বেদ, গীতা কি দাসপ্রথাকে সমর্থন করে ?
#Dr.Khandakar_Abdullah_Jahangir,
প্রথমেই আপনাকে মূর্খ, হারামজাদা এবং মাদারড্যাস বলে গালি দিতে চাই না, কিন্তু এসব বলে অবশ্যই গালি দেবো, যদি আপনি বেদ এবং গীতা থেকে দাসপ্রথা সমর্থনে কোনো রেফারেন্স দেখাতে না পারেন।
প্রাচীন পৃথিবীতে সারা পৃথিবী ব্যাপী দাসপ্রথার প্রচলন কখনোই ছিলো না, দাসপ্রথা সীমাবদ্ধ ছিলো শুধু আরব ভূখণ্ডে, যে দাসপ্রথাকে মুহম্মদ অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে, এই সূত্রে পৃথিবীতে দাসব্যবসার জনক আসলে মুহম্মদ। পৃথিবীতে মুক্তিপণ আদায় প্রথার জনকও আসলে মুহম্মদ। কারণ সে ই প্রথম বদর যুদ্ধে বন্দীদের অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দেয় এবং সেই টাকায় বসে বসে খাওয়া শুরু করে। এরপর বিভিন্ন যুদ্ধে মুহম্মদ যেসব নারী ও শিশুকে গনিমতে মাল হিসেবে বন্দী করেছে, তাদেরকে বাজারে দাস হিসেবে বিক্রি করেছে এবং কোরান হাদিসের এসব বিধান যে সাময়িক নয় চিরকালীন, সেটা ২০১৪/১৫ সালে ইরাক সিরিয়ায় আইএস করে দেখিয়েছে, তারা গনিমতে মাল হিসেবে যাদেরকে বন্দী করেছে, তাদের মধ্যে নারীদেরকে শুধু ধর্ষণই করে নি, প্রকাশ্যে বাজারে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রিও করেছে। এছাড়াও আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে এখনো গোপনে নারী কেনা বেচা চলে, যা দাসপ্রথারই নামান্তর।
সুতরাং আপনি যে বলেছেন, আল্লা দাস প্রথাকে একেবারে মিটিয়ে দেন নি, তা সত্য নয়, আসলে আল্লা কখনোই চায় নি যে দাস প্রথা বিলু্প্ত হয়ে যাক, বরং আল্লা কোরানের মাধ্যমে দাসপ্রথাকে চিরকালীন করে গেছে, এখন সেটা মুসলমানরা করতে পারছে না আধুনিক সভ্যতার বিকাশের ফলে। আপনি যদি আমার এইসব কথাকে কোরান হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন, প্রতিজ্ঞা করছি- আমি আর কখনোই ইসলামের সমালোচনা করে কিছু লিখবো না এবং ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাবো, ক্ষমতা থাকলে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করুন।
আপনি বলেছেন, ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করলে এবং তাদের সন্তান হলে তারা মুক্ত হয়ে যায়। আপনার নবী মুহম্মদ কি এমন কাজ কখনো করেছে ? মারিয়া কিবতিয়া নামের মুহম্মদের যে দাসী ছিলো, মুহম্মদ তো বিয়ে না করেই তার গর্ভে ইব্রাহিমের জন্ম দিয়েছিলো, মুহম্মদ কি তাকে মুক্তি দিয়েছিলো, না তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলো ? যদিও স্ত্রীর মতো ব্যবহার তাকে আপনার নবী ঠিকই করেছিলো। বিবাহ বহির্ভূত যৌনসম্পর্কের জন্য তো ইসলামে পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধান, সেটা কি মুহম্মদের জন্য প্রযোজ্য নয় ? নাকি নবী বলে মুহম্মদের জন্য সবকিছু মাফ, যেমন নবী পরিবারের জন্য যাকাত ফিতরার বিধান মাফ।
আপনি বলেছেন- এখন দাসপ্রথা নেই, তাই কোনো স্বাধীন মানুষকে ক্রয় করা জঘন্যতম হারাম।
- বর্তমানে দাসপ্রথা নেই, সেটা আপনার কোরানের কল্যানে ? কোরানে যে দাসপ্রথাকে আস্তে আস্তে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার প্রমাণ কি দিতে পারবেন ? আর স্বাধীন মানুষকে ক্রয় বিক্রয় করা যে জঘন্যতম হারাম, তারও রেফারেন্স কি কোরান হাদিস থেকে দিতে পারবেন ? আধুনিক সভ্যতার কল্যানে আপনি বলছেন, এসব জঘন্যতম অপরাধ, কিন্তু আপনার কোরান কি এসব কথা বলে ?
আপনি আরো বলেছেন, যেগুলো ছিলো সেগুলোকে আস্তে আস্তে কমানো হয়েছে, এটা আসলে আপনার মনগড়া ব্যাখ্যা, কোরান হাদিসে আস্তে আস্তে বলে কোনো ব্যাপার নেই, যেটা নিষিদ্ধ সেটা একেবারেই নিষিদ্ধ, যেমন -মদ বা শুকরের মাংস; আর যেটা চালু, সেটা চিরদিনের জন্য চালু, যেমন- দাসপ্রথা, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি। আধুনিক সভ্যতার প্রভাবে এখন ইসলামের সেই সব অসভ্য বিধানগুলো মানুষ পালন করতে পারছে না বলে এখন সেগুলোকে ব্যালান্স করার জন্য আপনি বলছেন, সেগুলোকে আস্তে আস্তে কমানো হয়েছে, কিন্তু এসব তাকিয়াবাজি যে ব্যর্থ, সেটা আমার এই প্রবন্ধই সবার কাছে প্রমাণ করে দেবে।
আপনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেছেন, ইসলাম দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করেছে, এ ব্যাপারে কি একটা রেফারেন্স কোরান থেকে দেখাতে পারবেন ?
আসলে আপনারা বেহেশতের ৭২ হুর লোভী মুসলমানরা ইসলাম নামক দুর্গন্ধের উপর সুগন্ধি ছড়িয়ে তাকে অমুসলিমদের কাছে বিক্রি করতে চাইছেন, কিন্তু নেট ফেসবুক আপনাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে।
এই যে আপনি নেট ফেসবুক ব্যবহার করে তাতে নিজের ছবি লাগিয়েছেন, ইসলামে কি এটাই জায়েজ ? এর স্বপক্ষে কি আপনি কোনো ইসলামিক রেফারেন্স দিতে পারবেন ? ইসলামে যেটা হারাম, সেটা ব্যবহার করে ইসলাম প্রচার করা কিভাবে হালাল হয় ? অবশ্য তাকিয়াবাজি অর্থাৎ মিথ্যা বলে অমুসলিমদেরকে ধোকা দিয়ে ইসলাম প্রচার করা যেখানে জায়েজ, সেখানে আর হারাম কোনো কিছু থাকে কিভাবে ? মিথ্যা হলো আপনার ইসলাম প্রচারের ভিত্তি, এখন বুঝতে পারছেন ইসলাম কত মহান !
জয় সনাতন।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................