ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ঠিক এই উদ্দেশ্যে তৈরী করেছিলেন "হিন্দু মিলন মন্দির"। এখনো প্রতি সন্ধ্যায় আরতির সময় শস্ত্র পুজা হয়।
স্বামী প্রনাবানন্দজী হিন্দুদের প্রকৃত সমস্যা সম্যাক বুঝেছিলেন। তাই বলেছিলেন "হিন্দুদের সব আছে ,নাই শুধু সংঘ শক্তি"।
ক' বছর আগেই , বিশাল ফ্যান ফলোয়ার তৈরী হলো , বিশেষ একটি "হিন্দু সংগঠন" তৈরী হলো। আজ তা মিলিয়ে গেলো। তার মুল কারন ব্যাক্তিগত উচ্চাশা, দিশা হীনতা এবং "হিন্দু বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ১০ এর মধ্যে ৭ মার্ক দেবার জন্য। তারা নিজেরা রাজনীতি করবেন না, বা যারা কিছু মাত্র হিন্দুদের কথা রাজনীতির ভাষায় বলে তাদের তিনি পছন্দ করেন না।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে ও দেশ বাঁচাতে রাজনীতি করতে হয়েছিলো, মহামতি চানক্য বিদ্বান ব্রাহ্মন হয়েও প্রতক্ষ্য রাজনীতি করেছিলেন। আমার জানা শোনা অনেক বিদ্বান বুদ্ধিমান ,অল্প বয়ষী ছেলে মেয়ে আছে তারা বলে "আমি ওই রাজনীতি পছন্দ করি না, ওরা সবাই খারাপ"------------ "আরে, সেকথা আমিও জানি, কিন্তু তোরা দুরে সরে থাকিস বলেই তো ওই " ভদ্রভাবে কথা বলতে না জানা, উৎকোচ, প্রলোভন, বড়ো গাড়ী, থাকার জন্য বিশাল বাড়ি, গোটা ৩০ -৪০ টা কালো পোশাকের প্রহরী, আরো অনেক কিছু সামলাতে না পারা লোক গুলো মাঠ ময়দান, টি ভি চ্যানেলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, নেতা বনে যা খুশী তাই করছে, দেশ টা ,বাঙ্গালী গোল্লায় যাচ্ছে।"
সবাই নেতা হতে চায়, যোগ্যতা নেই তো কি? -------গালাগাল তো দিতে পারি, রাস্তায় নেমে হল্লা তো করতে পারি আর ভাড়া করা চিত্র সাংবাদিক এনে সেই ছবি খবর করতে পারি। আর কি চাই??
চাই একতা, সবাইকে নিয়ে চলার মনোবৃত্তি, যোগ্যকে সম্মান করা, তাদের থেকে পরামর্শ নেবার মানসিকতা। দলীয় অফিসে গেলে চোখে চোখ মেলে তাকাস না, টি ভি তে বড়ো বড়ো জ্ঞান গর্ভ কথা!!! ওই দিয়ে "সংঙ্ঘ শক্তি" হয় না। আমি যা ভাবি, বুঝি, তার বেশী আর কেউ বোঝে না । আমিই সব, বোদ্ধা, যোদ্ধা,। আমার যে পদ সেই পদে বসে অন্যকে পাত্তা না দিয়ে দল বা দেশ চালাবো। দল বা দেশ কি কারো পৈতৃক সম্পত্তি????
তাই বলি-- তোমরা যারা, বোঝো সোঝো, দেশ বা নিজ দলকে ভালোবাসো, এক জায়গায় এসো, বসো, কথা বলো, মত বিনিময় করো এবং সম্মিলিত ভাবে "হিন্দু সংগঠন" করো। তোমাদের হাত ধরেই 'হিন্দুরা" বেচে থাকবে। নইলে "ভারত তেরে টুক্রে হোঙ্গে"--- এই শ্লোগান সত্যি হচ্ছে দেখার জন্য প্রস্তুত থাকো।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................