প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না।।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।কিন্তু এ বিশ্বাস যে মানব ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর প্রতারণা।এই বিশ্বাসকে কেউ কোনদিন প্রশ্ন করে না।প্রশ্ন করা নিষেধ।অমান্য করলে হত্যার নির্দেশ।এই বিশ্বাস অক্ষর জ্ঞানহীন
প্রাকৃতজনের সাথে শিক্ষিত মানবিক জনের কোন পার্থক্য নেই।অন্ধ বিশ্বাসের তীব্রতা অভ্রভেদী।এই অন্ধ বিশ্বাসের কাছে মানবকূল তুচ্ছ নিমিষে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার নিধান।
এই পৃথিবীটা অন্ধ বিশ্বাসের এক কৃষ্ণগহবর।অজস্র মানুষ এই অন্ধ বিশ্বাসের কাছে নিজের অস্তিত্বকে হারিয়ে ফেলছে।বিশ্বাস একটি আপেক্ষিক বিষয়।অন্ধ বিশ্বাসে যদি বস্তু মিলত তাহলে পৃথিবীর অনেক সত্য মিথ্যে হয়ে যেত।
ধর্মযুদ্ধ মুসলমানের কাছে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।মুসলমানকে ধর্মযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আল্লাহর আদেশ নির্দেশ ও প্রলোভনের যে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যা নশ্বর এই পৃথিবীতে ক্ষনস্থায়ী মানব জীবনে সৃষ্টি করেছে এক মিথ্যা স্বপ্নের বেড়াজাল।কারন ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের ধর্ম গ্রন্থই সর্বশ্রেষ্ঠ।ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে কেউ বলার স্পর্দা দেখাতে পারেনি গ্রন্থে মিথ্যা কথা বলা আছে।
হিন্দু ধর্ম বলে,সত্য কথা বলবে,সত্য পথে চলবে,সৎ ও পবিত্র জীবন যাপন করবে।কাম,ক্রোধ ও লোভ ত্যাগ করবে তাহলেই ভগবানের কৃপা করুনা ও আশীর্বাদ পাবে।এই জন্য কোন জোড়াজুড়ি নেই।কিন্তু ইসলাম বলছে তার পথটাই আসল।ইসলাম কবুল করে মহম্মদের সত্য ধর্ম গ্রহণ করাই সঠিক পথ।আর সব পথই ভুল পথ।ভুল পথে থাকার ফলে কাফেরদের সমস্ত সৎ কাজ ও সৎ জীবন যাপন বৃথা হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে মহম্মদের সত্যধর্ম গ্রহণ করলে আল্লাহ তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেবেন।
আদর করে তাদের জান্নাতে নিয়ে যাবেন।সেইখানে তারা দুধের খাল থেকে দুধ,মধুর নহর থেকে মধু এবং মদের নহর থেকে যত ইচ্ছে মদ খেতে পারবে।অথচ পার্থিব জগতে আল্লাহ মদ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।সেখানে আরো রয়েছে সুস্বাদু স্বর্গীয় খাবার ও ফলমূল।সেখানে একটা খেজুর হবে ১২হাত লম্বা।একটা আঙ্গুর থেকে পাওয়া যাবে এক মশক রস।সেখানে তারা যা খাবে তা সবই হজম হয়ে যাবে।তাই মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হবেনা।
আল্লাহর জান্নাতে মুসলমানদের বয়েস ৩২ বছরের বেশি বাড়বে না।সেখানে তাদের যৌবন অটুট থাকবে।সেখানে প্রত্যেক মুসলমান পাবে হাজার হাজার হুরি বা স্বর্গীয় রমনী।হরিন নয়না সেই সব সুন্দরীদের আল্লাহ আলোর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।তাদের গায়ের রং ডিমের খোসার মতো।তাদের গা থেকে ছড়াবে মৃগনাভির গন্ধ।তারা যে সমস্ত জামা-কাপড় পরে থাকবে তা বাইরে থেকে ভিতর দেখা যাবে।
আল্লাহর জান্নাতে প্রত্যেক মুসলমান পাবে একখানা করে মুক্তার প্রাসাদ।সেই প্রাসাদে থাকবে ৭০টি চুনীর বাড়ি।প্রত্যেক বাড়িতে থাকবে ৭০টি পোখরাজের মহল।প্রত্যেক মহলে থাকবে ৭০টি ঘর।প্রত্যেক ঘরে থাকবে ৭০টি কার্পেট ঢাকা ৭০টি আরাম কেদারা।এবং প্রত্যেক আরাম কেদারায় বসে থাকবে একজন করে হুরি।আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানকে অসীম যৌন ক্ষমতা দেবেন যাতে সে প্রত্যেকটি হুরির সাথে যৌনক্রিয়া করতে পারে।কোন হুরির সাথে যৌন ক্রিয়া শুরু করলে তা ৪০ বছর স্থায়ী হবে।এটি কার্যত আল্লাহর বেশ্যাখানা।
এই বিশ্বাসের অন্তরালে দুনিয়ার সৃষ্টি তত্ত্বের কোন মিল নেই।পরলোকে অনন্ত স্বর্গবাস, অসূর্যম্পর্শ্যা চিরযৌবনা সহস্র নারীর রোমাঞ্চকর মধুর সঙ্গসুখের প্রলোভন একটি ধর্মকে মহিমান্বিত করে না বরং ধর্মের অসাড়তাই প্রমান করে।এই মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার পিছনে রয়েছে এক ভয়ংকর মিথ।মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনা ও তার চরিত্রের উন্নতির ব্যাপারে ইসলামের বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই।ইসলামের উদ্দেশ্য হল দুনিয়া ব্যাপী ইসলামের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................