বেদ ও কোরান সম্পর্কে বিখ্যাত মনীষীরা যা বলেছেন।

বেদ ও কোরান সম্পর্কে বিখ্যাত মনীষীরা যা বলেছেন :

১। বেদ হচ্ছে শল্যবিদ্যা, শরীরবিদ্যা, প্রকৌশল, গণিত, সঙ্গীত, সংস্কৃতি, সকল কিছুর এক মিলিত সমাবেশ, যেন এক জীবন্ত বিশ্বকোষ।- উইলিয়াম জেমস, বিখ্যাত আমেরিকান দার্শনিক

২।পৃথিবীতে বেদ ও উপনিষদ এর মতো এত প্রণোদনাপূর্ণ, এত অতিমানবীয় গ্রন্থ আর নেই।-ম্যাক্স মুলার, প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক

৩।যখন আমি বেদ পড়ি তখন এক অপাকৃত আলোক যেন আমায় আলোকিত করে, এটি এমন একটি গ্রন্থ যাতে কোনো বিভেদ নেই, এটি সকল দেশ, সকল জাতি, সকল কালের জন্য, যেন জ্ঞান অর্জনের এক রাজকীয় পথ।-হেনরী ডেভিড থরো

৪।এই পর্যন্ত বেদ এত যত্নের সাথে সংরক্ষিত হয়েছে যে, আর কোনো গ্রন্থের সাথেই তার তুলা দেওয়া যায় না। এরকম পরিবর্তিত হবার ক্ষীণতম সম্ভাবনা পর্যন্ত না থাকা মানব ইতিহাসের একমাত্র দৃষ্টান্ত।- আর্থার এন্থোনি ম্যাকডোনেল

৫। আমরা আর্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ কেননা তারা সংখ্যা আবিষ্কার করেছেন, যা ছাড়া বিজ্ঞানের কোনো আবিষ্কারই সম্ভবপর হতো না।- স্যার এ্যালবার্ট আইনস্টাইন

৬। আশ্চর্য! বুঝতে পারলাম যে, যত ঐশ্বরিক গ্রন্থের কথা শোনা যায়, তাদের মধ্যে বেদই একমাত্র গ্রন্থ যার সকল ধারণা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, একমাত্র এটিই জগতের ক্রমান্বয় উন্নতির পথ ঘোষণা করে।- Louis Jacolliot, বিখ্যাত ফরাসী লেখক ও ধর্মতত্ত্ববিদ

৭। বেদ শুধু অসাধারণ জীবনদর্শনের জন্যই অবিস্মরণীয় নয়, বরং অনবদ্য বিজ্ঞানের জন্যও; বিদ্যুৎ, বিচ্ছুরণ, বিমানবিদ্যা সবই যেন বেদের ঋষিদের জানা ছিলো।- ইলা হুইলার উইলকক্স, প্রখ্যাত আমেরিকান লেখিকা

৮। সকল বুদ্ধিবৃত্তি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সকল ধর্মের ধারা বেদ থেকেই প্রবাহিত; এমনকি অসামান্য গ্রীক সভ্যতাকেও এর কাছে একেবারে বিবর্ণ মনে হয়।-ফ্রেডরিক ভন শেলজেল


৯। এটা খুবই আশ্চর্য যে - বেদের ভাষাশৈলী এত নিঁখুত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত যে, আধুনিক কালে আমাদের মিল্টন, শেকসপিয়ার বা টেনিসনকেও এর কাছে কম মনে হয়।- আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস

১০। নিঃসন্দেহে ঋগ্বেদ মানব সভ্যতার সর্বোচ্চ গরিমাময় রাজপথ।- প্রফেসর মরিস ফিলিপ (দ্য টিচিং অব বেদ গ্রন্থে)

১১। এটি এমন একটি তত্ত্ব যা এক স্রষ্টার অস্তিত্ব ঘোষণা করে, এটি এমন একটি গ্রন্থ যাতে বিজ্ঞান ও ধর্মের মিলন ঘটেছে।- ডব্লিউ. ডি. ব্রাউন

১২। বেদ হলো মানব সভ্যতার জন্য সবচেয়ে মূল্যবান উপহার, যার জন্য পাশ্চাত্য সব সময় প্রাচ্যের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবে।- ভলতেয়ার

১৩। ঋগ্বেদ মানবতার সর্বোচ্চ পথের সর্বশ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক।- গুইগুয়াল্ট

১৪। মূ্ল্যবান রত্নগুলো অনন্ত নয়। আদিকালের লোকেরা স্বর্ণ রৌপ্য, হীরক স্থাপত্য ব্যবহার করতো নিজেদেরকে অমর করে রাখার জন্য। আর্যগণ সে পথে যান নি। তাঁরা রেখে গেছেন সবচেয়ে বিশাল নিদর্শনটি, শব্দ। মিশরীয়রা অমরত্বের জন্য পিরামিড বানিয়েছিলো, আজ তা মরু ঝরে ক্ষয়ে গেছে, স্থাপত্য ধ্বসে পড়েছে ভূমিকম্পে, স্বর্ণ লুট হয়ে গেছে, কিন্তু আজও বেদ মানব সভ্যতায় এক অনন্ত তরঙ্গের ন্যায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে।- ড. জিন লি মি

১৫। বেদ মানবসভ্যতার প্রাচীনতম ক্ল্যাসিক, ভারতবর্ষের সবচেয়ে মূ্ল্যবান সম্পদ, সমগ্র ভারতের আত্মা এই বেদেই প্রোথিত।- এ পি জে আবুল কালাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি, ভারত।

এবার দেখা যাক ইসলম, কোরান ও মুসলমান সম্পর্কে কে কী বলেছেন-

১। কোরান ও ইসলামের তরবারি- মানব সভ্যতা, স্বাধীনতা ও সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু, যা আজ পর্যন্ত মানুষ দেখেছে।- স্যার উইলিয়াম মুর, বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, দ্য লাইফ অব মুহম্মদ গ্রন্থের রচয়িতা।

২। যতদিন কোরান আছে, ততদিন পৃথিবীতে কোনো শান্তি নেই।- উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন, বৃটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

৩। সম্প্রতি আমরা একটি ধর্মযুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছি, আক্ষরিক অর্থেই- কারণ, মুসলমানরা তাদের মূল ধারণাতে ফিরে আসছে যে, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রাণ দেওয়াটাই তাদের স্বর্গে যাওয়ার একমাত্র উপায়।- রোনাল্ড রিগ্যান, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট, টাইমস পত্রিকার সাথে এক ইন্টারভিউয়ে, ১৭ নভেম্বর, ১৯৮০।

৪।আজকের দিনে বলশেভিজমের মতো চরমপন্থী ইসলামও একটা সশস্ত মতবাদ। এটা একটা আক্রমনাত্বক ধর্মতত্ত্ব, যা সশস্ত্র ধর্মান্ধ অনুগামীদের দ্বারা প্রসার লাভ করেছে। কমিউনিজমের মতো এটাকেও দমন করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী রণনীতি প্রয়োজন।- মার্গারেট থ্যাচার, বৃটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০২ তারিখে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত তার একটি প্রবন্ধে এই কথা বলেছেন।

৫। ধর্মত্যাগের শাস্তি থেকে মুসলমানদেরকে মুক্তি দেওয়া হলে ইসলামের অস্তিত্ব আজ থাকতো না। ধর্মত্যাগ বিরোধিতায় ইসলামকে আজ এই অবস্থায় রেখেছে।- ইউসুফ আল কুয়ারাদায়ী, মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান, মিশর। 

৬। ইসলাম এমন একটি ধর্মবিশ্বাস, যা সমস্ত মানবজাতিকে দুটি চির বিবাদমান জাতি গোষ্ঠীতে ভাগ করে দিয়েছে। একদল, যারা আল্লাহ ও মুহম্মদকে বিশ্বাস করে, অর্থাৎ আল্লাহর দল, মুসলমানরা; আরেকদল শয়তানের দল অর্থাৎ সব অমুসলমানরা। ইসলামে- অমুসলিমদেরকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলাটা এতটাই জরুরী যে, ইসলামম, তার অনুগামী অর্থাৎ মুসলমানদেরকে, এর জন্য হত্যা, লুণ্ঠন, অমুসলিম নারীদেরকে অপহরণ করে ধর্ষণকেই সর্বাপেক্ষা বড় ধর্মীয় কর্তব্য বলে শিখিয়েছে। এসবই ইসলামে জিহাদ নামে পরিচিত এবং এসব কুকর্ম করেই মুসলমানরা কেবল বেহেশতে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারে।- আনোয়ার শেখ, ইসলাম এন্য হিউম্যান রাইটস গ্রন্থে
৭। বোমা বাঁধতে ও মারতে শেখায় ইসলাম ধর্ম।- তসলিমা নাসরিন

৮। মুসলমানদের মূলমন্ত্র আল্লাহ এক এবং মুহম্মদ তার পয়গম্বর। যাহা কিছু ইহার বহির্ভূত সে সমস্ত কেবল খারাপ নহে, উপরন্তু তৎক্ষণাৎ সে সমস্ত ধ্বংস করিতে হইবে। যে সমস্ত নারী ও পুরুষ এই মতে অবিশ্বাসী তাহাকে নিমিষেই হত্যা করিতে হইবে। যাহা কিছু এই উপাসনা পদ্ধতির বহির্ভূত তাহাকে অবিলম্বে ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হইবে। যে কোনো গ্রন্থে অন্যরূপ মত প্রকাশিত হইয়াছে, সেগুলিকে দগ্ধ করিতকে হইবে। প্রশান্ত মহাসাগর হইতে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত ব্যাপক এলাকায় দীর্ঘ পাঁচশত বৎসর ধরিয়া রক্তের বন্যা বহিয়া গিয়াছে, ইহাই মুসলমান ধর্ম।-স্বামী বিবেকানন্দ, প্র্যাকটিক্যাল বেদান্ত

৯। মুসলমানরা মুখে বলে চলেছে সার্বজনীন সৌভ্রাত্বের কথা, কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যাচ্ছে ? কোনো অমুসলমান ব্যক্তির পক্ষে এই ভ্রাতৃত্বের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সম্ভব তো নয় বটেই, বরং তার গলা কাটা যাবার সম্ভাবনাই দেখা দেবে।- স্বামী বিবেকানন্দ, জ্ঞানযোগ

১০। ইসলামের মতো অন্য কোনাো ধর্ম দেখিতে পাওয়া যায় নাই যাহাতে এই পরিমাণ রক্ত ক্ষরিত হইয়াছে ও যাহা অপরের প্রতি এতটা নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করিয়াছে। কোরানের মতে যে ব্যক্তি উহার শিক্ষাতে অবিশ্বাসী যে নিধন যোগ্য এবং তাহাকে হত্যা করার অর্থ তাহাকে দয়া প্রদর্শন। অপরূপ পরীতে পরিপূর্ণ এবং সর্ববিধ ইন্দ্রিয় সুখের আগার বেহেশতে পৌছিবার নিশ্চিততম পন্থা এই কাফেরদিগের নিধন।- স্বামী বিবেকানন্দ, প্র্যাকটিক্যাল বেদান্ত, ৪র্থ ভাগ

১১। সভ্যদেশে সেই সব লোকের কোনো স্থান নেই, যাদের ধর্ম শিক্ষা দেয়, যারা মুসলমান হতে অস্বীকার করে- তাদেরকে হত্যা করতে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতে, তাদের নারীদেরকে ধর্ষণ করতে, তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিতে অথবা জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করতে।- ড. বি.আর. আম্বেদকর, ভারতের সংবিধান প্রণেতা

১২। ইসলামের সৌভ্রাতৃত্ব সমগ্র মানব জাতির জন্য নয়। এ হলো মুসলমানের সঙ্গে মুসলমানদের সৌভ্রাতৃত্ব, যারা এই বাইরে তাদের জন্য আছে শুধু ঘৃণা ও শত্রুতা।- ড. বি.আর. আম্বেদকর, ভারতের সংবিধান প্রণেতা

১৩। নির্দোষ হলেও অমুসলমানদের হত্যা করা ইসলামে একটা কৃতিত্ব বলে মনে করা হয়। মুসলমানদের পক্ষে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে জয় করা বা আত্মিক উন্নতির চেষ্টা করা নিষ্প্রয়োজন। তাকে কেবল প্রতিবেশি অমুসলমানদের হত্যা করতে হবে, তাদের জমি ধন-সম্পদ ও নারীদের হরণ করতে হবে, কেবল এসব করেই একজন মুসলমান স্বর্গে যেতে পারে।- স্যার যদুনাথ সরকার, ইতিহাসবিদ।

১৪। বস্তুত মুসলমান যদি কখনো বলে হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চাই, সে যে ছলনা ছাড়া আর কিছু হইতে পারে, ভাবিয়া পাওয়া কঠিন।- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৫। দু হাতে সরয়ের তেল মেখে তিলের বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেবে, যত তিল দুহাতে লেগে যাবে, ততবারও যদি কোনো মুসলমান বলে আমি তোমার বন্ধু, খবরদার বিশ্বাস করবে না।- শিখগুরু গোবিন্দ সিং

১৬। আমি এমন ভগবানে (আল্লায়) বিশ্বাস করি না, যে আমায় ইহজগতে রুটি দিতে পারে না, কিন্তু স্বর্গে সে আমায় নিত্যমঙ্গল ও চিরন্তন পরমসুখ প্রদান করবে।- স্বামী বিবেকানন্দ, 

১৭। আপনি কখনোই মুসলমানদের প্রকৃত বন্ধু হতে পারবেন না, যদি আপনি ইসলাম গ্রহন না করেন।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কালান্তর।

বেদের মহানতাকে উপলব্ধির পাশাপাশি ইসলামের ভয়ঙ্কর দিক সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হোন, হিন্দু হিসেবে গর্বিত হওয়ার সাথে সাথে নিজের ভবিষ্যতকেও বাঁচাতে পারবেন।


0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted