ভারতের মার্ক্সবাদী এবং সেকুলারিস্ট গন জানেন না যে, পবিত্র শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইস*লামের সাথে অন্য ধর্মগুলির কয়েকটি বেইসিক পার্থক্য আছে। যেমন- পবিত্র সত্যদ্বীনের অনুসারীরা অপর ধর্মের মানুষদের জন্য দোয়া চাইতে পারেন না। যারা বিশ্ব ইজতেমাতে আখেরি মুনাজাতে অংশ নিয়েছেন বা নিয়মিত জুম্মার নামাজ পড়েন তারা ব্যাপারটা জানেন। মুস*লমানরা একমাত্র মুস*লমানদের জন্য দোয়া করতে পারবেন। এর কারণ যাদেরকে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থে কেবলমাত্র ধর্ম বিশ্বাস আলাদা বলে বিনা কারণে মে*রেই ফেলতে বলা হয়েছে তাদের জন্য আবার দোয়া কিসের? বিধর্মীরা যে কত খারাপ তা বর্ণিত হয়েছে পবিত্র ঐশ্বরিক গ্রন্থের পাতায় পাতায়। এখন যেন আবার জাহান্নামি নাস্তিকদের মতো বলে উঠেন না যে, পবিত্র ঐশ্বরিক গ্রন্থের আয়াত গুলি কতই না অমানবিক!
ইস*লামের সাথে অন্য ধর্মগুলির বেইসিক পার্থক্য হলো--"জি*হাদ"। এই জি*হাদের মানে কিন্তু নফসের জি*হাদ নয়। সাহাবিগন নফসের সেই তথাকথিত জি*হাদ করেননি, তারা নবির নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে বিধর্মী ক*তলের, ধর্ষণের, শিশু ও বৃদ্ধদের দাস বানিয়ে বিক্রি করার জি*হাদ করেছেন। যেমন- ইয়াতরিব শহরের খয়বরের বানু কুরাইজা গোত্রের গণহ*ত্যা। ইহুদীদের আশ্রয়ে থেকে তাদেরকেই মে*রে এবং ভূমি থেকে বিতাড়িত করে ইয়াতরিব শহরের নাম পালটে মদিনা-তুল-আল-মুনোয়ারা করে দেওয়া। এটাই পৃথিবীর সকল মুস*লমানদের আর্দশ এবং লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই সকল দ্বীনদারগন কাজ করে যাচ্ছেন। মহাপবিত্র ঐশ্বরিক গ্রন্থে আল্লাহ পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, প্রতিটি মুস*লমানকে তিনি সত্যদ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন, তাদের কাজ হলো অন্য সকল দ্বীনকে ধ্বংস করে তার উপরে সেই সত্যদ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা। বানু কুরাইজা গণহ*ত্যার আদর্শ যাদের বুকে পবিত্র ভাবে লালন করা হয় তারা কিভাবে অন্য জাতির কষ্ট বুঝবে? এই আদর্শের উপরে ভিত্তি করেই ভারতের যেখানে সেখানে লক্ষ লক্ষ মন্দির ধ্বংস করেছে অথবা কাবাঘরের মতো মন্দির গুলিকে মসজিদ বানিয়েছে মুস*লমানরা। তাদের মধ্যে একটা ছিল বাবরি মসজিদ।
"আল্লাহ আকবর" প্রকৃতপক্ষে একটি জি*হাদি হুংকার। বিধর্মীদের সাথে জিহাদে এটি ব্যবহার করা হয়। যদিও এর আক্ষরিক অর্থ আল্লাহ মহান। তবে এই হুংকার কোনদিনই সৃষ্টিকর্তার মহত্ব প্রকাশের জন্য করা হয়নি। আফসোসের কিছু নেই। এটাই প্রকৃত ইস*লাম। নবির আমল থেকে এটাই চলে আসছে। প্যারিসের ট্রাক জি*হাদে এবং বোস্টনের গেই নাইটক্লাব জি*হাদে আল্লাহ আকবর হুংকার ব্যবহার করা হয়েছে।
ইস*লাম এবং অন্য ধর্মগুলির মধ্যে আর একটা বেইসিক পার্থক্য হলো--"আল ত্বাকিয়া" বা বিশেষ পরিস্থিতিতে মিথ্যাচরণ করার অধিকার। বিধর্মীকে বিভ্রান্ত করতে, ধর্মান্তরিত করতে, লাভ জি*হাদে, এবং জি*হাদে মিথ্যা কথা বলা জায়েজ আছে। ফেইসবুকে তাই মুমিনরা এত মিথ্যেকথা বলেন। আল ত্বাকিয়া করে জাকির নায়েক সহ অসংখ্য ওয়াজি প্রকাশ্যে মিথ্যাকথা বলেন।
অনেকে জায়নামাযে বসে কুরাণ পড়তে পড়তে কাঁদেন। হ্যাঁ, প্রকৃত মানবতাবাদী হলে আপনার কাঁন্না আসতেই পারে যখন আপনি পড়বেন অজস্র বিধর্মী ঘৃ*ণা, ভায়োলেন্সের এবং হ*ত্যার আয়াতগুলি। কিংবা নারী বিদ্দ্বেষী আয়াত গুলি। এত বিদ্দ্বেষ, এত ঘৃণা, এত ভায়োলেন্স আর কোন ধর্মগ্রন্থে আছে?
আজ শুক্রবার, আমি যেখানে থাকি তার পাশের এক মসজিদে নামাজের দুই ঘন্টা পূর্বেই বক্তব্য শুরু করেছে। আমি মনোযোগ দিয়ে বাসায় বসে ৩০ মিনিটের মতো শুনেছি। এতো ঘৃণা, বিদ্দ্বেষ ছড়িয়েছে ঐ ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে যা কোনো মানুষের পক্ষে সারাজীবনেও সম্ভব নয়, যদি সে এইটুকু প্রশ্ন করার চিন্তা রাখে। এটাই প্রকৃত ইস*লাম। আমি শুধু হতবাক হয়ে শুনেছি, আর এই জাতির ভবিষ্যত নিয়ে ভেবে আতঙ্কিত হয়েছি। যদিও বিদ্দ্বেষ গুলো ছিলো সরাসরি ইহুদি, নাছারাদের বিরুদ্ধে, কিন্তু এর প্রভাব বাংলাদেশের হি*ন্দুদের উপর পরবে তা নিশ্চিত।
বিদেশে মুস*লমানরা কি করে? যখন সংখ্যালঘু থাকে তখন ভিকটিম কার্ড প্লেই করে। আর যখন কিছুটা সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তখন শরিয়া কায়েম করে বানু কুরাইজা টাইপের গণহ*ত্যা করার জন্য গেইনাইট ক্লাব জি*হাদ, সুই*সাইড ভেস্ট জি*হাদ, ট্রাক জি*হাদ, ইত্যাদি করে। এইবারের খ্রিসমাসেই জার্মানির কোলন শহরের প্রাচীন ক্যাথেড্রাল উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল সংখ্যালঘু বহিরাগত মুস*লিম রেফুইজিরা।
Rezaul Manik
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................