মসজিদের পাশে রেস্টুরেন্টে গান বাজানোয় মুসল্লীরা হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের ঘটনা এটা। নারায়ণগঞ্জের একজন জানিয়েছেন এসএসসি ৯৫ ব্যাচের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে মুসল্লীদের হামলায় একজন নারীর জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়, নিজের গায়ের কোট খুলে আয়োজকদের একজন তার সম্ভ্রম রক্ষা করেন।
মসজিদ খুব ডেঞ্জারাস জায়গা৷ এখানে যারা যান তারাও ডেঞ্জারাস। মসজিদে মেহরাব নামের যে জায়গাটা আছে, ইমামের নামাজ পড়ার সামনে বাড়তি জায়গাটা। সেটার কি কাজ, কেন এই অপ্রয়োজনীয় জিনিসটা বানানো হয় তা সাধারণ অনেক নামাজী জানেন না। এটা আসলে মসজিদে রাখা অস্ত্রাগার! নবীর সময় থেকে এখানে অস্ত্র রেখে তারা নামাজ পড়তো। আজো পৃথিবীর সব মসজিদে সে ঐতিহ্য রাখা হয়। ইসলাম ধর্মে গান বাজনা শিল্প মায় সব রকম সৌন্দর্য হারাম। ফলে কোন পার্ক বিনোদন কেন্দ্রের সামনে মসজিদ থাকা মানে সুরের সামনে অসুককে ডেকে আনা! পাড়া মহল্লায় বাসাবাড়ির সামনে যাদের মসজিদ আছে তারা জানে কী জ্বালা যন্ত্রণা তাদের ভোগ করতে হয়! আর মুসল্লী নামের যাদের কথা বলি এরা ধর্মীয় উন্মাদ ছাড়া আর কিছু না! কোন সুস্থ মানুষ গানবাজনার জন্য হামলা চালাতে পারে না। এখন যেসব তথাকথিত সুস্থ মডারেট আছেন যারা গানবাজনা হারাম মানেন না, কুরআন ছাড়া কিছু স্বীকার করেন না- তারা এই সমস্ত ঘটনার পরই কোমায় চলে যান! এখন আর জাল হাদিস বাল হাদিস নিয়ে বাহাস করতে আসছে না! ঐ মুসল্লীদের ইসলামের জ্ঞান দিতেও তাদের কেউ দেখেনি!
©সুষুপ্ত পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................