কেন তুরস্ক আজারবাইজানের পক্ষ নেয়া খুবই স্বাভাবিক?

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেধেছে। এই যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানের পক্ষ নেয়া খুবই স্বাভাবিক। কারণ হিটলারের ইহুদি নিধনের পর পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় গণহত্যা ও জেনোসাইড ঘটিয়েছিল তুরস্ক আর্মেনিয়া খ্রিস্টানদের উপর। ১.৫ মিলিয়ন খ্রিস্টান আর্মেনিয়াদের নির্মমভাবে হত্যা করে অটোমান শাসকরা। কনস্টান্টিনোপল যার বর্তমান নাম ইস্তাম্বুল সেখান থেকে আর্মেনিয়াদের ধরে আঙ্কারায় এনে হত্যা করা হয়। ইস্তাম্বুল আসলে খ্রিস্টানদের শহর ছিলো। এখানেই হায়া সোফিয়া গির্জা ছিলো যেটা সম্প্রতি এরদোয়ান মসজিদ বানিয়েছে। অটোমান সাম্রাজ্যও গির্জাকে মসজিদ বানিয়েছিলেন। এখন যারা বলে খ্রিস্টানদের কাছ থেকে মুসলমানরা গির্জা কিনে নিয়েছিল তারা ১.৫ মিলিয়ন আর্মেনিয়া খ্রিস্টান হত্যার কথা চেপে যায়। গির্জা ফেলেই তো খ্রিস্টানরা পালিয়ে ছিলো। এখন যে আর্মেনিয়াদের দেখা যায় তারা সবাই তুরস্কের গণহত্যার শিকার হওয়াদের উত্তরসূরী।

কাজেই মুমিনকূল এই যুদ্ধে আজারবাইজানের পক্ষ নিবে স্বাভাবিক। নিয়েছেও তাই। তবে আর্মেনিয়া খ্রিস্টান গণহত্যা ইহুদি গণহত্যার মত সারা বিশ্বে কেন সেভাবে প্রচার পেলো না, হিটলারের মত কেন মুসলিম খিলাফতের খলিফারা ঘৃণিত হলেন না তার একটা স্বার্থের রাজনীতির উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। ১৯৭৫ সালের ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস আর্মেনিয়া গণহত্যাকে "মানবতাবিরোধী দিবস " ঘোষণা প্রস্তাব করলে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে এই যুক্তিতে এর বিরোধিতা করলে মার্কিন সিনেটের বিচার বিভাগ কমিটিতে এই প্রস্তাব পাশ হওয়া আটকে যায়। এভাবেই ইসলামিক খিলাফতের জেনোসাইড বিশ্ববাসীর কাছে প্রায় অজানা থেকে যায়। তবে তুরস্ক যেমন নিজেরা গণহত্যা ভুলেনি আর্মেনিয়াও ভুলেনি। এই যুদ্ধের সময়ও সেটা স্পষ্ট হচ্ছে ...।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted