পৌরানিক ভারত নুতন ভাবে ফিরে আসছে।ইন্ডিয়া হয়ে যাচ্ছে ভারত নামে।

পৌরানিক ভারত নুতন ভাবে ফিরে আসছে।ইন্ডিয়া হয়ে যাচ্ছে ভারত নামে।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍✍️✍️✍️✍️

এবার ঔপনিবেশিক আমলে গোলামীর শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে নরেন্দ্র মোদী সরকার উদ্যোগী হয়েছেন।এখন থেকে ইণ্ডিয়া ভারত নামে পরিচিত হবে।বৃটিশরা অতি সন্তর্পনে গোলামীর এই চিহ্নটি ভারতীয়দের ললাটে লিখে দিয়েছিল।ইন্ডিয়া ভারতীয় সংস্কৃতির ধারা বহন করে না।অথচ দীর্ঘ প্রায় ৩০০ বছর যাবৎ ভারতবাসী ভারতীয় পরম্পরা বিরোধী একটি কলঙ্কজনক নাম এতদিন বয়ে বেড়িয়েছে।

ভারত নামের উৎস হিন্দু পৌরানিক রাজা ভরতের নামে।সংস্কৃতে "ভা" শব্দের অর্থ হলো জ্ঞান আর "রত" শব্দের অর্থ হলো লিপ্ত থাকা।অর্থাৎ ভারত মানে যেই দেশ সদা জ্ঞান আহরনে লিপ্ত থাকে।যারজন্য ভারত পূর্বে বিশ্বগুরু নামে পরিচিত ছিল সারা বিশ্বে।মহাভারতে ভরতের রাজ্যকে বলা হতো ভারতবর্ষ।ভগবত পুরানে ভারত শব্দটি এসেছে জাত ভারতের নাম থেকে।ঋদ্বেগে দশ-রাজার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ভারতী নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
অগ্নিদেবতার আরেক নাম ভারত। 

সিন্ধুনদ অঞ্চলে বসবাসকারী বৈদিক জাতিসত্ত্বা থেকে ভারত নামকরণ হয়েছিল।সেখানে তখন আর্যদের বসবাস ছিল।ইউরোপীয়ানরা সিন্ধুনদের অববাহিকায় বসবাসরত বৈদিক আর্যদের যাযাবর মনে করত।আর্যদের যাযাবর মনে করার মধ্যে ছিল তুচ্ছতাচ্ছিল্য।অথচ তাদের হাত ধরেই সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।এছাড়া সংস্কৃত ভাষায় লিখিত বিভিন্ন শ্লোক এবং পৌরাণিক গ্রন্থে আর্যদের জ্ঞানী বা বুদ্ধিমান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০থেকে ১৫০০ অব্দে ভারতীয় উপমহাদেশে বৈদিক সংস্কৃতির আবির্ভাব ঘটে এবং বৈদিক ধর্মের উত্তরাধিকার সূত্রে উদ্ভব ঘটেছিল হিন্দু ধর্মের।
সিন্ধু নদের অববাহিকায় বসবাসরত হিন্দু জনগোষ্ঠী যার উত্তরসূরী আজকের হিন্দুস্তান বা ভারতবর্ষ।এই ধারণা অনুযায়ী ভারতবর্ষে বসবাসকারী লোকদের ঈশ্বরের পুত্র বলা হত। ভারতবর্ষে ঈশ্বরের পুত্রদের বসবাসকে অসম্মান করার জন্যই বৃটিশরা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতবর্ষকে ইন্ডিয়া নামের পরিচিতি বহাল রেখেছিল। 

India নামটি এসেছে প্রাচীন গ্রীকরা ভারতীয়দের বলত ইন্দোই বা ইন্দাস(সিন্দু)নদের অববাহিকার অধিবাসী ইন্দাস নাম থেকেই ইন্ডিয়া নামটি এসেছে।পরবর্তীতে বৃটিশরা India নামের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।অর্থাৎ ইন্ডিয়া ঔপনিবেশিক আমলে গোলামীর এক অসম্মানজনক বৈশিষ্ট্য যা এতদিন বৃটিশদের উত্তরসূরীরা বহন করে এসেছিল।

আজ সময় এসেছে গোলামীর শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলার।এর বিরোধিতা করে তারাই যারা এখনো ভারতকে বৃটিশদের প্রজা মনে করত।কিন্তু নুতন ভারতের প্রবক্তা উদীয়মান সূর্যের তেজ্যোদ্বীপ্ত রশ্মির আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত নেতা নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী ভারতীয় কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পুন:রুদ্ধারে ভারতকে তার ইতিহাস ফিরিয়ে দিতে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।তাই ইন্ডিয়া এখন থেকে হতে চলেছে ভারত নামে।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted