ইসলামের সৌন্দর্য!
একজন মানুষকে ইসলাম কতখানি কিম্ভূত দর্শন করে তোলে এটি যদি আপনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এক দশকের ছবিগুলো পরপর সাজিয়ে দেখেন তাহলে নিজের অজান্তেই বলে উঠবেন কী বিশ্রী! গোঁফ চেঁছে দাড়ি রাখলে তাকে খবিশের চেয়ে ভালো কিছু লাগবে না। অথচ এটাই ইসলাম নির্দেশিত দাড়ি রাখার বিধি। দাড়িও বলিউডের স্টাইলে হলে চলবে না। দাড়ি হতে হবে অবিন্যস্ত, বাজেভাবে নিচ দিয়ে কুকড়ে গেছে, নিয়ম হচ্ছে থুতনিতে ধরে একমুঠ হতে হবে দাড়ির সাইজ...। যদিও দাড়ির সাইজ নিয়ে ইসলাম একমত হতে পারেনি। সে বিতর্কে দাড়ি ধরে টানাটানি করে রক্তারক্তি করে হুজুররা শিরোনাম আগেই হয়েছে।
আপনি যত দামী প্যান্টই পরেন না কেন, যত অভিজাত টেইলার্স থেকে স্যুট-প্যান্ট বানান না কেন, সেটা টাকনুর উপর উঠিয়ে পড়লে আপনাকে গাড়লের মতোই দেখতে লাগবে। জাকির নায়েককে কী রকম হাস্যাস্পদ লাগে ভাবুন। এটাই ইসলামের পোশাক কোড! যা একজন মুসলিমকে কদর্য করে তোলে।
একজন আধুনিক পোশাক আশাকের মুসলিম ইয়ংম্যান তার বাচ্চারা আর তরুণী স্ত্রী এই সেদিনও কোথাও গেলে সকলের চোখে পড়তো। বৈশাখে, ঈদে, বিয়েতে, ম্যারেজ ডেতে, জন্মদিনে... তারা স্বাভাবিক দেশিয় পোশাক পরেই ঘুরতো। হঠাৎ ধর্মে মতি এলো, ছেলেটি শার্ট প্যান্ট ছেড়ে পায়জামা পাঞ্জাবী ধরলো। মুখে সেই গোঁফ চাঁছা অপদস্তের মতো দাড়ি। পায়জামা সুন্নত মেনে টাকনুর উপর। নামাজ ধরতেই বছর ঘুরতেই কপাল মেঝের উপর ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ পড়ে গেলো, স্ত্রীর পুরো শরীর মোড়ানো বস্তায়। ছেলেকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দিলো মাদ্রাসায়। মেয়েটির এসএসসি হয়ে গিয়েছিলো, বাপের হঠাৎ ইসলামের সৌন্দর্যের ঠেলায় তাকে লেখাপড়া ছেড়ে বিয়ের পিঁড়িতে গিয়ে বসতে হলো। না হলে জিনার দায়ে বাপের জান্নাত মিস হয়ে যায়!
তো, আপনি আপনার অভিজ্ঞতায় এমন মানুষজনকে কমবেশি দেখেছেন। তাদের এই ‘সৌন্দর্য’ দেখে বুকে হাত দিয়ে বলুন তো চিরন্তন সৌন্দর্য বলতে আমরা যা বুঝি তা কি বলা যায়? একনিষ্ঠভাবে ইসলাম পালন করতে গিয়ে তারা কতখানি কুৎসিত হয়ে গেছে বলেন তো?
©সুষুপ্ত পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................