# আপনি বলুন দেখি গনিমতের মাল কি জিনিস?
★ নিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধে পরাজিত শত্রুপক্ষের সম্পদ, যা বিজয়ী শক্তির হস্তগত হয়।
# আর নারী, শিশু, যুবাসহ অমুসলিম মানুষরা গনিমতের মাল হয়না?
★ যুদ্ধে পরাজিত শক্তির সম্পদ এবং পরাজিত যুদ্ধবন্দীগণ গনিমতের মাল হিসাবে পরিচিত। বাংলা মাল শব্দ অনেক সময়ই খারাপ অর্থে বা চুটুল অর্থে ব্যাবহৃত হয় বলে এখন আমাদের শুনতে খারাপ লাগে। এমন কোনো উদাহরণ আছে কি যেখানে যুদ্ধ বন্দিদের জামাই আদর করা হয়েছে?!
# আধুনিক সভ্যতায় যুদ্ধবন্দীদের দাস বানানোর তো প্রশ্নই ওঠেনা। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো যুদ্ধবন্দীর উপর অত্যাচার চালানো একদম যুদ্ধাপরাধ। যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষের সম্পদ লুন্ঠন করা দুস্কর্ম এবং যুদ্ধাপরাধ। অথচ মোহাম্মদ ইহার নাম দিয়াছেন গনিমতের মাল। যুদ্ধে কোনো বেসামরিক মানুুষকে টার্গেট করা, নারী এবং নিরপরাধ শিশুকে বন্দী করা বা তাহাদের উপর অত্যাচার চালানো যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। যুদ্ধবন্দীদের বন্দীর মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের আওতায় ইতিমধ্যে অনেকগুলো আইন ও চুক্তি স্বাক্ষর হইয়াছে। একজন প্রকৃত সৈনিকের কাছে একজন পরাজিত সৈনিকের কদর আছে, সম্মান ও সহানুভূতি আছে; আধুনিক যুদ্ধ আইন তথা আন্তর্জাতিক আইনে ইহার স্বীকৃতিও আছে। মোহাম্মদী পাশবিক চিন্তায় ইহাকে "জামাই আদর" হিসাবে ভাবা অবশ্য অমূলক নহে। কারণ মোহাম্মদ দুর্বৃত্ত ছিল। আধুনিক সভ্যযুগে কাউকে দাস বানানোর কথা কল্পনাও করা যায়না। এইসব কেবল মোহাম্মদী জেহাদিদের ভাবনায় থাকিতে পারে। গত ১৫/২০ বছরে আমরা অনেক যুদ্ধ দেখিলাম। কোথাও পরাজিত বা যুদ্ধবন্দীদের এবং তাহাদের স্ত্রী কন্যা এবং শিশুদের দাস বানানো হইয়াছে তাহার কোনো নজির দেখিনাই। মোহাম্মদের খচ্চর উম্মত ইহাকে বলে "জামাই আদর"।
যুদ্ধের উত্তপ্ত মুহুর্তে কোনো সৈনিক প্রতিপক্ষের হাতে ধরা পরিলে তাহার উপর নির্যাতন এমনকি তৎক্ষনাৎ গুলি করিয়া মারার নজির হয়তো এখনো অসংখ্য আছে। কিন্তু একবার বন্দী হিসাবে কারারুদ্ধ হইলে তাহাকে বন্দীর মর্যাদা প্রদানই আইন এবং নীতি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৬ই ডিসেম্বর যেসব পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করিয়াছিল তাহাদের যুদ্ধবন্দীর মর্যাদাই দেওয়া হইয়াছিল। তাহাদের পরবর্তীতে ত্রিদেশীয় চুক্তির আওতায় (সিমলা চুক্তি) স্বসম্মানে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হইয়াছিল। মোহাম্মদের ছাগু উম্মত মানবিকতা এবং যুদ্ধ আইনকে "জামাই আদর" ভাবিতেই পারে। আমরা যুদ্ধবন্দীদের দাস বানানোর কথা কল্পনাও করিতে পারিনা।
এবার আধুনিক সভ্যযুগের আইন নহে, প্রগৈতিহাসিক যুগের কথা বলিব। মোহাম্মদের জন্মের বহুপূর্বে রামায়ণ-মহাভারতের যুগে যেসব যুদ্ধ হইয়াছিল সেখানেও আমরা যুদ্ধনীতি তথা যুদ্ধ আইনের উপস্থিতি দেখিতে পাই। সেইসব যুদ্ধে যুদ্ধ আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্য নিন্দা সমালোচনাও দেখিতে পাই। যুদ্ধে নিরস্ত্র সৈনিককে আঘাত না করা, আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া, নারী, শিশু এবং অন্যান্য সিভিলিয়ানদের ক্ষতি না করা, সিভিলিয়ান অঞ্চলে অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানের বাইরে যুদ্ধ না করা, রাতের আঁধারে আক্রমণ না করা ইত্যাদি সেই যুগেও মানা হইত। তাহার অনেক পরে অর্থাৎ যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৬০০ বছর পরে মোহাম্মদের আমলে সেই যুদ্ধনীতি এবং মানবিকতা বিলীন হইল কিভাবে? কিভাবে বেসামরিক জনপদে অর্থাৎ মানব বসতিতে হামলা চালাইয়া তাহাদের হত্যা, নারী, শিশুসহ সাধারণ মানুষকে বন্দী এবং দাসদাসী বানানো জায়েজ হইতে পারে? ইহা কিভাবে আল্লাহর বাণী হইতে পারে? যুদ্ধবন্দী নারীদের ধর্ষণ করা, তাহাদের ভাগবাটোয়ারা করিয়া লওয়া এবং হাটেবাজারে বিক্রি করা কিভাবে আল্লাহর বিধান হয়? মোহাম্মদ যে মরুদস্যু ছিল ইহাতে কি আর কোনো সন্দেহ আছে?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................