ঔরঙ্গজেব-এর জিজিয়া কর চালু ও বেইমানির প্রেক্ষিতে ঔরঙ্গজেবকে শিবাজি ও গুরু গোবিন্দ সিং-জীর কোরআন শিক্ষা

*ঔরঙ্গজেব-এর জিজিয়া কর চালু ও বেইমানির প্রেক্ষিতে ঔরঙ্গজেবকে শিবাজি ও গুরু গোবিন্দ সিং-জীর কোরআন শিক্ষা* - পর্ব-১ 

হাজার চেষ্টা করেও শিবাজিকে দমন করতে পারেননি ঔরঙ্গজেব। জীবনের শেষ চিঠিতেও শিবাজিকে স্মরণ করে হাহুতাশ করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। সে চিঠি অন্য পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বর্তমান পোস্টে, ঔরঙ্গজেব হিন্দু ও অমুসলিমদের জন্য জিজিয়া কর চালু করার পর, শিবাজির ঔরঙ্গজেবকে লেখা চিঠির নির্বাচিত অংশ আলোচনা করবো l

শিখ দশম গুরু গোবিন্দ সিং-জীর পিতা গুরু তেগ বাহাদুরকে হত্যা করিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। পরে গুরু গোবিন্দ সিং-জীর দুই শিশু পুত্রকে ইটের গাথনিতে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যা করেন ঔরঙ্গজেব – তাঁর পাঞ্জাব সিরহিন্দের মুঘল গভর্নর মির্জা আসকারি বা উজির খান । কোরআনের নামে শপথ নিয়েও বেইমানি করে গুরু গোবিন্দ সিং-জীকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। তারপর গুরু গোবিন্দ সিং ঔরঙ্গজেবকে একটি চিঠি লেখেন – যা ‘জাফরনামা’ নামে পরিচিত। বর্তমান পোস্টে সেই চিঠির অংশবিশেষ আলোচনা করবো। 

কার্ল মার্ক্সের পর্যবেক্ষণে, এই হিন্দু বিদ্বেষই, ঔরঙ্গজেব তথা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা। ১৬৭০-এর ঘটনায়, মার্ক্স লিখছেন –

‘Aurangzeb violated the treaty; Shivaji first commenced operations by seizing Poona, and sacked Surat and Khandesh, while Muazzam, Aurangzeb’s son, inactive at Aurangabad. Mahabbat Khan was despatched, and terribly beaten by Shivaji. Aurangzeb recalled his armies and suspended hostilities. From then on, decline of Aurangzeb’s influence; all parties irritated against him; his Mogul soldiers furious over his futile Maratha campaigns, and the Hindus, because he had re-introduced the jeziah and persecuted them on all sides.’ (পৃ ৪৪)

এর বাংলা অনুবাদ –

“আওরঙ্গজেব চুক্তি লঙ্ঘন করেছিলেন; শিবাজি প্রথমে পুনা দখল করে অভিযান শুরু করেন এবং সুরাট ও খানদেশকে ধ্বংস ও লুণ্ঠন করেন, যখন আওরঙ্গজেবের পুত্র মুয়াজ্জাম ঔরঙ্গাবাদে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। মহাব্বত খানকে (শিবাজির বিরুদ্ধে) প্রেরিত করা হয়, এবং শিবাজী তাকে ভয়ঙ্করভাবে ‘পেটান’ বা পরাজিত করেন। (এরপর) আওরঙ্গজেব তার বাহিনী প্রত্যাহার করেন এবং শত্রুতা স্থগিত করেন। তারপর থেকে, আওরঙ্গজেবের প্রভাবের পতন; সব দল তার বিরুদ্ধে বিরক্ত হয়; তার মোগল সৈন্যরা তার নিরর্থক মারাঠা অভিযান নিয়ে ক্ষিপ্ত হয় । হিন্দুরা ক্রুদ্ধ ছিল, কারণ তিনি জেজিয়া কর পুনরায় চালু করে্রেন,এবং হিন্দুদের নানাভাবে অত্যাচার করেছিলেন।“

১৬৭৯-তে জিজিয়া চালু করার পর, ঔরঙ্গজেবকে লেখা শিবাজির বিখ্যাত চিঠির অংশবিশেষ দিয়ে শুরু করি। ফার্সি ভাষায়, সাহিত্য রসোত্তীর্ণ চিঠিটি ড্রাফ্‌ট করেছিলেন শিবাজির সেক্রেটরি নিল প্রভু।

ইংরাজি অনুবাদে চিঠিটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, চিঠিটির তিনটি স্তর আছে ।

ওপরের স্তর কূটনৈতিক প্রথা সম্মত পরিভাষা, অর্থাৎ ঔরঙ্গজেবকে লিখিত চিঠির প্রথাগত (অর্থাৎ এক রাজার আর এক রাজাকে লেখার প্রথা) সম্মান ও বিনয় প্রদর্শনের কোন খামতি নেই । চিঠিটির দ্বিতীয় স্তরে ব্যঙ্গের চাবুক; যেমন, এই লাইনটি – ‘যদিও এই শুভাকাঙ্ক্ষী তার প্রতিকূল ভাগ্য দ্বারা পরিচালিত হয়ে ছুটি না নিয়ে আপনার মহান উপস্থিতি থেকে দূরে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল, তবুও তিনি যথাসম্ভব এবং যথাযথভাবে সর্বদা প্রস্তুত, একজন সেবক হিসাবে সমস্ত কর্তব্য করার …’

শিবাজি তাঁর আগ্রা থেকে পলায়নকে চিনির রসে জাড়িয়ে বলেছেন – ‘ছুটি না নিয়ে আপনার মহান উপস্থিতি থেকে দূরে চলে আসতে বাধ্য’ হওয়া!

এর পরিহাস ঔরঙ্গজেব হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলেন, যার প্রমাণ তাঁর শেষ ইচ্ছাপত্রের ১২ নং ইচ্ছা ।

আর চিঠিটির তৃতীয় স্তরে যে ব্জ্র কঠিন চরিত্রের শিবাজিকে পাওয়া যায়, তিনি যে ভারতীয় ইতিহাসের এক আইকন হবেন, বিচিত্র কি। তিনি লিখছেন – ‘সম্প্রতি আমার কানে এসেছে যে আমার সাথে যুদ্ধে আপনার সম্পদ নিঃশেষ করে এবং আপনার কোষাগার খালি করে, মহারাজ এখন হুকুম দিয়েছেন যে হিন্দুদের কাছ থেকে জাজিয়ার নামে টাকা আদায় করতে হবে এবং তা দিয়ে সাম্রাজ্যের প্রয়োজন মেটাতে হবে। মহারাজ বড়ই প্রসন্ন হয়েছেন।‘

শিবাজি বিনয়ী অথচ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন –

‘কিন্তু মহারাজের রাজত্বে, অনেক দুর্গ এবং প্রদেশ আপনার অধিকার থেকে চলে গেছে, এবং বাকিগুলিও শীঘ্রই যাবে, কারণ তাদের ধ্বংস এবং ধ্বংস করার ক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে কোন শিথিলতা থাকবে না।‘

শিবাজির স্পষ্ট ঘোষণা, যুদ্ধ চলবে ।

এরপর শিবাজি জানিয়েছেন ঔরঙ্গজেবের অপশাসন, এবং মুঘল শাসনের দুর্নীতি, এবং একই সঙ্গে চলেছে ব্যঙ্গের চাবুক –

‘কৃষকরা নিঃস্ব; প্রতিটি গ্রামের ফলন কমেছে … খোদ সম্রাট যখন দরিদ্র ও ভিক্ষুক, তখন মহিমান্বিত অফিসারদের অবস্থা সহজেই কল্পনা করা যায়। এটা এমন এক রাজত্ব যেখানে সেনাবাহিনী ক্ষতবিক্ষত, বণিকরা অভিযোগ করে, মুসলমানরা কান্নাকাটি করে, হিন্দুদের নাভিশ্বাস ওঠে, বেশিরভাগ মানুষের রাতে রুটির অভাব এবং দিনে যন্ত্রণায় এবং উদ্বেগে নিজেদের আহত করে …’

শিবাজির চিঠিতে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের অবস্থার করুণ চিত্র এবং ঔরঙ্গজেবের রাজধর্মের ব্যর্থতার বাস্তব চিত্র।

বৈপরীত্য চোখে পড়ার মত।

একদিকে ঔরঙ্গজেব জাজিয়া কর চালু করে মুঘল সাম্রাজ্যকে ইসলামী শাসনে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন; অন্যদিকে শিবাজি প্রকৃত রাজধর্ম পালন করে ভেবেছেন রেলিজিওন নির্বিশেষে সমস্ত সাধারণ মানুষের কথা ।

ঔরঙ্গজেব জিজিয়া করের ন্যায্যতা দিতে চেয়েছেন কোরানের নির্দেশ বলে। যেমন, কোরানের সূরাঃ ৯ আত-তাওবা-র নির্দেশ অনুযায়ী -

‘যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না ও পরকালেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা নিষিদ্ধ করেছেন, তা নিষিদ্ধ মনে করে না এবং সত্য ধর্ম অনুসরণ করে না, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে।‘ (সুরা ৯.২৯)

সুতরাং, পরিষ্কারভাবেই, জিজিয়া একপ্রকার যুদ্ধ। যার উদ্দেশ্য, অ-মুসলিমদের নত করা।

রেলিজিওনের ভিত্তিতে বৈষম্য করে জিজিয়া চালু করলে, অ-মুসলিম প্রজারা যে ‘আলাদা’ এই চেতনা নির্মাণ করা সহজ হবে, তারা রাজ অনুগ্রহ বঞ্চিত – এই বোধ তৈরি হবে, এবং তাদের অধিকাংশ ভয়ে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটে ইসলাম গ্রহণ করবে – এই ছিল ঔরঙ্গজেবের উদ্দেশ্য।

এ ক্ষেত্রে, ঔরঙ্গজেবের জিজিয়া কর প্রবর্তনের ন্যায্যতা ছিল ‘সুন্না’। জিজিয়ার একটি উদ্দেশ্য ইসলামে কনভার্ট করা । [উদাহরণ - হাদিস সুনন আবি দাউদ ৩০৫৪]। জিজিয়া কর আদায় মোহম্মদ করেছিলেন। [উদাহরণ – হাদিস জামি আৎ তিরমিধি ১৫৮৭]। ইসলামের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে মেরীর পুত্র যীশু এসে জিজিয়া কর রদ করবেন। [উদাহরণ – সাহি আল বুখারি ২৪৭৬]

শিবাজি ঔরঙ্গজেবকে লিখেছেন –

‘কিভাবে আপনার রাজকীয় সত্ত্বা আপনাকে অনুমতি দেয় বর্তমানের ভয়াবহ অবস্থার ওপর জাজিয়ার অত্যাচার যুক্ত করতে? আপনার কুখ্যাতি দ্রুত পশ্চিম থেকে পূর্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং ইতিহাসের বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়ে যাবে যে হিন্দুস্তানের বাদশা ভিক্ষুকদের ভিক্ষাপাত্র থেকে, ব্রাহ্মণ, জৈন সন্ন্যাসী, যোগী, সন্ন্যাসী, বৈরাগী, দরিদ্র, দরবেশ, দুর্ভিক্ষ-পীড়িত ধ্বংসপ্রাপ্ত হতভাগ্যদের কাছ থেকে জাজিয়া নেন। বাদশা বীরত্ব দেখাচ্ছেন ভিক্ষুকের ভিক্ষাপাত্র লুঠ করে, আর তাঁর পূর্বপুরুষ তিমুরিদের নাম এবং সম্মান মাটিতে ফেলে দিয়েছেন!’

এরপর শিবাজি ঔরঙ্গজেবকে কোরান শিক্ষাও দিয়েছেন –

‘আপনি যদি সত্যিকারের ঐশী কিতাব এবং ঈশ্বরের বাণী (অর্থাৎ, কুরআন) বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনি সেখানে দেখতে পাবেন যে, ঈশ্বরকে রব্-উল-আলামিন বলা হয়েছে, অর্থাৎ সকল মানুষের পালনকর্তা; শুধু রব্ব-উল-মুসলমিন নয়, অর্থাৎ শুধু মুসলমানের প্রতিপালক নয় ।…যে কোনো মানুষের নিজের রেলিজিওন চর্চার জন্য অন্ধতা দেখানো পবিত্র গ্রন্থের বাণী পরিবর্তন করার সমতুল্য।‘ 

এরপর, শিবাজি ঔরঙ্গজেবকে ব্যঙ্গ করে চ্যালেঞ্জ করেছেন – ভাবটা এই – ‘ক্ষমতা থাকলে রাজ সিংহের থেকে জিজিয়া নিয়ে দেখান, আর আমার থেকে আদায় করে দেখান!’ –

‘মানুষের উপর নিপীড়ন এবং হিন্দুদের আতঙ্কিত করা যদি আপনার মজহব নির্দেশিত পথ হয়, তাহলে আপনাকে প্রথমে হিন্দুদের প্রধান রানা রাজ সিংহের কাছ থেকে জাজিয়া আদায় করতে হবে। তাহলে আমার কাছ থেকে এটি সংগ্রহ করা খুব কঠিন হবে না, কারণ আমি আপনার সেবায় আছি। কিন্তু পিঁপড়া ও মাছিদের অত্যাচার করা প্রকৃত বীরত্ব থেকে অনেক দূরের কথা।‘

এবার গুরু গোবিন্দ সিং-জীর চিঠি …

গুরু গোবিন্দ সিং-জী ১৬৯৯ সালে শিখদের যোদ্ধা সম্প্রদায় ‘খালসা’ গঠন করেন এবং ‘পঞ্চ ক-কার’ প্রবর্তন করেন। তিনি ফার্সি ভাষায় ১৭০৭ সালে আওরঙ্গজেবকে একটি চিঠি লেখেন যা ‘জাফরনামা’ (বিজয়ের চিঠি) হিসাবে পরিচিত। শিখদের এই সময় দুঃসময়। গুরু গোবিন্দ সিং তার চার পুত্রকে হারিয়েছেন, আর বেশিরভাগ শিখ ছত্রভঙ্গ বা যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত। চিঠিতে গুরুজি ঈশ্বরের প্রশংসা করেছেন এবং তারপরে চমকৌরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং আওরঙ্গজেব এবং মুঘলদের শিখ-অনাক্রমণের শপথ ভঙ্গ বিশ্বাসঘাতকতার উল্লেখ আছে। ‘জাফরনামা’ শিখদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে শান্তিপূর্ণ উপায় ব্যর্থ হলে শক্তি প্রয়োগের মতবাদ এবং অনুমোদন রয়েছে। এখানেও গুরুজি কৃষ্ণ-নীতি ফিরিয়েছেন।

‘জাফরনামা-র’’ অংশবিশেষ দিলাম (আমার অনুবাদ) –

“আপনার শপথের প্রতি আমার কোন বিশ্বাস নেই, যদিও আপনি ঈশ্বরকে সাক্ষী করে দাও। আপনার উপর আমার এক বিন্দুও আস্থা নেই, কারণ আপনার সমস্ত উজির ও দরবারীরা মিথ্যাবাদী। যে আপনার কোরানের উপর নেয়া শপথে বিশ্বাস রাখে, সে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু সাবধান! উদ্ধত কাক তার গায়ে হাত দিতে পারে না যার রক্ষাকারী স্বর্গের পাখি হুমা। যে বাঘের আশ্রয় চায় সে কি ছাগল, হরিণ বা মহিষ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে? (১৩-১৭)।

আমি জানতাম না যে, হে মানুষ, আপনি মিথ্যাবাদী, আত্মপূজাকারী এবং বিশ্বাস ভঙ্গকারী। না, আপনার ইমান নেই, দ্বীনও রাখেন না, আল্লাহকে জানেন না এবং মুহাম্মাদকেও বিশ্বাস করেন না (৪৪-৪৬)। কোরানের উপর শপথ কি তা আপনার কোন ধারণা নেই: না, এক ঈশ্বরে আপনার বিশ্বাস নেই। এখন আপনি যদি কোরানের উপর একশবার শপথ করেন, তাহলেও আপনার কথাকে গুরুত্ব দেবো না, এক বিন্দুও না। ইমানের প্রতি আপনার প্রকৃত আস্থা থাকলে, আপনি সাহস নিয়ে আমার কাছে আসতেন। যখন আপনি আল্লাহ-র নামে শপথ করেছিলে্ন, বিশ্বাস রাখা আপনার কর্তব্য ছিল (৪৮-৫১)।

সাচ্চা পুরুষ সে যে কথা দিয়ে কথা রাখে; মনে এক জিহ্বায় অন্য নয়। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল কাজীর কথাকে সম্মান করার, যদি তা সত্য হয় তবে আপনি আমার কাছে আসুন । আপনি যদি কোরানের উপর আবার শপথ নিতে চান, আমি আপনার কাছে কোরআন পাঠাতে পারি। (৫৫-৫৭) 

সমস্ত সৃষ্টির সার্বভৌম ঈশ্বরের নামে আপনি সিংহাসন দখল করেছেন, কিন্তু আজব আপনার ন্যায়বিচার, অদ্ভুত আপনার গুণ! কিন্তু সাবধান…আপনার তরবারি দিয়ে বেপরোয়াভাবে অন্যের রক্ত ঝরাবেন না, সেই উঁচু তলোয়ার আপনার ঘাড়েই পড়বে। (৬৬-৬৯)

আমি বিশ্বাস করি না আপনি আল্লাহ্‌-কে জানেন, যেহেতু, আপনার কাছ থেকে এসেছে কেবল অত্যাচারী কাজ। (85) দয়াময় আল্লাহও আপনাকে চিনবেন না এবং আপনার সমস্ত ধন-সম্পদ দিয়ে আপনাকে গ্রহণ করবেন না। (86) এখন যদি আপনি কোরানের উপর একশবার শপথ করেন, আমি আপনাকে এক মুহূর্তও বিশ্বাস করব না। (৮৫-৮৭)”।

শিবাজির স্মৃতি সারা জীবন ঔরঙ্গজেবকে ধাওয়া করেছিলো। ঔরঙ্গজেবের কফিনে পেরেক সেট করে হাতুড়ির ঘা দিয়েছিলেন শিবাজি।

আর ঔরঙ্গজেবের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতলো গুরু গোবিন্দ সিং-জীর ঐ চিঠি।

ক্রমশ 

ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় 
২৯.১২.২২
বৃহস্পতিবার

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted