মক্কা ও কাবার অজানা ইতিহাস।

🙈🙈মক্কা ও কাবার অজানা ইতিহাস🙈🙈
                              প্রথম পর্ব
মক্কা ও কাবার ইতিহাস জানা সকলের উচিত ।
কারণ এই স্থান নিয়ে অনেক-কথা-অনেক-বিবরণ-
আমরা দেখি এবং শুনতে পায় ।
আধুনিক ইতিহাসবিদ্-ও গবেষক-নতুন-নতুন কথা বলে।
তাই একটু আলোচনা করে দেখা যাক, তবে-যা কিছু লিখবো সেটা-ইসলাম পূর্বের-এবং ইসলাম ইতিহাস-থেকেই ।
সত্যি-মিথ্যা-সেটা আপনাদের বিবেচনার বিষয়-বস্তু।
তবে হ্যাঁ-এই লেখার মধ্যে যদি আপনারা মতামত প্রকাশ করলে - তবে-সমৃদ্ধ হবো।
প্রথম- রাজা ভোজ পাল-কে নিয়ে আলোচনা করি!
ভবিষ্য পুরাণ থেকে একটু খোঁজ নিয়ে-শুরু করছি-

নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনং!
গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্থাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতে:
চন্দনাদীভীরাম্ভ্যচর্য তুষ্টাব মনসা হরম্!
ইতিশ্রুত্বা স্বয়ং দেবঃ শব্দ মাহ নৃপায়তং :
গন্তব্যম ভোজ রাজেন মহাকালেশ্বর স্থলে!

এখানে এটাই বোঝা যাচ্ছে-যে রাজা ভোজ-মরুস্থলে মহাকালেশ্বরের পুজো করেছিলেন।

এই কথা থেকে অনেক গবেষক বলে থাকেন , হ্যাঁ- এই তো রাজাভোজের কথা -ভবিষ্য পুরাণে রয়েছে!
ঘটনাও তো-সেটাই- তবে কে এই রাজাভোজপাল- ?
এই বার-একটু-সংক্ষিপ্ত ভাবে জানি-,

রাজা ভোজ পালের- জীবন দর্শন ঃ--
পরমার বংশোদ্ভূত, পঞ্চম-রাজা এই ভোজ।
এনার রাজত্ব কাল-(১০০০-১০৫৫) সালে।
এনার রাজত্ব কালের-তাম্রপত্র,শিলালেখ, মুর্তি লেখ প্রাপ্ত হয়েছে ।
মহারাজাভোজের সমন্ধিত-১০১০-১০৫৫ খ্রিঃ পর্যন্ত-এই ঐতিহাসিক-চিহ্ন পাওয়া গেছে ।
হ্যাঁ-তাহলে-এখন আর বুঝতে অসুবিধা নেই, ইনি যে-একজন ঐতিহাসিক পুরুষ ছিলেন সেটা নিশ্চিত ।
রাজা ভোজের অন্তর্গত ছিল-মালবা,কোংকন,খানদেশ, ভিলসা, ডুংগপুর,বাংসবাড়া, চিতোর, এবং গোদাবরী ঘাটীর কিছু অংশ।
রাজা ভোজ উজ্জেনের পরিবর্তে “ ধার,, কে নিজের রাজধানী স্থাপিত করেছিলেন ।
ধার - বর্তমান ভোপাল, মধ্যে প্রদেশের রাজধানী ।

রাজা ভোজের রাজ্য শাসনে সন্তুষ্টি হয়ে বিদ্যান লোক-ওনাকে- নববিক্রমাদিত্য বলতেন।
কিন্তু কেনো?
কারণ-রাজা ভোজপাল ছিলেন ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুংজরাজের ভাস্তে ও সিন্ধু রাজের পুত্র । ওনার স্ত্রীর নাম ছিল-লীলাবতী ।

রাজা ভোজের উল্লেখ- আইন-এ-অকবরীতেও পাওয়া যায় ।
আইনি-এ-অকবরীর অনুসারে-রাজাভোজের রাজ সভায়-৫০০ জন বিদ্যান সোভা পেতেন।
এর মধ্যে নয় জনের( নবরত্ন)  নাম উল্লেখ বিশেষ ভাবে পাওয়া যায় ।
রাজা ভোজ বিমান শাস্ত্রের বিস্তারিত বর্ননা করেছিলেন ।
নোকা ও জাহাজ নির্মাণ কার্য বিস্তারিত বর্ননা করেছিলেন ।
এছাড়াও তিনি পুতুল. মানব ( রোবোট)   তৈরির বিধিও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও বর্ননা করেছিলেন ।
ঘটনা কেমন হলো?
এগুলো কি গাল-গল্প! তবে একটু দেখি--

রাজা ভোজ এক জন অসাধারণ লেখক ও ছিলেন।
একটা নয়-দুটো নয়! সর্ব মোট- ৮৪- টি গ্রন্থ লিখেছিলেন ।
এছাড়াও বলা হয়- তিনি-৬৪ প্রকারের সিদ্ধি প্রাপ্ত করেছিলেন ।

তিনি রচনা করেছিলেন-
(১) সমরাঙ্গন সূত্র ধার।
(২) সরস্বতী কন্ঠভিরণ।
(৩) সিদ্ধান্ত সংগ্রহ ।
 (৪) রাজকার্তড।
(৫) যোগসূত্র বৃত্তি ।
 (৬)বিদ্যা বিনোদ।
(৭) যুক্তি কল্পতরু।
(৮) চারুচার্চ।
(৯) আদিত্য প্রতাপ সিদ্ধান্ত ।
(১০) আয়ুর্বেদ  সর্বস্ব শৃগার প্রকাশ ।
(১১) প্রাকৃতি ব্যাকরণ ।
(১২) কূর্ম শতক।
(১৩) শৃংগার মঞ্জুরী।
 (১৪) ভোজ চম্পু।
(১৫) কত্য কল্পতরু ।
(১৬) তত্ত্ব প্রকাশ ।
(১৭) শব্দানু শাসন।
(১৮)  রাজ্মৃডাড।
(১৯) ভোজ প্রবন্ধ ।
(২০) আত্মকথা।
(২১) হনুমান্নাষ্টক।
(২২) চম্পু রামায়ণ ।
এছাড়াও ধর্ম, জ্যোতিষ, আয়ুর্বেদ, ব্যাকরণ, বাস্তুশিল্প, বিজ্ঞান, কলা, নাট্য শাস্ত্র, সংগীত, যোগ শাস্ত্র, দর্শন, রাজনীতি শাস্ত্র, আদি অনেক গ্রন্থ লিখেছিলেন  এই বিখ্যাত রাজা ভোজ ।
তিনি এক জন অসাধারণ প্রতাপী, চক্রবর্তী, কাব্যিক আর বাস্তু শাস্ত্রের নিপুণ বিদ্যান রাজা ছিলেন ।
রাজা ভোজের জীবন আর কার্য নিয়ে অনেক বিশ্ব বিদ্যালয় গবেষণা করছেন ।
এছাড়াও- নাগভট্ট,বাপ্পারাবল, মিহিরভোজ, দেবপাল, অমোঘবর্ষ, ইন্দ্র দ্বিতীয়,চোলরাজা, রাজেন্দ্রচোল,পৃথিবীরাজ চৌহান, বিক্রমাদিত্য-Vi ,
..হরিহর রায়,বুক্কা রায়, রানা সাংগা, শ্রীকৃষ্ণদেব বর্মন, মহারানা প্রতাপ, গুরুগবিন্দ সিং, শিবাজি মহারাজ, পেশবা বাজীরাব, বালাজী বাজীরাব, মহারাজা রনজিৎ সিংহ, এনাদের রাজত্ব কালে সকল প্রজা নির্ভয়ে ছিলেন ।
রাজা ভোজ গুজরাতের চালুক্য রাজ ও চেদি নরেশের সংযুক্ত সেনার কাছে পরাজিত হয়ে-
১০৬০ খ্রিঃ পর লোক গমণ করেন ।

একটু আলোচনা-করছি-পুতুল মানবের- (রোবোট মানব।)

রত্ন মঞ্জুরী পুতলি মানবের উল্লেখ পাওয়া যায় মোট ৩২- টি- তাদের নাম -গুলো একটু দেখে নেওয়া যাক-

(১) রত্ন মঞ্জুরী।(২) চিত্র লেখা (৩) চন্দ্রকলা (৪) কাম কন্দলা(৫) লীলাবতী (৬) রবিভামা(৭) কৌমুদী(৮) পুষ্পবতী(৯) মধুমালতী (১০) প্রভাবতী(১১) ত্রিলোচনা (১২) পদ্মাবতী (১৩) কীর্তি মতি(১৪) সুনয়না (১৫) সুন্দর বতী(১৬) সত্যবতী (১৭) বিদ্যাবতী(১৮) তারাবতী
(১৯) রূপরেখা(২০) জ্ঞানবতী(২১) চন্দ্র জ্যোতি (২২) অনুরোধ বতী(২৩) ধর্ম বতী(২৪) করুনা বতী
(২৫) ত্রিনেত্রী (২৬) মৃগ নয়নী(২৭) মলয় বতী(২৮) বৈদেহী(২৯) মোকবতী(৩০) জয় লক্ষ্মী(৩১) কৌশল্যা (৩২) রানী রূপ বতী।

এ সকল পুতুল হাসতো ,খেলতো , কথা বলতো এবং কার্য ও করতে পারতো।
যাই হোক মূল বিষয়ে লক্ষ রেখে লেখাটি আগে চলতে থাকি!

 পূর্বের শ্লোকটি ভবিষ্য পুরাণের- প্রমাণ করেছেন-
বিখ্যাত পুরাবিদ্ অনন্ত বামন বাকনকর তিনি নিজের পুস্তক- দ্য-গ্লোরী-আঁফ- দ্য পরমারাজ আঁফ মালবাতে “কোন্দড কাব্য,, আধার নিয়ে তুরুষ্কো( তুর্কি) পর্যন্ত রাজা ভোজের রাজ্যে বিজয়ের পুষ্টি করেছিলেন ।
এবং মক্কা ও কাবা- মক্কেশ্বর মহাদেবের পুজোর কথা বলে থাকেন এবং ভবিষ্য পুরাণের কথা সঠিক বলে গন্য করেন।
এছাড়াও-এর পরবর্তী-ভারতীয়-  প্রাচীন বৈদিক ইতিহাস থেকেও একটু আলোচনা করবো।
তবেই মক্কা ও কাবার ইতিহাস একটু -একটু করে ফুটে উঠবে ।
আজ এখানেই ।
ধন্যবাদ-।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted