং উপহাস করে। আর যে ভালো, তাকে তো সে কথা বলারই দরকার নেই, ভালো হলে তার আচার আচরণে লোকে এমনি বুঝে যে সে ভালো। অর্থাৎ তার ভালোত্বকে, তার কথা ও কাজে প্রমান করতে হয়, তাহলেই অন্যেরা তাকে ভালো বলে মনে করে এবং লোকের কাছে তার সম্পর্কে ভালো বলে। সেই রকম ইসলাম শান্তির ধর্ম হলে, মুসলমানদেরকেই তা আচার আচরণে প্রমান করতে হবে, গাল ফাটিয়ে চিৎকার করে বলার প্রয়োজন নেই। অনেক দশক ধরে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করেও যেমন মুসলমানরা প্রমান করতে পারে নি যে ইসলাম শান্তির ধর্ম; তেমনি, বেশ কয়েক বছর হলো তারা নতুন করে প্রচার শুরু করেছে যে ইসলাম হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম; কিন্তু ১৪ বছর বয়সী বালক যদি হঠাৎ দাবী করে যে, তার বয়স ১০০ বছর, তাহলেই তো সে আর ১০০ বছর বয়সী হয়ে যাবে না, তাকে প্রমান করতে হবে যে তার ১০০ বছর বয়স, কিন্তু ১৪ বছর বয়সী একটা বালকের কি সেই ক্ষমতা আছে নিজেকে ১০০ বছর বয়সের প্রমাণ করার ?
এই প্রসঙ্গে মুসলমানদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, ইসলামের প্রবর্তক কে ? বলবে, হযরত মুহম্মদ। উনার জন্ম কত সালে ? ৫৭০ সালে। তাহলে ইসলামের বয়স কত ? ১৪০০ বছর। খ্রিষ্ট ধর্মের বয়স কত ? জানা থাকা সাপেক্ষে সে বলবে, ২ হাজার বছর। বৌদ্ধধর্মের বয়স ? প্রায় আড়াই হাজার বছর। ইহুদি ধর্মের ? প্রায় ৩ হাজার। হিন্দুধর্মের বয়স ? এ কথার জবাব কোনো মুসলমান জানলেও দেবে না, তাই আপনিই বলবেন, গীতারই বয়স প্রায় ৫ হাজার ২ শ বছর; বেদ আরো পুরোনো, এর বয়স প্রায় ৮/১০ হাজার বছর। তাহলে ইসলাম পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম হলো কিভাবে ?
মুসলমানরা যখন এই ফাঁদে পড়বে, তখন তারা বলতে পারে যে কোরান হলো আসমানি কেতাবের সর্বশেষ ভার্সন এবং হযরত মুহম্মদ হলো শেষ নবী। মুহম্মদ শেষ নবী এবং কোরান আসমানী কিতাবের সর্বশেষ ভার্সন হতে পারে, কিন্তু এতে তো এটা প্রমান হয় না যে, ইসলাম পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম ? কারণ, মুহম্মদই এনেছে ইসলাম এবং তার আগে ইসলাম বলে পৃথিবীতে কোনো শব্দই ছিলো না। তাহলে ইসলাম পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম হয় কিভাবে ?
এরপর তারা উল্লেখ করতে পারে আদম হাওয়ার কাহিনী এবং বলতে পারে যে, এই আদম হাওয়ার সন্তানের মাধ্যমেই পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি এবং এই কাহিনীর উল্লেখ আছে কোরানে, সেই সূত্রেই ইসলাম পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম।
আদম হাওয়ার কাহিনীর উৎপত্তি প্রথমে ইহুদি ধর্মে এবং ইহুদি ধর্মের কিছুটা পরিবর্তিত রূপ যেহেতু খ্রিষ্টান ধর্ম, সেহেতু খ্রিষ্টান ধর্মেও আদম হাওয়ার কাহিনী আছে, যেখানে আদম এর নাম এ্যাডাম এবং হাওয়ার নাম ইভ, সেই কাহিনী দখল করে মুহম্মদ তার কোরানে ঢুকিয়েছে। শেখ মুজিব বা গান্ধীর নামের সুনাম ও প্রভাব দেখে কেউ যদি এখন হঠাৎ করেই নিজেকে তাদের উত্তরসূরী বা বংশধর বলে দাবী করে, সেটাকে অন্যদের মেনে নিতে হবে ? বরং এধরণের দাবী যে করবে তাকে লোকজন পাগল বলেই মনে করবে এবং এখনও পৃথিবীর ৮০% লোক তাই মনে। আর তার অনুসারীরা তো তার মতোই বদ্ধ পাগল বা উন্মাদ। আর কে না জানে যে পাগলে যা তা বলে আর ছাগলে যা তা খায়।
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করি ধর্ম একটাই মাহযাব বা রিলেজিওন বহু।।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................