আজানের মূল বিষয় হচ্ছে এটি কিন্তু একেবারেই ইসলামের বাইরের জিনিস!

আজান হচ্ছে এক রকম গান। যে কোন দুর্বোধ্য ভাষা যা আপনি এক বর্ণও বুঝেন না কিন্তু তার সুরের ও সুকন্ঠী গায়কের গাওয়ার দরুণ আপনি সেই সঙ্গীতে মুগ্ধ হতে পারেন। তার প্রমাণ কোরিয়ান বা এ্যারাবিয়ান সংগীত। অনেক মুয়াজ্জিন আছেন যাদের খুব উঁচু মাপের গায়ক হওয়ার প্রতিভা ছিলো কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ে আজান দিয়ে ভাত খেতে হচ্ছে। 

তার গায়কীর কারণই আজান খুব সুন্দর লাগছে আপনার কানে। শুধুমাত্র আজান শুনে অমুসলিম থেকে মুসলিম হওয়ার রেকর্ড আছে! কিন্তু আজানের বাণী খুবই উশকানিমূলক। আজানের প্রতিটি ভাষা দম্ভ ও অন্য ধর্ম বিশ্বাসকে হেয় করে চ্যালেঞ্জ জানানো। এরকম কোন কথা খুব মনোহরী সুরে গাওয়া আসলে অভাবনীয়। যেমন হৃদয় ছোঁয়া সুরে আমি আপনাকে খুন করতে চাইছি এমন কথায় গান গাইছি আপনি সে ভাষা না বুঝলে চোখ বুজে মাথা দোলাতে থাকবেন- এটা সেরকমই। ‘আল্লা ছাড়া আর কোন ঈশ্বর (মাবুদ) নাই’ আজানের এই বাংলা অনুবাদ পুজার প্যান্ডেলে বাজিয়ে শোনান দেখি কেমন লাগবে?

#যাক সে বিষয়। আজানের মূল বিষয় হচ্ছে এটি কিন্তু একেবারেই ইসলামের বাইরের জিনিস! নিশ্চয় চমকে যাচ্ছেন একথা শুনে? ইসলামের বাইরের জিনিস বলছি এ কারণে যে, ইসলামী পন্ডিতরাই বলেন কুরআন ও হাদিসের বাইরে আর কোন কিছুকে ইসলাম মনে করার কোন কারণ নেই। কারণ কুরআন হচ্ছে আল্লা থেকে সরাসরি আসা বাণী আর হাদিস হচ্ছে নবীর মুখ থেকে আসা বাণী যা আল্লার নির্দেশে নবী বলেছেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এই আজান না কুরআনের কোথাও লেখা আছে না নবী এই আজান গাওয়ার বাণীগুলি শিখিয়েছে- এর কোনটাই ঘটেনি। আজানের উত্পত্তি হিসেবে যা জানা যায় তা এরকম: কি করে নামাজের সময় সবাইকে জানানো হবে তা নিয়ে মিটিং বসে। কেউ বলে ঘন্টা বাজানো হোক। তখন গির্জায় এরকম হয় বলে সেটা বাতিল করা হয়। কেউ বলে আগুন জ্বালানো হবে, কেউ শিংঙ্গা ফুঁকার কথা বলে... কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই মিটিং শেষ হয়ে যায়। পরদিন একজন সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (বড় কোন সাহাবী তিনি নন) এসে দাবী করেন তিনি স্বপ্নে দেখেছেন কেউ একজন তাকে কিছু শিখিয়ে দিয়েছে নামাজের জন্য ডাকার উদ্দেশ্যে। কি সেটা করতে বলায় তিনি আজান সুর করে গাইতে থাকেন। মুহাম্মদের শুনে এটা ভালো লাগে। তিনি নির্দেশ দিলেন তাহলে এটাই এখন থেকে নামাজের জন্য সবাইকে ডাকার মাধ্যম হলো। সেই থেকে আজানের সূচনা হলো।

#খুবই অগ্রহণযোগ্য একটি সমাধান তাই না? আল্লা নিজে কেন আজানকে নাযিল করলেন না? মুহাম্মদই না হয় দাবী করত জিব্রাইল এসে তাকে এই গান শিখিয়ে দিয়ে গেছে। একজন সাহাবীর কথিত স্বপ্ন মুসলমানদের প্রত্যহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনার জন্য কেন নির্ধারণ হলো? তাহলে আর নবীর কি প্রয়োজন? এমন কি ভোরবেলার আজানে বাড়তি যে অংশটি বলা হয় ‘ঘুম থেকে নামাজ উত্তম’ ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ এটিও একজন ব্যক্তির মুখের উক্তিকে কপি করা হয়েছে। একদিন মুয়াজ্জিন বিল্লাল ফজরের নামাজের জন্য মুহাম্মদকে ডাকতে গেলে আয়েশা জানায় নবী ঘুমাচ্ছে। তখন বিল্লাল যেতে যেতে বলতে থাকে ‘ঘুম থেকে নামাজ উত্তম’ ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’। মুহাম্মদ ঘুম থেকে জাগলে আয়েশা বিল্লাল যা বলে গিয়েছিলো জানালে মুহাম্মদ মুচকি হেসে বলেন এখন থেকে এই কথাটাও আজানে যুক্ত করতে হবে...।



তথ্যসূত্র : তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৫৯০ যঈফ, জামি ৪৮৬৬ যঈফ, মিশকাত ১১১৯ যঈফ।

#সুষুপ্ত #পাঠক #Azan #Islam #Namaz #Hazrat #Billal #Hadith

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted