দ্রৌপদী যখন বুঝতে পারে যে, ৫ জনকে বিয়ে করাই তার নিয়তি। তখন সে তার শারীরিক পবিত্রতা কিভাবে রক্ষা করবে, এই ব্যাপারে বিয়ের আগে উপস্থিত পণ্ডিত-পুরোহিতদের বলে, এক স্বামীর সাথে একটানা ১ বছর অবস্থানের পর, সে পরবর্তী এক বছর কারো সাথে অবস্থান না করে তপস্যা করবে এবং এভাবে দেহকে শুদ্ধ করার পর, পরের বছর অন্য স্বামীর সঙ্গে থাকবে, এই বিয়ের আসরে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাসও উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি দ্রৌপদীর কথার সাথে আরো যোগ করে বলেন যে, সেই একবছর দ্রৌপদী যাকে তার ভবনে প্রবেশের অধিকার দেবে, সে ই শুধু প্রবেশ করতে পারবে, অন্য কেউ যদি প্রবেশ করে তাকে কয়েক বছরের জন্য সন্ন্যাস নিয়ে তার ভুলের প্রায়শ্চিত্য করতে হবে। এই সব বিধি নিষেধে উপস্থিত পণ্ডিতগণ সবাই সন্তুষ্ট হয়ে তদের এই বিয়ের অনুমতি দেয় এবং ৫ জনের সাথে দ্রৌপদীর বিয়ে হয় এবং তখন মহামুনি ব্যাস আরও বলেছিলেন যে, এটা একটা আপদকালীন সিদ্ধান্ত, চিরকালীন আদর্শ নয়; তাই অন্য কেউ এই কাজ করতে পারবে না; যে ঘটনাগুলো উপরেও কিছু আগে উল্লেখ করেছি।
এই ই ছিলো দ্রৌপদীর যৌনজীবন। কিন্তু বহুগামীমুসলমানরা মনে করে, এক পুরুষের ৩/৪ জন স্ত্রী থাকলে, ঐ পুরুষ যেমন যখন যার সাথে খুশি সেক্সকরে বা মুহাম্মদযেমন ২৪ ঘন্টায় ১১ জনের সাথে সেক্সকরতো, তেমনি দ্রৌপদীও তার ৫ স্বামীর সাথে তেমনভাবেই সেক্সকরতো। চোর তো সাধুকে আর সাধু মনে করবে না, সাধুকে সে চোর ই মনে করবে। দ্রৌপদীর ব্যাপারেও মুসলমানদেরভাবনা ঠিক এরকমই।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, যেটা উপরে একবার বলেছি, সেটা আবারও বিস্তারিত বলছি, দ্রৌপদীর এই ৫ স্বামীর ঘটনা, হিন্দু সমাজের কোনো শাস্ত্রীয় বিধান বা চিরন্তন রীতি নয় যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে বা হিন্দু মেয়েদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে বা অনন্তকাল ধরে ঘটবে, এটা একটা এ্যাকসিডেন্ট এবং এই ঘটনা পৃথিবীতে একবারই ঘটেছিলো। কিন্তুইসলামের চার বিয়ের বিধান, মুসলমানদেরএকটা সামাজিক রীতি এবং মুহাম্মদওমুসলমানদের জন্য চিরকালীন আদর্শ। সুতরাংমুসলমান পুরুষদেরবহুগামিতাকে, দ্রৌপদীর ৫ স্বামীর উদাহরণ দিয়ে ঢাকা দেওয়ার বা পার পাওয়ার কেনো সুযোগ নেই।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................