ইলা মজুমদার

ইলা মজুমদার
● শিবপুর বি ই কলেজের ( বর্তমানে IIEST) প্রথম ছাত্রী।
● ভারতের প্রথম মহিলা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।


● বাংলার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার।
● শিক্ষানবিসির জন্য বিদেশ যাওয়া ভারতের প্রথম মহিলা।
● ভারতের প্রথম মহিলা যিনি ভারী যন্ত্রাংশ তৈরীর কারখানায় কাজ করেছেন।
● কলকাতার প্রথম (ভারতের দ্বিতীয়) মহিলা পলিটেকনিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
● বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পলিটেকনিক কলেজের স্থাপনা এঁনার তত্ত্বাবধানে।
ছবিটি ১৯৪৭/৪৮ এ তোলা। শিবপুর বি ই কলেজের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর ভারত সরকার মহিলাদের জন্য শিক্ষার সব ক্ষেত্র খুলে দেন। সেই বছরই অনেক বাধা বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও ইলা মজুমদার ভর্তি হন শিবপুরের মেকানিক্যাল বিভাগে। ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পেলেও তিনি ডাক্তারি পড়তে গেলেন না। গেলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, যেটা এতদিন শুধুমাত্র পুরুষরাই পড়তে পারত। তৎকালীন শিবপুরের কয়েকশো ভারতীয় এবং ইউরোপীয়ান ছাত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন একমাত্র ছাত্রী। ১৯৫১ তে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হলেন ইলা। এরপর ট্রেনিং এর জন্য গেলেন গ্লাসগো। কারন শিবপুরের প্রিন্সিপাল ভেবেছিলেন ভারত তখনও মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের কাজের জন্য উপযুক্ত হয়নি। যদিও ট্রেনিং শেষে ভারতে ফিরে এসে দেরাদুনের Ordnance factory তে কাজে যোগ দেন। সেখানকার স্টাফ কোয়ার্টারে একাই থাকতেন তিনি। পরে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। প্রথমে দিল্লি পলিটেকনিক এবং পরে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ জুট টেকনোলজি তে লেকচারার ছিলেন তিনি। কলকাতার মহিলা পলিটেকনিক গড়ে ওঠে তাঁদের কয়েকজনের উদ্যোগে। এবং ইলা ছিলেন প্রথম প্রিন্সিপাল।
১৯৮৫ তে জাতিসংঘের তরফ থেকে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা শহরে একটি মহিলা পলিটেকনিক কলেজ খোলার। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তখন তাঁকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। পরে অবশ্য তিনি সাফল্যের সঙ্গেই কাজটি সম্পন্ন করেন।


0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted