বর্তমান সময়ের বহু ইসলামিক দেশ যেমন- তুরস্ক, মিশর, সিরিয়া এইসব দেশগুলি আগে খ্রিস্টান দেশ ছিল। পাকিস্তান, আগে ছিল হিন্দু ভূমি । আফগানিস্তানে ছিল বৌদ্ধ মতাবলম্বী। ইরান যা ছিল জুরাষ্ট্রিয়ান ।
ডক্টর পিটার হ্যামন্ডের লেখা বই 'Slavery, Terrorism and Islam' তে বলা হয়েছে,
"ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, কোন উপাসনা পদ্ধতিও নয় । এর পূর্ণ বিকাশে এটি একটি ১০০ % সম্পূর্ণ জীবনশৈলী"।
ইসলামি আগ্রাসনের বিশেষ ধরন আছে-
যতদিন মুসলিম জনসংখ্যা কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ২ % এর নিচে থাকে ততদিন তারা শান্তশিষ্ট সংখ্যালঘু সেজে দেশে বাস করে ।
যেমন -
যুক্তরাষ্ট্র- ০.৬ %
অস্ট্রেলিয়া- ১.৫ %
কানাডা- ১.৯ %
চীন- ১.৮ %
ইতালি- ১.৫ %
নরওয়ে- ১.৮ %
মুসলিম জনসংখ্যা ৫% পৌঁছলেই তারা সে দেশের মূলনিবাসী সংখ্যালঘু , অসন্তুষ্ট জনগোষ্ঠী, রাস্তায় থাকা লোকেদের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে দলভারি করা শুরু করে । যেমন-
ডেনমার্ক- ২ %
জার্মানি- ২.৭ %
যুক্তরাজ্য- ৩.৭ %
স্পেন- ৪ %
থাইল্যান্ড- ৪.৬ %
ডক্টর হ্যামন্ড বলছেন, কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ৫ % এর বেশী মুসলিম হয়ে উঠলেই তারা সে দেশে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। যেমন, বাজারে, বিভিন্ন মলে 'হালাল' মার্কা খাদ্যসামগ্রী রাখার জন্য দাবী করবে। প্রয়োজনে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেবে ।
ঠিক এমনটাই ঘটছে -
ফ্রান্স- ৮ %
ফিলিপিন্স- ৪ %
স্যুইডেন- ৫ %
সুইজারল্যান্ড- ৪.৩ %
নেদারল্যান্ডস- ৫.৫ %
ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো- ৫.৮%
কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১০ % মুসলমান হওয়া মাত্রই তারা নিজেদের নানা অসুবিধার কথা তুলে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা ভাঙ্গা শুরু করে । ঠিক এই ঘটনাই ঘটছে বর্তমানে প্যারিসে। সেখানকার রাস্তাঘাটে,গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা দেখেছি আমরা । পশ্চিমবঙ্গেও ঠাকুর বিসর্জন, সরস্বতী পূজা, জন্মাষ্টমী পালন, শাঁখ বাজানো, দূর্গোৎসব ইত্যাদি বিভিন্ন হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে নানা আছিলায় তারা বিরোধ করবে, ট্রেন জ্বালাবে, আন্দোলন করবে।
এমনটা যেখানে নিয়মিত হচ্ছে-
গায়ানা- ১০ %
ভারত- ১৩.৪ %
ইসরাইল- ১৬ %
কেনিয়া- ১০ %
রাশিয়া- ১৫ %
কোন দেশের জনসংখ্যার মধ্যে ২০ % মুসলমান হলে সে দেশে হিংস্র আন্দোলন, ভয়ংকর জেহাদি কার্য্যকলাপ, বিক্ষিপ্ত খুন,জখম,ধর্ষণ, ধর্মস্থলের নোংরামি করা, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটতে শুরু হয়। উদাহরণ-
ইথিওপিয়া- ৩২.৮ %
কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ % মুসলমান হলে সে দেশের মূলনিবাসী জনগণের ওপর চলবে গণহত্যা, অসহনীয় রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস।
যেমন চলছে-
বসনিয়া- ৪০ %
চাদ- ৫৩.১ %
লেবানন- ৫৯.৭ %
কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০% অথবা এর বেশী মুসলিম হলেই ওদের পরবর্তী পদক্ষেপ হয়- অমুসলিমদের 'কাফের' তকমা দিয়ে খতম অভিযান।মেয়েদের শ্লীলতাহানি, জোর করে ধর্মান্তরণ, বিয়ে করা, জে'হাদ, গনহ:ত্যা ।
প্রতিনিয়ত ঘটছে যেখানে -
আলবেনিয়া- ৭০ %
মালয়েশিয়া- ৬০.৪ %
কাতার- ৭৭.৫ %
সুদান- ৭০ %
( ২২ জুন, ২০১৯ সালে #ইসলামী বিশেষজ্ঞ নিকোলেট্টা ইঞ্চজি হাঙ্গেরির জাতীয় দূরদর্শনে এক ভাষণে দেওয়া তথ্য )
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................