এরা দাদাদের থেকে নিবে , দিতে গেলই দাদাদে সাথে মেশা হারাম বলে দেওয়া যাবেনা ।
Susupto Pathok (সুষুপ্ত পাঠক) ।
প্রকাশক দীপন, ব্লগার লেখক অভিজিৎ রায়কে একুশে বইমেলা কখনো উৎসর্গ করেনি কারণ বাংলা একাডেমি নিজে প্যান ইসলামিস্ট একটি প্রতিষ্ঠান এবং ফান্ডামেন্টালিস্ট মুসলিমদের ভয়ে ভীত। এই বইমেলা ইসলাম বিরোধী বই প্রকাশিত হচ্ছে কিনা এরজন্য নজরদারি করে। পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞান মুক্তচিন্তা চিরকাল ধর্মকে বিরোধিতা করেই এগিয়েছে। সক্রেটিস তার সময়ের প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতা করেছিলেন। রামমোহন বিদ্যাসাগর সকলেই তাদের সময়ের ধর্ম ও সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের সকলের বিরুদ্ধে তখন দাঁড়িয়েছিলো তখনকার সমাজ প্রতিষ্ঠান মৌলবাদী গোষ্ঠী। বাংলা একাডেমির ভূমিকা সক্রেটিসের সময়ের প্রতিষ্ঠানগুলির মত যারা তরুণদের বিপথগামী করার অভিযোগ তুলেছিল সক্রেটিসের বিরুদ্ধে। বিদ্যাসাগর রামমোহনের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাত তুলেছিল তখনকার প্রতিষ্ঠানগুলো। যেমন তুলেছে বাংলা একাডেমি। অভিজিৎ মারা যাবার পর এই একাডেমি একদিনের জন্য শোক প্রকাশ করেনি। লেখক প্রকাশকের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ায়নি। এই মেলা বাণিজ্য মেলার মতই একটা মেলা যার প্রধান উদ্দেশ্য বই বিক্রি করে মুনাফা তোলা। এটাকে এখনো প্রাণের মেলা চেতনার মেলা বলে বণিক শ্রেণীর লোকজন। ব্লগার কিলিং এবং তার পরবর্তীতে আজ পর্যন্ত দেশে ঘটা মৌলবাদী উত্থানে লেখকদের যখন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা ছিলো তখন তারাই ব্লগারদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। মুক্তিচিন্তা প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। কারণ ব্লগারদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা তাদের বই বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে চায়নি। মোল্লাদের বিরুদ্ধে বললে বই চলবে না। দ্বিতীয়ত তারা নিজেরাই মুসলিমবাদী বিধায় মুক্তচিন্তার বিরোধী।
ব্যবসা খারাপ জিনিস নয়। তবে ভন্ডামীর কোন সাফাই যুক্তি হয় না। একুশে বইমেলায় ভারতের বাংলা বই নিষিদ্ধ। বাংলাদেশকে বাংলা ভাষার কেন্দ্র বলে দাবী করে ঢাকার মুসলিমবাদী লেখকরাই। কিন্তু এখানে পশ্চিম বঙ্গের বই স্থান পাবে না। অথচ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি প্রদেশ হয়েও বাংলা ভাষার অভিভাবকের রোল পালন করছে। ভারতের বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নামে আলাদা স্টলের ব্যবস্থা থাকে যেখানে বাংলাদেশের নামীদামি প্রকাশক বই বিক্রি করেন। সেই স্টলে নির্লজ্জ প্রকাশক লেখক কোলকাতার বইমেলায় দাঁত কেলিয়ে বসে থাকেন। এরাই দেশে জিহাদ ঘোষণা করেছিল কোলকাতার বইয়ের বিরুদ্ধে! বাংলাদেশের এমন কোন সাহিত্য পুরস্কার নেই যা দুই বাংলার লেখকরা বিবেচিত হতে পারে। আনন্দ পুরস্কার নিতে আন্ডাবাচ্চাসহ কোলকাতায় যাওয়া এক বাংলাদেশী কিছুদিন আগেই শীর্ষেন্দু মুখোপ্যাধায়কে দাদাগিরি করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল। এরা পরেরটা খাবে কিন্তু অন্যকে সুযোগ দিবে না। কেউ এগিয়ে আসলে বলবে ব্যবসা করতে আসছে। ছোটলোক বললেও এদের কম বলা হয়!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................