হিন্দুদের পুনর্জাগরন

“হিন্দুদের পুনর্জাগরন”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ 

কিছুদিন আগে একটি পোষ্ট করেছিলাম, “চাই হিন্দু রেনেশাস’। 

আমাদের সত্য ইতিহাস কিছু বেচে থাকলেও সেটা আছে বিকৃত ভাবে। বেশীর ভাগ ইতিহাস ধংস হয়েছে ইসলামী আগ্রাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ,পাঠশালার সব পুড়িয়ে দেবার জন্য। খুব সামান্য যা বেচে আছে, তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার এক সুকৌশলী পরিকল্পনা প্রথমে ম্যাকুউলে বাদীরা এবং পরে মার্ক্সবাদীরা করেছে। দিল্লীতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলকাতার যাদবপুরে পড়াশুনা যতোটা হয় তার বেশি হয় বামপন্থী মনোভাব গঠন। রোমিলা থাপার এবং ইরফান হাবিব তাদের পদ এবং লেখার দ্বারা হিন্দুদের ইতিহাস যা ছিলো তাকে ময়লা ফেলার আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে। যারা আসল ইতিহাস লিখেছেন, তাদের ব্রাত্য করে রেখে দিয়েছে ‘ মস্তিষ্ক বিকৃতির শিকার মাথা গুলো’। 

কিন্তু এরা, এই ইরফান হাবিবরা একটা জিনিষ বুঝতে পারেনি। সেটা হলো, তাদের দিন পালটেছে। বর্তমান ‘ইনফরমেশানের যুগে’ ওদের ওই বস্তা পচা তত্ব গুলো আজ কতিপয় ‘বিকৃত এবং বিক্রীত’ মাথা ওয়ালারা ছাড়া কেউ বিশ্বাস করছে না। হিন্দু ছেলে মেয়ে গুলো আজ শিক্ষিত হয়েছে। তারা নিজেদের ‘মুল কোথায় এবং কি’ তা জানতে চাইছে। এই শিক্ষিত হিন্দু ছেলেমেয়ে গুলো, যুবক যুবতী রা যখন তাদের পুর্ব পুরুষের ওপরে যে অন্যায় অত্যাচার করা হয়েছে ৭১২ সাল থেকে ১৭৫৭ সাল অবধি, সেই কাহিনী জানতে পারবে ( সেটা ঘটছে এবং এখন তার মাত্রা বাড়ছে) সেদিন এদের দ্বারাই ঘটবে “হিন্দুদের পুনর্জাগরন”।

প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন হিন্দু শিক্ষিত। ৪৫ কোটি। সারা আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপের প্রায় লোক সংখ্যার সমান। এই শক্তি কতো বড়ো শক্তি তা পৃথিবীর বিভিন্ন শাক্তি জানে, বোঝে। তাই হিন্দুদের দেশ কে দুই ভাগ করা হয়েছিলো। যাতে হিন্দুরা তাদের ঘুম থেকে না জেগে ওঠে। কিন্তু “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে”। সেই কলকে থামানো যায় না। ইংরেজ, নেহেরু, গান্ধী, জিন্না মিলে তা পিছিয়ে দিয়েছে কিন্তু পুরো বন্ধ করতে পারেনি। 

ইংরেজ নিজের দেশেই আজ নাস্তানাবুদ। নেহেরু, জিন্না, শেখ আব্দুল্লারা শেষের পথে। গান্ধীকে কুলুঙ্গীতে রেখে দেওয়া হয়েছে, শুধু ফুল চড়ানোর জন্য, ভক্তি বা ভালোবাসা মিলিয়ে যাচ্ছে। এক ঐশ্বরিক প্রভাবে হিন্দু ছেলে মেয়েরা জানছে, মানছে, বুঝতে পারছে।  পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও (ইউরোপের বেশ কিছু দেশ, যেমন ফ্রান্স) “অশুভ শক্তি বিরোধী” তা শুরু হয়ে গেছে। 

আমাদের ভারত ও সেই পথে পা বাড়িয়েছে। এই পুনির্জাগরনের প্লাবন কে রুখবে??? হয়তো আমার জীবনেই দেখে যাবো ‘অপশক্তির অপসারনে’ শুভ শক্তির সেই ‘পুনর্জাগরন’, শিব শক্তির মহা হুঙ্কার।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted