ভগবান বুদ্ধ গোহত্যা নিষিদ্ধ করেছেন। ত্রিপিটকের সুত্র পিটকের সুত্তনিপাতের ব্রাহ্মণ ধম্মিক সুত্তে বলা হয়েছে-মাতা, পিতা, ভাই এবং পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়ের ন্যায় গোজাতি পরম মিত্র স্বরূপ। কারণ তাদের থেকে বিবিধ প্রকারের জীবনদায়ী ওষুধের উৎপত্তি হয়। গোগণ বিভিন্ন প্রকারের অন্ন, শারীরিক বল, বর্ণ ও সুখপ্রদানকারী। এ বিষয়টি জ্ঞাত হয়ে ব্রাহ্মেণেরা কখনই গোহত্যা করতেন না। তাই তাঁরা ছিলেন মহান আদর্শের কারণে যশস্বী। যতকাল এই উচ্চ মহান আদর্শধারী ব্রাহ্মণগণ জগতে বর্তমান ছিলেন, ততদিনই তাঁরা সুখসমৃদ্ধময় ছিলেন।
উপট্ ঠিতস্মিং যঞ্ঞস্মিং, নাস্সু গাবো হনিংসু তে,
যথা মাতা পিতা ভাতা, অঞ্ঞে বাপি চ ঞাতকা।
গাবো নো পরমা মিত্তা, যাসু জায়ন্তি ওসধা ।
অন্নদা বলদা চেতা, বন্নদা সুখদা তথা,
এতমত্থবসং ঞত্বা, নাসসু গাবো হনিংসু তে।
সুখুমালা মহাকাযা, বন্নবন্তো যসসসিনো,
ব্রাহ্মণা সেহি ধম্মেহি, কিচ্চাকিচ্ছেসু উসসুকা;
যাব লোকে অবত্তিংসু, সুখমোধিথ’যং পজা।
( ত্রিপিটক: সুত্র পিটক, সুত্তনিপাত, ব্রাহ্মণ ধম্মিক সুত্তং,১৩-১৫)
"তাঁরা যজ্ঞসময়ে উপস্থিত হলেও, কখনো গো হত্যা করতেন না। যেমন মাতা, পিতা, ভাই এবং অন্যান্য আত্মীয়ের ন্যায় গোজাতি আমাদের পরম মিত্র স্বরূপ এবং তাদের থেকে বিবিধ প্রকারের জীবনদায়ী ওষুধের সৃষ্টি হয়।
গোগণ অন্ন, বল, বর্ণ ও সুখপ্রদানকারী। এ বিষয়টি জ্ঞাত হয়ে ব্রাহ্মেণেরা কখনই গোহত্যা করতেন না।
তাঁরা সুকুমার, মহাকায়, বর্ণবান, যশস্বী ও স্বভাবতঃ ব্ৰাহ্মণ ছিলেন; তাঁরা নিজ নিজ কর্তব্য পালনে আগ্রহপূর্ণ ছিলেন। যতদিন এই উচ্চ আদর্শধারী ব্রাহ্মণগণ জগতে বর্তমান ছিলেন, ততদিন এই জাতি সুখসমৃদ্ধ ছিল।"
কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সহকারী অধ্যাপক,
সংস্কৃত বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................