জাস্টিন ট্রুডো, সত্যি করে বলেন তো, আপনার রাজনৈতিক জীবনে ৫৭টা মুসলিম দেশ থেকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা পেয়েছেন? ওআইসি থেকে এসেছে কোন শুভেচ্ছা বার্তা? কেন শুভেচ্ছার বিনিময়ে শুভেচ্ছা আসে না এই প্রশ্ন কখনো মনে আসেনি? ক্রিসমাসের শুভেচ্ছার আশা বাদ দিন, রমজানের শুভেচ্ছার পাল্টা শুভেচ্ছা জানানোর ভদ্রতাও যে ইসলামে হারাম এটা আপনারা জানেন?
পুজা ক্রিসমাস তো দূর কি বাত, কাফেরদের বিয়ে শাদি সন্তান জন্ম ভালো চাকরির সংবাদ শুনেও শুভেচ্ছা জানানো যাবে কিনা এই বিষয়ে ইসলামে তীব্র মতবিরোধ আছে!
যারা মত দিয়েছেন এই রকম ব্যক্তিগত বিষয়ে শুভেচ্ছা জানানো যাবে তারা কোন মানবিক কারণে সেটা করাকে জায়েজ বলেননি। তারা বলেছেন এটা জানানোর মধ্যে ইসলামের মার্কেটিংটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে!
কাফেরদের কাছে নিজেদের মহত্ত্ব তুলে ধরতে, তাদের বিয়ে শাদি সন্তান জন্মগ্রহণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো যাবে। যাতে মুসলমানদের ব্যবহার দেখে কাফেররা ইসলামে আগ্রহী হয়ে উঠে। যে কারণে চিকিৎসা সেবাও দেয়া যাবে। যেমন ভারতের গায়ক এআর রহমান হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিলেন এক সুফি চিকিৎসক যখন তার বোনকে কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য করেছিলেন। এআর রহমানকে এই সুস্থতার সঙ্গে ইসলামের একটা যোগসূত্র দেখানো হয়েছিল। আলেমরা কাফেরদের সঙ্গে এইরকম দ্বিনী উদ্দেশ্য নিয়ে সামাজিক সম্পর্ক রাখাকে জায়েজ বলেছেন। আমার মুখের কথা বিশ্বাস না করে সর্বমান্য ফতোয়ার বই আল-ফুরু ওয়া তাসহীহুল ফুরু (১০/৩৩৪) ও আল-ফুরু ওয়া তাসহীহুল ফুরু (১০/৩৩৪) পড়ে দেখুন।
একারণেই "মুসলিম বিশ্ব" বলে কথিত ইসলামিক শাসিত বা আধা শাসিত দেশগুলো কখনোই বিশ্ববাসীকে পুজা ক্রিসমাস বৌদ্ধ পূর্ণিমা কোন উৎসবেই শুভেচ্ছা জানায় না। কারণ জাস্টিন ট্রুডোরা অনেক আগেই সভ্য হয়ে খ্রিস্টান থেকে শুধুই মানুষ হয়েছিল। কিন্তু মুসলমানরা এখনো মুসলমানই থেকে গেছে মানুষ হতে পারেনি ...
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................