ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস বিস্তারের পেছনে হিন্দু গোষ্ঠী ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর হিন্দু কনশাসনেস) পরোক্ষ ভূমিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিবিসি বাংলা ও দৈনিক যুগান্তর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রিটেনে অবস্হিত ইসকনের শীর্ষ কর্মকর্তা প্রাঘোসা দাসকে উদ্ধত করে ইসকন নিউজে বলা হয়েছে মার্চের ১২ তারিখে লণ্ডনের উপকণ্ঠে ইসকনের এক মন্দিরে তাদের একজন গুরুর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রায় হাজার খানেক সদস্য হাজির ছিলেন। পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস টেস্টে জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে উপস্হিত সদস্যদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন এবং একুশের মত আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। ইসকন রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের দোষারোপ করার আগে সমাবেশের সময়কালকে বিবেচনা নেয়া উচিত।
প্রথমত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মার্চের ২৩ তারিখে কিন্তু ইসকনের ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানটি হয়েছে তাঁরও ১০ দিন আগে অর্থাৎ মার্চের ১৩ তারিখে। সমাবেশের বিষয়ে লণ্ডনের মেয়র সাদেক খানসহ অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবগত ছিলেন। এটি বেআইনী কোনো সমাবেশ নহে।
অন্যদিকে দিল্লির তাবলিগ জামাতের সমাবেশ ছিল আন্তর্জাতিক সমাবেশ যেখানে বিশ্বের অর্ধ শতাধিক দেশের মুসল্লিরা ভারতীয় আইন ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমাবেশ করেছিলেন। তাবলিগ জামাতের সমাবেশের মাধ্যমে শুধু ভারতেই নহে মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলাতেও করোনা ভাইরাস মারাত্নক আকার ধারণ করেছে যা বাংলাদেশের মিডিয়া প্রকাশিত।
ইসকনের সমাবেশে অংশ নেয়া একুশের মত আক্রান্ত ও পাঁচজন মৃতদের মধ্যে সবাই ওই সংগঠনের। কিন্তু কেউই দেশজুড়ে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়নি। এমনকি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের শরীরে থু থু ছেঁটাইনি। ব্রিটিশ আইনকেও অমান্য করেনি। তাই তাবলিগ জামাতের সঙ্গে ইসকনের ধর্মীয় সমাবেশ একত্রিত করলে বরং সেটা হাস্যকরই নয় অপরাধও বটে।
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে যে বিবিসি বাংলা চলে সেই বিবিসি বাংলা চাইবেই ভারতের তাবলিগ কান্ডের বিপরীতে হিন্দুদের বিরোধীতা করে একটা মিথ্যা পরিকল্পনা উপস্থাপন করা। কিন্তু 'শেগুড়ে বালি' কোনো লাভ নেই।
Credits Nayan Saha
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................