একটা খুব মজার জিনিস হচ্ছে, ‘এক্স-মুসলিমদের হত্যা করা ওয়াজিব’ (মানে যদি সামর্থ থাকে তাহলে অবশ্যই পালনীয়) একজন মুসলিম হিসেবে এটা বলা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু এ ধরণের আহ্বান শুনে কেউ ভয় পেলে সেটার নাম হবে “ইসলামোফোবিয়া” যার বাংলা অর্থ “ইসলাম নিয়ে অহেতুক” ভয়!
আলী দাওয়াহ নামের একজন ইসলামের সৈনিক ইউটিউবে, টুইটারে এক্যাউন্ট খুলে ইসলাম প্রচার করে, এক্স-মুসলিমদের হত্যা করা যে ক্ষমতাবান মুসলমানের জন্য একটি ফরজ ইবাদত সেটি সে ভিডিও করে জানাচ্ছে। মিলিয়ন মিলিয়ন তার ফলোয়ার। সোশাল মিডিয়াতে এটা কোন অপরাধ নয়। তবে এর এগিনেস্টে দাঁড়ালেই সেটা হয়ে যাচ্ছে ‘ইসলামোফোবিয়া’! এক্স-মুসলিম এক্টিভিস্টরা অভিযোগ করে জানাচ্ছে, কেন একজন আলী দাওয়াহ ইসলাম ত্যাগকারীদের হত্যা করতে বলছেন, কিসের ভিত্তিতে সে এটা বলতে পারছে, এই নিয়ে লেখালেখি, আলোচনা সব কিছুকে লিবারালদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ ‘ইসলামোফোবিয়া’!
এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় কৌতুক হচ্ছে, সোশাল মিডিয়াতে ‘ইসলামোফোবিয়া’ ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ প্রমোট করা হচ্ছে। ইসলাম প্রচারে হত্যা, ক্ষমতা দখল, নারীদের সমানাধিকারের বিরুদ্ধাচারণ, সমকামি, নাস্তিক, বিধর্মীদের অধিকারকে অস্বীকার করে সব রকমের ইসলাম প্রচারকে বাধা-বিঘ্নহীন রাখতেই ‘ইসলামোফোবিয়া’ একটি কার্যকর ব্যবস্থা। এই বর্ম এতটাই রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় যে পশ্চিমের লিবারারলা ভোট টানতে এটাকে পিঠ চাপড়ে দেন। বামপন্থীরা হু হু করে জন্মহারে বাড়তে থাকা মুসলিমদের নিয়ে বিপ্লবের স্বপ্নদোষে আক্রান্ত হয়ে ‘ইসলামোফোবিয়া’ বলে ইসলামের সমস্ত সমালোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু কমিউনিস্টদের চাইনিজ কিবলা কিন্তু ইসলামকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারা বলেছে ইসলাম হচ্ছে প্রাপাগন্ডা!
তো সম্প্রতি একটা ভিডিও বের হয়েছে সোশাল মিডিয়াতে। চীনে তাজাকিস্তানের এক মুসলমান পাবলিক প্লেসে নামাজ পড়তে শুরু করে দেয়। চাইনিজ পুলিশ তাকে বারবার উঠে যেতে বললেও সে কর্ণপাত করেনি। এদিকে শত শত মোবাইলে সেটা ভিডিও হয়ে ছড়িয়ে পড়ে- চীনে মুসলমানদের নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না! মসজিদ বা কোন একটি রুমে নামাজটি পড়া যেতো। কিন্তু পাবলিক প্লেসে নামাজ পড়লে নামাজের বিজ্ঞাপন হবে। একই সঙ্গে যখন জনদুর্ভোগ লাঘবে পুলিশ সরিয়ে দিতে যাবে তখন ‘ইসলামোফোবিয়ার’ পয়দা হবে! এটাই হচ্ছে ইসলাম প্রচারের নিনজা টেকনিক!
চীনের জন্য অবশ্য হাসিই পাচ্ছে। নিজের দেশের বাইরে ইসলামিক জঙ্গিদের পেলেপুষে, জাতিসংঘে কুখ্যাত সব জঙ্গি যারা ভারতে হামলা চালায় তাদের রক্ষা করতে ভূমিকা রেখে নিজের দেশে সেই একই আইডলজিতে নাকাল হচ্ছে! মজার না?
© সুষুপ্ত পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................