মিথ্যা বলার ইতিহাস :
মুহম্মদের কাছে প্রতিজ্ঞার কোনো মূল্য ছিলো না, একথা মুহম্মদ নিজে বলেছে, দেখুন নিচের হাদিসগুলো-
“আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না।" (সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস- ৪২৭)
এই হাদিসের ইংরেজি ভার্সন নিচে দেখুন মুসলিম শরীফের দুটি হাদিসে-
"Abu Huraira reported Allah’s Messenger (may peace be upon him) as saying: He who took an oath and then found another thing better than (this) should expiate for the oath (broken) by him, (MUSLIM SHARIF, Book 015, Number 4053)
"Adi b. Hatim reported Allah’s Messenger (may peace be upon him) as saying: He who took an oath, but he found something else better than that, should do that which is better and break his oath. (MUSLIM SHARIF, Book 015, Number 4057)
কাউকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা ভাঙতে গেলে মিথ্যা বলতেই হয়; কারণ, মিথ্যা বলা ছাড়া প্রতিজ্ঞা ভাঙার কোনো উপায় নেই। সুতরাং বুখারি ও মুসলিম শরীফের এই তিনটি হাদিস থেকে প্রমাণিত যে মুহম্মদ মিথ্যা বলতো।
মুহম্মদ যে তার প্রতিজ্ঞা পালন করতো না, সেই ইতিহাস আছে হুদায়বিয়ার সন্ধির ঘটনাতেও; কারণ, হুদায়বিয়ার সন্ধি হয়েছিলো ১০ বছরের জন্য, কিন্তু মুহম্মদ তা ভঙ্গ করে মক্কা আক্রমন করে আড়াই বছরের মাথায়, আর মুহম্মদ Better কিছু দেখলে যে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতো, সেটা তো উপরে হাদিসেই দেখালাম।
সুতরাং মুহম্মদ যে মিথ্যা বলতো, সেটা হুদায়বিয়ার সন্ধির ঘটনাতেও প্রমাণিত। যদিও মুসলমানরা বলে যে সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করেছিলো কুরাইশরাই, যে কারণে নবী ১০ বছরের আগেই মক্কা আক্রমন করেছিলো, কিন্তু বাস্তবে এটিও একটি মিথ্যা প্রচার, শুধু হুদায়বিয়ার সন্ধি নিয়ে আমার একটি প্রবন্ধ আছে, সেটা পড়া থাকলে বা পড়লে আপনার প্রকৃত সত্যটা জানতে পারবেন।
যা হোক, মুহম্মদের মহামিথ্যা বলার একটি প্রমাণ হলো মেরাজের ঘটনা।
মুহম্মদ. তার বাল্যকালের প্রেমিকা উম্মে হানির ঘরে সারারাত কাটিয়ে সকালবেলা পাবলিকের হাতে ধার খেয়ে বলে দেয়- সে ডানাওয়ালা ঘোড়ার দেহ আর নারীর মুখ সম্বলিত জন্তু বোরাকের পিঠে চড়ে সাত আসমান পেরিয়ে আল্লার সাথে দেখা ক'রে বেহেশত ও দোযখ পরিদর্শন করে এসেছে এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান নিয়ে এসেছে।
অক্সিজেন ছাড়া পৃথিবী থেকে উর্ধ্বে সাত কি.মি গেলেই একজন মানুষ মারা যাবে, একারণেই অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টের চূড়ায় কেউ উঠতে পারে না। আবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে উপরে উঠে কোনো পাখি বা বিমান উড়তে পারে না; কারণ, বাতাস ছাড়া বিমান বা পাখি চলতে পারে না, যে জন্য মহাকাশ ভ্রমণের জন্য রকেট ব্যবহার করা হয়; কারণ, রকেট বাতাসের সাহায্য ছাড়াই চলতে পারে। অথচ মুহম্মদ নাকি কোনো অক্সিজেন ছাড়াই বোরাকের ডানার সাহায্যে সাত আসমান, যার কোনো অস্তিত্বই নেই, তা পেরিয়ে আল্লার সাথে দেখা করে এসেছে, এটা মহামিথ্যা ছাড়া আর কী ? আর এই মহামিথ্যার জনক মুহম্মদ।
মুহম্মদের গ্রেট মিথ্যা বলার প্রমাণ আছে কোরানের মধ্যে, এবার সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করছি-
জন্মসূত্রে জায়েদ এর পুরো নাম জায়েদ বিন হারিথ। এর মানে হলো সে হারিথ নামে কোনো এক ব্যক্তির পুত্র। এই জায়েদ ছিলো জন্মসূত্রে সিরিয়ার অধিবাসী এবং বাল্যকালে তাকে কেউ চুরি ক’রে ক্রীতদাস হিসেবে মুহম্মদের ৪০ বছর বয়স্কা স্ত্রী খাদিজার কোনো এক আত্মীয়ের কাছে বিক্রি করে দেয়, পরে সে ঐ নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে খাদিজার কাছে হ্যান্ডওভার হয় এবং খাদিজার কাছেই বড় হতে থাকে।
এরপর ২৫ বছর বয়সী মুহম্মদের সাথে খাদিজার বিয়ে হলে জায়েদ ও মুহম্মদের খুব ভাব হয় এবং খাদিজা, জায়েদকে, মুহম্মদের অধীনে দিয়ে দেয়, ফলে জায়েদ ক্রীতদাস অবস্থা থেকে মুক্ত হয়। পরে, জায়েদের বাবা, তার ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে মক্কায় আসে এবং জায়েদের সন্ধান মুহম্মদের কাছে পেলে, জায়েদকে যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মুহম্মদ, যেহেতু তার কোনো পুত্র সন্তান ছিলো না, সেহেতু সে, জায়েদকে দত্তক পুত্র হিসেবে নেয় এবং মক্কায় সর্বসমক্ষে ঘোষণা করে,
“হে লোক সকল, আমি জায়েদকে আমার পুত্র হিসেবে সর্ব সমক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছি, আর তোমরা তার সাক্ষী থাকো, আজ থেকে আমি তার উত্তরাধিকারী, আর সে আমার উত্তরাধিকারী।”- (মিশকাত হাদিস, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৩৪০)
এই ঘোষণার পূর্বাপর ঘটনার কারণে জায়েদ তার জন্মদাতা পিতার সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার পিতা, পেয়েও সন্তান হারানোর শোক ও গভীর মনোবেদনা নিয়ে চোখের জলে মক্কা ত্যাগ করে।
যা হোক, এরপর জায়েদ বিবাহযোগ্য হলে, মুহম্মদ তারই ফুফাতো বোন জয়নাবের সাথে তার বিয়ে দেয়। মুহম্মদ যখন জয়নাবের জন্য বিয়ের প্রস্তাব জয়নাবের বাড়ি পাঠায়, তখন জয়নাব ভেবেছিলো মুহম্মদই তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু যখন সে শুনে তার বিয়ে হচ্ছে জায়েদের সাথে তখন সে একটু মনক্ষুণ্নই হয়; কারণ, জয়নাবের স্বপ্ন ছিলো মুহম্মদের সাথেই তার বিয়ে হবে। কেননা, মুহম্মদ তখন মদীনার একচ্ছত্র রাজা, আর রাজা যতই বৃদ্ধ হোক, রাজাকে বিয়ে করে রাজরানী হওয়ার সুখ ও প্রভাব প্রতিপত্তি কে না চায় ? কিন্তু রাজাকে না পেলেও রাজার ইচ্ছাকে পাশ কাটানোর ক্ষমতা শুধু জয়নাবেরই নয়, মদীনার কারোরই ছিলো না; তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও জয়নাবকে জায়েদের ঘরে যেতে হয়। জয়নাব ও জায়েদের এই বিয়ে হয় ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে, মুহম্মদের মক্কা থেকে মদীনায় পলায়নের ৭ বছর পর।
বিয়ের কিছু দিন পরেই, মুহম্মদ কোনো একটা কাজে জায়েদের বাড়ি যায় এবং হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে পড়ায় জয়নাবকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে মুহম্মদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,
“সকল প্রশংসা আল্লাহর, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।”
আপনারা বাস্তব অবস্থা একটু বিশ্লেষণ করলেই বুঝবেন, জীবনে দুই একবার ঘরের লোকদের সামনে এরকম ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়; কোনো সভ্য পুরুষ যেমন এই ধরণের ঘটনাকে দেখেও না দেখার ভান করে বা করবে, তেমনি কোনো সভ্য মহিলাও এসব ঘটনা ঘটার পর তা ভুলে যেতে চেষ্টা করে বা করবে, সেটা অন্যকে বলা তো দূরের কথা। কিন্তু জয়নাব, জায়েদ যখন বাড়িতে আসে তখন তাকে সব বলে দেয়- যেন পাড়ার কোনো লোক তাকে টিজ করেছে বা কুপ্রস্তাব দিয়েছে!
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শুনে জায়েদ তার স্ত্রীকে বলতো- যা হয়েছে ভুলে যাও, ঘরের লোকেদের সামনে ওসব হয়েই থাকে, এরপর থেকে সতর্ক থাকবে যাতে এমন আর না ঘটে।
কিন্তু সব শুনেই জায়েদ তার পিতার কাছে ছুটে যায় এবং বলে, “আপনার মনে হয় জয়নাবকে পছন্দ হয়েছে, আমি ওকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন।”
জয়নাবের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে জায়েদের কি এমন হয়েছিলো যে- সে নিজের পিতাকে, তারই স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে ? মানুষ তার নিজের স্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করে, জীবন পর্যন্ত দেয়; কারণ, রক্তের সম্পর্কের কেউ না হলেও স্ত্রী ই যে কোনো মানুষের কাছে একসময় হয়ে উঠে সবচেয়ে আপন, তাই স্ত্রীর তুলনায় পিতা-মাতা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন সবাই তুচ্ছ হয়ে যায়। সেই স্ত্রীকে জায়েদ কেনো স্বেচ্ছায় তার পিতার বিছানায় তুলে চাচ্ছে, এর পেছনের ঘটনাটা আসলে কী ? এই স্বেচ্ছাদানের পেছনে জায়েদের মনে আসলে কী কাজ করছিলো ?
প্রকৃতপক্ষে জায়েদ খুব ভালো করেই জানতো তার পিতা মুহম্মদের মনস্তত্ত্ব। জায়েদ যখনই জয়নাবের কাছে শুনেছে যে, তাকে ঐ স্বল্প বসনে দেখেই মুহম্মদ বলে উঠেছে-
“সকল প্রশংসা আল্লাহর, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।”
তখনই জায়েদ বুঝে গিয়েছিলো যে, তার পিতা, তার স্ত্রীকে পছন্দ করে ফেলেছে, আর কোনো উপায় নেই, আর বেশি সময়ও নেই, এখন একমাত্র কাজই হলো অপেক্ষা না করে নিজেই গিয়ে পিতার কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া। জায়েদের এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ হলো, জায়েদ নিজের চোখে দেখেছে, নিজের উদ্দেশ্য সাধনে তার পালক বাপ কী পরিমান নিষ্ঠুর ও নৃশংস হতে পারে। কারণ, মুহম্মদ ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে একদিনে ৮০০ কুরাইজা ইহুদিকে হত্যা করে গনিমতে মাল হিসেবে তাদের সকল নারী শিশু এবং তাদের সম্পদ দখল করেছিলো এবং সেই গণহত্যার রাতেই কুরাইজা গোত্রের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে রিহানাকে শয্যা সঙ্গিনী বানিয়েছিলো। এরপর ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে খয়বরের যুদ্ধের সময় গোত্রপতি কিনানার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করার জন্য, কিভাবে কিনানার বুকের উপর জ্বলন্ত কাঠ রেখে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে কিনানাকে হত্যা করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করে সেই রাতেই তাকে ভোগ করেছিলো, এসব ঘটনা মুহম্মদ ঘটিয়েছে জায়েদের চোখের সামনেই। তাই জায়েদ ছিলোআতঙ্কিত, সে ভেবেছিলো, আর কোনো রক্ষা নেই, এখনই স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন না করলে যে কোনো প্রকারেই হোক তাকে খুন করে হলেও তার পিতা, তার স্ত্রীকে হস্তগত করবেই, যেহেতু তার পিতার মনে তার স্ত্রীকে লেগে গিয়েছে এবং এর জন্য যদি প্রয়োজন হয় আরবের প্রচলিত রীতি নীতি উল্টাতে এবং তাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোরানের নামে বাণী নাজিল করতেও মুহম্মদ দেরি করবে না; বাস্তবে হয়েছিলোও তাই। নিজের স্ত্রীকে, মুহম্মদের বিছানায় তুলে দিয়েও জায়েদ তার শেষ রক্ষা করতে পারে নি ।
যা হোক, আতঙ্কিত হয়ে জায়েদ যখন তার বাপের কাছে গিয়ে বলে, আমি জয়নাবকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন। তখন মুহম্মদ ভদ্রতা দেখিয়ে বলে,
“তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো।”
মুহম্মদ যদি কোনো সভ্য মানুষ হতো তাহলে এই কথা না বলে বলতো, “তুমি এমন প্রস্তাব আমাকে দেওয়ার সাহস কী করে পাও ? তুমি আমার পুত্র, আর জয়নাব আমার মেয়ের মতো।”
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মুহম্মদ যদি নৃশংস সন্ত্রাসী না হয়ে কোনো সভ্য মানুষ হতো, তাহলে সে জয়নাবের সামনে- কখন কার মন পরিবর্তন করিয়ে দেয় – ঐ কথা না বলে বৌমাকে ঐ অবস্থায় দেখেও তার পোষাক ঠিক করার জন্য তাকে সময় দিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকতো, আর জায়েদকে তার পিতার কাছে এসে এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার প্রয়োজনই পড়তো না।
কিন্তু মুখে মুহম্মদ লোকলজ্জার ভয়ে জায়েদকে ঐ কথা বললেও তার মনের কথা ওটা ছিলো না, মুহম্মদ সব সময় ভাবছিলো কিভাবে জয়নাবকে কব্জা করা যায়। ভাবনাতেই তো মানুষের মনে বাণীর উদয় হয়, তাই কয়েক দিন ভাবনার পর মুহম্মদের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার জন্য তার আল্লাও মুহম্মদের ইচ্ছা পূরণের বাণী নিয়ে এসে হাজির!
সেই দিন মুহম্মদ ছিলো আয়েশার ঘরে, আয়েশার বয়স তখন মাত্র ১৪/১৫, খাদিজা মারা যাওয়ার পরেও মুহম্মদের ঘরে তখন পাঁচ ৫টা বউ। মুহম্মদের উপর নাজিল হলো কোরানের ৩৩/৩৭ আয়াত-
“হে নবী, সেই সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন তুমি সেই ব্যক্তিকে যার প্রতি আল্লাহ এবং তুমি অনুগ্রহ করেছিলে, বলেছিলে যে, তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আ্ল্লাহকে ভয় কর। তখন তুমি নিজের মনে সেই কথা লুকিয়েছিলে, যা আল্লা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। তুমি লোকদেরকে ভয় করেছিলে, অথচ আ্ল্লাহর অধিকার সবচেয়ে বেশি যে, তুমি তাকেই ভয় করবে। পরে জায়েদ যখন তার নিকট হতে নিজের অধিকার পূর্ণ করে নিলো, তখন আমি তাকে তোমার সহিত বিবাহ দিলাম, যেন নিজেদের পোষ্যপুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিন লোকদের কোনো অসুবিধা না থাকে… যখন তারা তাদের নিকট হতে নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করে নিয়েছে। আল্লার নির্দেশই তো পালিত হওয়া উচিত ছিলো।”
উপরের এই আয়াতটি ভালো করে খেয়াল করুন, জায়েদকে মুহম্মদ যে বলেছে- “তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো।” এটা আসলে মুহম্মদের মনের কথা ছিলো না, মুহম্মদ মিথ্যা বলেছিলো, এজন্য এই আয়াতে আল্লা বলেছে- তুমি নিজের মনে সেই কথা লুকিয়েছিলে (মানে মিথ্যা বলেছিলে), যা আল্লা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
উপরের এই সার্বিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন আপনারাই বলুন, মুহম্মদ, মিথ্যা বলতো কি না ? আর একটি ধর্মের প্রবর্তক যদি তার দেওয়া কথা না রাখে এবং তার মনের ও মুখের কথা যদি এক না হয়, তার অনুসারীদের চরিত্র কেমন হবে ? বাস্তবে হয়েছেও তাই, মুসলমান মানেই মামুনূল হকের মতো মিথ্যুক, যেমন ছিলো তাদের নবী।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................