বিশ্বাসের নাম ধর্ম !
*********************************************
পৃথিবীতে মানুষের জীবন যাপনের দিক নির্দেশনা এবং সাম্য-মৈত্রীর বাণী নিয়ে যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মের আগমন ঘটেছে। মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতবর্ষ হচ্ছে ধর্মের আদিভূমি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধর্মের নামে মানুষ রেষারেষি , ঘৃণা হত্যার রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে শুধুই তার ধর্ম সত্য ধর্ম প্রমান করার জন্য !
আবার কিছু মানুষ আছে যারা ঈশ্বরে অস্তিত্ব স্বীকার করেনা ! তারা কোন ধর্মকেই বিশ্বাস করে না,তাদের মতে বিজ্ঞান ও আধুনিক পৃথিবী,তাদের জন্ম হয়েছে বির্বতনের মাধ্যমে এটাই তাদের বিশ্বাস।
পৃথিবীতে ৪৩০০ বিভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে ! তাদের সবারই বিশ্বাস তার ধর্মই সত্য ধর্ম ! মৃত্যুর পর স্বর্গ , নরক , বেহেস্ত এবং পুনর্জর্মে অনেকেই বিশ্বাসী !
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে মৃত্যুর পর কবরের তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ! তারা প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করে
মুমিন বান্দার আত্মাকে পুনরায় জমিনে (কবরে) তার দেহে ফেরত পাঠানো হবে। ( যদিও ইসলাম পুনর্জর্মে বিশ্বাস করেনা ) এরপর দু’জন ফেরেশতা এসে তাঁকে (মৃতব্যক্তিকে) কবরে বসাবেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন-
তোমার রব কে?
আত্মা বলবে- আমার রব আল্লাহ।
তারপর জিজ্ঞাসা করবেন, তোমার দ্বীন কি?
আত্মা বলবে- আমার দ্বীন ইসলাম।
ফেরেশতারা জিজ্ঞাসা করবেন, তোমার কাছে প্রেরিত লোকটি কে?
আত্মা বলবে- তিনি আল্লাহর রাসুল।
তারপর জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কিভাবে জানো?
আত্মা বলবে- আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, এর ওপর ঈমান এনেছি এবং তা বিশ্বাস করেছি।
এরপর আকাশ থেকে একজন আহ্বানকারী আওয়াজ দিয়ে বলবেন-
আমার বান্দা ঠিক বলেছে’ তার জন্য বেহেশতের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং বেহেশতের একটি দরজা তাকে খুলে দাও। তখন সে বেহেশতের সুঘ্রাণ ও প্রশান্তি লাভ করবে। তার কবরকে নিজ চোখের দৃষ্টি সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হবে। মৃত্যুর পর এটাই তাদের ধর্ম বিশ্বাস !
আর যারা ধর্ম বিশ্বাস করেনা তাদের রুহু আজাব হবে ! তাকে জাহান্নামের পোশাক পরিয়ে দেয়া হবে ! আর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটা দরজা খুলে দেয়া হবে !
অতঃপর তার দিকে জাহান্নামের উত্তপ্ত বাতাস আসতে থাকবে !
অতঃপর তার জন্য এক অন্ধ ও বধির ফেরেশতাকে নিযুক্ত করা হয়, যার সঙ্গে একটি লোহার হাতুড়ি থাকবে, তারপর সে তাকে হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করতে থাকবে এতে সে বিকট শব্দে চিৎকার করতে থাকবে , যা মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সব সৃষ্টি জীবই শুনতে পাবে ! আঘাতের ফলে সে মাটিতে মিশে যাবে ! অতঃপর (শাস্তি অব্যাহত রাখার জন্য) পুনরায় তাতে রুহ ফেরত দেওয়া হয়।
কি ভয়ঙ্কর রূহে আজাব , তাইনা ?
শুনে অবাক হবেন এই আধুনিক বিশ্বে এমনও ধর্ম বিশ্বাসীরা আছে যাদের তিব্বতি বলা হয় ! যারা রূহে আজাব বিশ্বাস করেনা ! তারা মৃত্যুর পর মরদেহ শকুনকে খাইয়ে দেয় ! ঐ সময় মৃতের স্বজনরা দাড়িয়ে সব দেখতে থাকে। সাধারণত তারা শকুন দিয়ে মৃতদেহ খাওয়ানো পবিত্র বলে মনে করা হয়। তিব্বতিরা শকুনদেরকে চেনে ‘ডাকিনিস’ হিসেবে। তিব্বতীয় মতে 'ডাকিনিস'রা হলো দেবদূত। ডাকিনিসের অর্থ হচ্ছে আকাশের নৃত্যশিল্পী।
তিব্বতীয়দের বিশ্বাস ডাকিনীরা মৃতের আত্মাকে স্বর্গে নিয়ে যায়। এটা হচ্ছে শান্তিময় এক স্থান, যেখানে আত্মাদেরকে পুনর্জন্মের পূর্ব পর্যন্ত রাখা হয়। এছাড়া শকুনদেরকে মৃতদেহ ভক্ষণ করতে দেয়া হলে মৃতের পুণ্য হয় বলে মনে করে সবাই, এমনকি মৃতের স্বজনরাও।
এই হচ্ছে পৃথিবীর দুটি মানব প্রজাতির মৃত্যু পরবর্তী ধর্মীয় রীতি। যদিও পৃথিবীর প্রধান ৪টা ধর্ম তথা খৃস্টান, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদিরা এভাবে তাদের স্বজনদের মৃত্যুপরবর্তী দশা কল্পনায়ও আনতে পারেনা বা চায়না। অথচ তিব্বতিদের কাছে এটাই ধর্মীয় রীতি। বিস্ময়কর পৃথিবীর মানুষ আর তার ধর্মীয় রীতি !
এখন আমরা জানি !
শুভ সকাল !
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................