ইসলামিক নামটা’ কোত্থেকে এলো?

মুহাম্মদের ছেলেমেয়ে কয়জন এটি নিয়ে ইসলামে সুনির্দিষ্ট কোন মতামত নেই এটি খুবই বিস্ময়ের ব্যাপার। ইসলামী পন্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক কেউ মনে করেন মুহাম্মদের ছেলেমেয়ের সংখ্যা ৬ জন। কারোর মতে ৮ জন, অন্যদের মত ১২ জন! মুহাম্মদের দাসী মারিয়ার গর্ভে জন্ম নেয়া পুত্র ইব্রাহিম ছাড়াও খাদিজার ঘরে এক পুত্রের কথা জানা যায় নাম কাশেম। এ জন্য মুহাম্মদকে ‘আবুল কাশেম’ বা কাশেমের পিতা নামে ডাকা হতো। 

বলা হয় আরো একটি পুত্র ছিলো মুহাম্মদের যার নাম আবদুল্লাহ। অন্যরা আবার সেটি অস্বীকার করেন। মুসলমানরা তাদের নবীর জীবন সম্পর্কে এতখানি ধোঁয়াচ্ছন্ন যে তার প্রকৃত পারিবারিক জীবন সম্পর্কে একমত হতে পারেনি। প্রায় পনোশো বছর আগে আরবের খুবই ছোট পরিসরে একটি ধর্ম হিসেবে ইসলাম খুবই অগুরুত্বপূর্ণ ছিলো। #মুহাম্মদের মৃত্যুর অনেক পরে এই ধর্মের সাম্রাজ্যবাদী মতবাদ বিস্তার লাভ করে পুরো আরবে সাম্রাজ্য স্থাপন করে সফল হয়। কিন্তু ততদিনে মুহাম্মদ সম্পর্কে অযত্ন অবহেলায় অনেক তথ্য হারিয়ে যায়। আবার কিছু তথ্য সম্ভবত অস্বস্তিকর বিধায় সেসব নিয়ে আলোচনার কোন চর্চা মুসলিম কমিউনিটিতে হয় না। 


যেমন মুহাম্মদের শুধুমাত্র কন্যা ফাতিমাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে দেখা যায়। কিন্তু মুহাম্মদের বড় কন্যা জয়নব, অন্য দুই কন্যা কুলসুম, রুকাইয়াকে নিয়ে কোন কথা হয় না। তারা বেহেস্তে যাবে কিনা সেকথা নেই। এদিকে ফাতেমা বেহেস্তে মেয়েদের ক্যাপ্টেন করা হয়েছে! সম্ভবত মুহাম্মদের ঐ কন্যাদের #কাফের থেকে যাওয়ার কোন ইতিহাস গোপন রাখা হয়। কারণ তাদের জন্ম মুহাম্মদের ধর্ম প্রচার করার অনেক আগে এবং তাদের সকলের বিয়ে হয় পৌত্তলিক পুরুষদের সঙ্গে পৌত্তলিক নিয়মে। যে বিয়েগুলি মুহাম্মদ নিজে পিতা হিসেবে নিয়ম পালন করে কন্যাদান করেছিলেন। একজন নবী যার জন্য নাকি পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, যিনি নাকি সব নবীদের চেয়ে বড়, যিনি নাকি পৌত্তলিকতা বিনাশ করতে এসেছেন, তিনি চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত নিজের মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত পৌত্তলিক নিয়মে দিলেন কোন যুক্তিতে? আল্লা কি তখনো জানত না মুহাম্মদকে তিনি নবী বানাবেন?

#ইসলামের আরো এটি ট্রেডিশন আছে যা খুবই বিভ্রান্তকর। মুহাম্মদের চাচা আবু তালিব কাফের ছিলেন এটি মুসলমানরদের বলতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আবু তালিবের ভাই আবদুল্লাহ মানে মুহাম্মদের কথিত পিতা যে কাফের ছিলেন সেটি নিয়ে লুকোচুরির শেষ নেই। আবদুল মোতালিব যে কুরাইশ পৌত্তলিকদের সর্দার ছিলেন সেটি নিয়েও লুকোচুরি খেলা হয়। আবু তালিব কাফের হলে তার ভাই বাপ কি করে কথিত ‘ইব্রাহিমি ধর্ম’ অনুসরণ করেন? কথিত এই ‘ইব্রাহিমি ধর্ম’ নামে আসলে কোন কিছুর অস্তিত্বই নেই। আব্রাহামিক ধর্ম বলতে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের বুঝায়। কুরাইশরা ছিলো মূর্তি পুজারী প্যাগন। মুসলমানরা সেই মুশরিক আবদুল্লাহ আবদুল মোতালিব আমিনাকে সন্মান করে তাদের নামানুসারে সন্তানদের নাম রাখেন। কেন? অথচ তারাই ‘ইসলামী নাম’ রাখার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেন। এই ‘ যখনই সুযোগ পেয়েছি আলেম ওলামাদের প্রশ্নগুলি করে কোন সদুত্তর পাইনি। বরং তারা অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন...।

#সুষুপ্ত #পাঠক #ChildofMuhammad #Islam #IslamicName #AbuTalib  #AbdulMuttalib #Pagan #Mushrik #Jew #Christian

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted