যারা নিয়মিত ফেইসবুকে থাকেন বা ফেইসবুক চালান। তাঁদেরকে বোধ করি 'নয়ন চ্যাটার্জি" পেজ নিয়ে দ্বিতীয় বার বলার কিছুই নেই।
যে নয়ন চ্যাটার্জি পেজ থেকে সব সময় সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উস্কে দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, এদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের মানসিকতাকে কিভাবে বিষিয়ে দিয়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে তারও উস্কানি দেয়া হয় এই পেজ থেকে। এই নয়ন চ্যাটার্জি পেজ থেকে ইতিহাসের অপ ব্যাখা করে কট্টর মুসলিম জাতীয়তাবাদের প্রচার চালানো হয়। যাতে মুসলমানরা অমুসলিমদের ঘৃণা নিয়ে বেড়ে উঠে। এতকাল এই নয়ন চ্যাটার্জি পেজের নৈপথ্যে কে ছিলেন, নয়ন চ্যাটার্জি পেজের লেখাগুলো কে লিখতেন তা ছিল সবার অজানা। কোনো একটা ওজু হাত তৈরি করে দাঙ্গা ফ্যাসাদ বাধিয়ে অমুসলিমদের ধন সম্পত্তি লুট ও দখল করার জন্য মুসলমানদের লেলিয়ে দেয়া এই চক্রান্ত নতুন নয়। আমরা এর আগেও নাসির নগর, ভোলায় দেখেছি তৌহিদি মুসলমানদের চক্রান্ত। এখানেও নয়ন চ্যাটার্জি পেজের কৌশলী ভুমিকা ছিল।
মুসলমানরা চিরকালই অমুসলিমদের মুখে ইসলামের প্রশংসা শুনে খুব আনন্দ পায়। ধর্মের প্রতি আত্মবিশ্বাস পায়। কোনো বিশিষ্ট অমুসলিম ব্যক্তি যদি আল্লাহ নবীর প্রশাংসা করেন, তাহলে মুসলমানরা ইসলামকে আরো বেশি আঁকড়ে ধরতে অনুপ্রেরণা পায়। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছেন প্রতারক জিয়া হাসান। ছবিতে লাল বৃত্ত চিহ্নিত জিয়া হাসান, যিনি নয়ন চ্যাটার্জি পেজের নেপথ্যে থেকে লিখতেন এবং মুসলমানদের বিশ্বাসকে ধোকা দিতেন। এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, জিয়া হাসান এতকাল মুসলমানদের ধর্মানুভুতির সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে বড়দাগে প্রতারনা করেছেন। এখন নয়ন চ্যাটার্জি পেজের মুসলমান ভক্তরাই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা নয়ন চ্যাটার্জির ইসলামিক প্রোপাগাণ্ডাগুলো বিশ্বাস করবেন নাকি ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................