ইতিহাস ঐতিহ্য আলোকে আমি যে আশংকার কথা বললাম তা কি মিথ্যা

#ইজরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ এলাকা পরিদর্শন করায় মুসলমানরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে! আদতে জেরুজালেমে মুসলমানদের কোন ধর্মীয় দাবীই খাটে না। প্রাচীনকাল থেকে সবাই জানে জেরুজালেম ইহুদী-খ্রিস্টানদের কাছে পবিত্রভূমি। এটাই তাওরাত বর্ণিত ইহুদীদের নিজেদের দেশ। আবার এই জেরুজালেমে এক গোয়ালঘরে যীশু জন্মেছিলো বলে খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে। যেমন মক্কায় মুহাম্মদের জন্মস্থান ও মদিনায় তার সাম্রাজ্য স্থাপন হয়েছিলো এটা নিয়ে কোন কথা নেই। কাজেই মক্কা মদিনায় মুসলমানদের দাবী অকাট্য। কিন্তু জেরুজালেমের এই ‘আল আকসা’ মসজিদটা কোত্থেকে এলো?



#এটা সেভাবেই এসেছে যেভাবে হিন্দুদের ‘দেবতাদের শহর’ কাশিতে জ্ঞানবাপী মসজিদটি এসেছিলো। মেরাজ নামে একটি আধ্যাত্মিক দাবী যার কোন বাস্তব ভ্রমণ নয় যা সবাইকে বিশ্বাস করতে হয়েছে- তেমন একটি ভ্রমণে একটি ডানাওয়ালা খচ্চরে চড়ে জেরুজালেম এসেছিলেন মুহাম্মদ- সেই বিশ্বাসে খলিফা ওমর এখানে একটি মসজিদ স্থান করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। সেই ধবংসপ্রাপ্ত মসজিদের স্থানে পরে অন্যান্য মুসলিম খলিফারা জাঁকজমকভাবে এই মসজিদটি সম্প্রসারণ করে। মূলত তীব্র ইহুদী বিদ্বেষ থেকে জেরুজালেম দখলের এটি একটি ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মদ প্রথম জীবনে ইহুদীদের নিজ ধর্মে আনার জন্য তার ধর্মের প্রধান তীর্থ হিসেবে জেরুজালেমকে বেছে নেন। কিন্তু ইহুদীদের কাছ থেকে কোন আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে, উল্টো ঠাট্টা বিদ্রুপ শুনে খিপ্ত হয়ে জেরুজালেম থেকে কিবলা সরিয়ে মক্কার কাবায় নিয়ে যান। মানে এটি মুসলমানদের পরিত্যাক্ত কিবলা। সেই স্থানে একটি মসজিদ নিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা রীতিমত হজের মত শোরগোল তুলে, তীব্র আওয়াজ করে, মাইক বাজিয়ে জুম্মার নামাজ পড়ে। উদ্দেশ্য ইহুদীদের তীর্থক্ষেত্রে যতখানি পারা যায় নিজেদের অবস্থান পোক্ত করা। ঘটেছেও তাই। ইহুদীরা এখন চাইলেও আল আকসার দাবীকে অস্বীকার করতে পারবে না আন্তর্জাতিক চাপে। অথচ এখান থেকে এই মসজিদ উঠিয়ে নিলে বিশ্বের ধর্মীয় সমস্যার অর্ধেক কমে যাবে। ফিলিস্তিনি ইজরাইল সমস্যা কেবল রাজনৈতিক বলে আমি কোনদিন বিশ্বাস করিনি করবোও না। এখানে অবশ্যই ধর্মীয় সমস্যা বিদ্যমান। অন্তত মুসলমানদের তরফ থেকে তো একশোবার।

#প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে হয় ভারতের কাশি যদি মুসলিম অধ্যুষিত বড় কোন শহরের মধ্যে পড়ত তাহলে সেটি পাকিস্তানের মত কোন দেশ হয়ে যেত আর হিন্দুদের প্রধান তীর্থ হয়ে যেত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ এক পবিত্র ভূমি কারণ এখানে হযরত আওরাঙ্গজেব জ্ঞানবাপী নামের এক মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ফলে হিন্দুদের অবশ্যই এখানে তীর্থ করার সময় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে মান্য করে বুঝেশুনে চলতে হবে...।

ইতিহাস ঐতিহ্য আলোকে আমি যে আশংকার কথা বললাম তা কি মিথ্যা?

#সুষুপ্ত #পাঠক #AlAqsa #Jewish #Jerusalem #Muslim #Mosque #Kashi #Hindu

Copyright © 2023 Susupto Pathok aka সুষুপ্ত পাঠক all rights reserved.

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted