মুসলিম উদবাস্তুরা বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে- ভয়ে ইসলাম বিরোধীতা দ্রুত বাড়ছে!

মুসলিম উদবাস্তুরা বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে- ভয়ে ইসলাম বিরোধীতা দ্রুত বাড়ছে! 
------------------------------------------------------------------------------
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া,ইউরোপ, ইন্ডিয়া - এই সব দেশের রাজনীতি আজ মুসলিম শরণার্থী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত! এই সব দেশের জনগণ চায়না এদের! জনগণের ভয়, এরা থাকার সুযোগ পেলে, জন্মহার বাড়িয়ে গণতান্ত্রিক পথে শরিয়তি আইন এই সব দেশেও  একদিন কায়েম করার স্বপ্ন দেখে! তেমনি এই সব দেশের অপরাধের স্ট্যাটিসটিক্স এ ের জনসংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি জড়িত! এই সব  দেশের অর্থনীতিতে সেই অর্থে এদের কোনো অবদান থাকেনা! এদের সব খরচ দেয় সরকার! মাথা পিছু কম করে ৯০০-১৪০০ ইউরো! কারণ বেশির ভাগ এরা ট্যাক্স বিহীন ব্ল্যাক জব করে অন্যদিকে সরকারি সাহায্য নেয়। সরকার কে ফাঁকি দিয়ে যা যায় করে, তার একটা অংশ মসজিদ বানাতে খরচ করে! এলাহী মসজিদ। যাদের পূর্বপুরুষ এই দেশের বাসিন্দা , তাদের চোখে পরে! এরা নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখতে ১১.০৯.২০০১ থেকে হিজাব বা বুরখা পরে রাস্তায় বের হয়, স্কুল কলেজে  সুইমিং পোলে যায়! লোকের রাগ বেড়ে যায়! এদের ছেলেরা অন্য ধর্মের মেয়েদের সাথে প্রেম করতে পারে, কিন্তু এদের মেয়েরা পেরমে পরলে , তাদের খুন করে দেয় বা প্রেমিক কে খুন করে! কাজেই এরা এদেশ গুলোর জন্য বোঝা!

আর বড় রাজনৈতিক দল গুলো এদের কে আশ্রয় দিয়েছে বলে,  যে সব দলের কোনো অস্তিত্ব ছিলোনা, সেই দল গুলো কে জনগণ ভোট দিচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে সেই দল গুলো ক্ষমতায় আসবেই! তখন আইন করে হোক বা জোর করে হোক- বিদেশী দের   তাড়াবে! এতো শান্তির জায়গা ছেড়ে কেহই যেতে  চাইবেনা !  তখন লাগবে লড়াই! কিন্তু এদের সংস্কৃতি কে  বিদেশিরা আপন তো করেই না, ঘৃণা করে! তাই ৩-৫ বছরের মধ্যে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, বোঝা মুশকিল! ভালো হবার কোনো পথ দেখছিনা!

তুর্কির  একনায়ক মাদরাসায় ১২ ক্লাস পাশ করা  এরদোগান ISIS কে মদত দিয়ে অসুন্নী দেশ গুলো তে গৃহযুদ্ধ বন্ধ হতে বাধা দিচ্ছে, আর  অত্যাচারিত রা  প্ল্যান মাফিক আসছে দালাল ধরে  ইউরোপে ! সেই দালাল দের নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ দেশ ও দল !সেই সাথে isis এর লোকেরা! এরদোগান স্বপ্ন দেখছে, ইউরোপ কে এভাবে একদিন ইসলামিক ইউরোপে পরিণত করবে! ইউরোপ বুঝেছে তার প্ল্যান,. তাই গ্রিক রা সমুদ্রে বেড়া দিচ্ছে, যাতে কোনো মোটর বোট আর আসতে না পারে! 

জার্মানি তে মুসলিম ভোটার রা এক চেটিয়া গ্রিন কেই বেশি ভোট দেয়. তাই কোনো এক রাজ্যের ইউনিভার্সিটি তে গ্রিন দল ভোট হারাবার ভয়ে বুরখা নিষিদ্ধ করছেনা! SPD CDU Green FDP সবাই ভোট হারাবে! বামপন্থী ও ডানপন্থীদের ভোট বাড়বে! কিন্তু বামপন্থীদের ভোট বাড়ার হার খুব সীমিত হবে! 

জার্মানি র জনগণ নিরীহ। কাজ রেখে মিছিল করেনা! ভোটের  বাস্কে প্রতিবাদ জানায়। ইউরোপের সব দেশেই এমন! তার ফল হতে পারে  ডান  পন্থীরা ক্ষমতায় একদিন আসবেই। কারণ একবার যাদের ঢুকিয়েছে, তাদের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল গুলো আর বের করতে পারবেনা! আর ডান পন্থীরা ক্ষমতায় এলে, যে প্রতিশ্রূতি দিয়ে ক্ষমতায় এলো, তা কাজে  দেখাতে  হবে! সেই কাজ কি হবে জানেন!

অন্যদিকে ইন্ডাস্টি স্ট্যান্ডার্ড ৪.০ বা রোবট চালু হবার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানি তে  ২৫-৩০% জব এর অস্তিত্ব আর থাকবেনা! গাড়ি চালাবে রোবট! কোম্পানি তে কাজ করবে রোবট ...! তার  অর্থ তখন ২০-২৫% জার্মান বেকার হবে! জার্মান রা কাজ ছাড়া কিছু বোঝেনা!এরা সরকারি সাহায্য নিয়ে  বাঁচতে লজ্জা বোধ করে।  আর তখন এফডি র মত  দল ক্ষমতায় আসবে! কেহ আটকাতে পারবেনা! কারণ বেকার জার্মান রা ভাববে, বিদেশী রা এদের কাজ নিয়ে নিচ্ছে!  আর বিদেশী উদ্বাস্তু রা সমাজ ভাতার আয় কে একটা হালাল আয়  ভাবে! যে বিদেশিরা  সমাজ ভাতা নেয়না ও অবৈধ কাজ করেনা, তার বিদেশী সমাজে কোনো সম্মান নেই! তার কাছ যেকেহ মেয়ে বিয়ে দেয়না! আর বিদেশী রা বিদেশী দোকান  থেকেই বেশি কেনা কাটা করে, যেটা কেনা সম্ভব, আর সেই সব দোকানের কর্মীরা ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কাজ করে! ব্যবসায়ীরাও। অর্থাৎ এরা সামন্তরাল অর্থনীতি চালু করে এদেশের ক্ষতি করছে। এই সমাজ বা দেশ এদের কে এক চেটিয়া দিয়েই যাচ্ছে!   
 
ওদিকে শিয়া সুন্নি যুদ্ধ এখনো চরম আকার নেয়নি! নেবে একদিন! আরও বেশি উদ্বাস্তু আসবে ইউরোপে !ইউরোপ কি করবে?

UK র EU থেকে চলে যাওয়া কিন্তু এই উদ্বাস্তু সমস্যা একটা মূল কারণ। যদিও UK শেঙ্গেন চুক্তি তে ছিলোনা, তাও মূল ইউরোপ থেকে নানা ভাবে প্রচুর অবৈধ উদ্বাস্তু যেত! তেমনি ইউরোপে র লিগাল উদ্বাস্তু রা পাসপোর্ট বা পার্মানেন্ট ভিসা পেলেই UK চলে যেত অনেকে। গিয়ে ম্যাক্স লোক সরকারি সাহায্য নিতো! এ জন্য একটা গ্যাং আছে, যারা কিছু টাকার বিনিময়ে সব করে দিতো! আরও একটা কারণ ছিল ইংলিশ ভাষায় যেন পন্ডিত হয়!  প্রত্যেকে চেষ্টা করতো, ছেলে মেয়েকে ওখানে পাঠাতে! এটা প্ল্যান মাফিক হচ্ছিলো! UK সেটা বুঝেছে। নতুবা UK সবার পূর্বে ব্রিটানিস্তান হতো!তাই EU থেকে বিদায় নিয়েছে। বাকি যে কারণ গুলো, সেটা অত মুখ্য নয়!

অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক অবস্থা দিন দিন তীব্র খারাপ হচ্ছে- শেয়ার ইন্ডায় যতই বাড়ুক না কেন । অনেক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হবার পথে! আমাজন বা অন্য কোম্পনি র  অনলাইন  ব্যবসা র জন্য , অন্য দোকান গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! ১০ জন কাজ হারাবে, পাবে ৩ জন. তাও বেতন কম! এরপর আসবে ড্রোন। আরও জব কমবে! আমার বাড়ির পাশে আজ জামাকাপড় কিনতে গিয়ে দেখলাম, আমার প্রিয় জামা কাপড়ের ৪ তলা দোকান peek und cloppenburg ঝাঁপ বন্ধ করেছে! C&A মার্চ থেকে আর থাকবেনা, আরও ২ টা দোকান বন্ধ ! প্রচুর খাবার দোকান আর সেলুন হচ্ছে, মাছি তাড়ায় ! 

অর্থনীতিবিদ ও জার্মান  সরকার ও এখন বলছে ২০১৯-১৯৩০ এর মধ্যে বিশ্বের আর্থিক সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অবস্থা যেমন ছিল, বর্তমানে সেই রকম লক্ষণ দেখা দিচ্ছে!  

গোদের উপর বিষফোঁড়া হলো পরিবেশ সমস্যা, জলের সমস্যা, শস্য উৎপাদন এর সমস্যা। অন্যদিকে মানুষ এর মাংস খাওয়ার পরিমান প্রচুর  বেড়ে গেছে। এক কিলো গরুর মাংস বানাতে ১৭ কিলো শস্য ও ২৫০০০ লিটার জল লাগে! মুক্ত বাণিজ্য, অনলাইন ব্যবসা পরিবেশ দূষণ করছে! ১০০ গ্রামের জিনিস পাঠাতে আমাজন ২ ফুট / দেড়ফুট স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেট পাঠায়, কারণ তাদের ৫ সাইজের প্যাকেট! যাতে কম সময়ে packing হয়!

ইন্ডিয়া র অবস্থা আরও শোচনীয়! মোদী কেন ভগবান এলেও আর নতুন জব বাড়াতে পারবেনা। যা আছে, সেটা টিকিয়ে রাখাই কঠিন আর যে ভাবে আঞ্চলিক দল গুলো ক্ষমতায় থাকার জন্য ঋণ করে অযৌক্তিক খয়রাত দিচ্ছে, যেমন বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ, সব মহিলাদের সরকারি ট্রান্সপোর্ট ফ্রি বা ২০০ দিনের কাজ, তাতে এক সময় ব্যাঙ্ক কে রাজ্য সরকার গুলো আর কিস্তি শোধ দিতে পারবেনা, আপনার টাকা যাবে গোল্লায়! ২০০ দিনের জবের জন্য চাষিরা মহা বিপদে। কাজের লোক পায়না, বেতন বেশি দিতে হয়! তাই অনেকে চাষ ছেড়ে ফল এর বাগান বা গাছের বাগান করছে! টের শীঘ্র পাবেন! আর গ্রামে র পঞ্চায়েত ২০০ দিনের জব কথা থেকে দেবে? জব তো চাইলেই সৃষ্টি হয়না? তাই যে কাজ একদিনে হয়, সেই কাজ ইচ্ছা করে ১০ দিন লাগায় , যাতে ভোটার রা ভোট দেয় ও নেতাদের আয় হয়! আমাকে অনেকে বলছে, ব্যাঙ্ক এর কার্ড নেতার কাছে থাকে! 

মোদির উচিত শীঘ্র  ইউনিফর্ম সিভিল ল ও এক মহিলা এক সন্তান আইন আনা. জোট কিছু বিক্ষোভ এক বাড়ে হোক! CAA . NRC জোর কদমে চালু করে সব ইন্ডিয়ান কে সিটিজেনশিপ কার্ড দিক. যারা কার্ড পাবার অযোগ্য হবে, তাদের কে ২-৫ বছর এর কাজের ভিসা দিক!যাতে প্ল্যান করে তারা নিজের দেশে যেতে পারে! কোনো মতেই আটকানো ঠিক নয়. কারণ এদের ভরণ পোষণ ট্যাক্স পেয়ার দের দিতে হবে, এখন দিতে হয়না।  আর বিশ্বব্যাপী এ নিয়ে আলোচনা হবে!

ব্যবসা করতে করতে বা জব সৃষ্টি করতে গেলে, এই সব প্রব্লেম নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় সরকার এর থাকেনা!

বিশ্বব্যাপী কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত হোন ! ISIS ও প্রস্তুতি নিচ্ছে!

আমি ৩৫ মিনিটে লেখা তা লিখলাম,. কিন্তু তার পর আমার ধৈর্য্য নেই, ভুল চেক করার। কখনো করিও না ! তবে পরে ভুল চোখে পড়লে আমি আমার স্টেটাস এ ঠিক করে দেব!

মৃণাল মজুমদার, ০৮.০২.২০২০, ২২:৪১

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted