“ঐকতান= এক সুরে গান গাওয়া”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
যারা ভি আই পি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন তারা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন এয়ার পোর্টের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তার বাদিকে কৈখালীতে “হজ্ব যাত্রী দের জন্য” সুবিশাল এবং অত্যাধুনিক যাত্রী নিবাস তৈরী হয়েছে। তা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। মাননীয়া ভালো কাজ করেছেন।
আমি ঐ জায়গা দিয়ে প্রায়শই যাতায়াত করি। দেখেছি একটি ‘সাইন বোর্ড’ । সেখানে মাননীয়ার হাসি মুখ সহ লেখা আছে ( এখন আর নেই) “ঐক্যতান”। প্রথম দেখার পর আমার মনে দুটো প্রশ্ন জেগেছিলো।
এক - ‘ঐক্যতান’ না ‘ঐকতান’? এ নিয়ে ছবি সহ আমি একটি পোষ্ট ও করেছিলাম। অনেক দিন আগের কথা, সেই পোষ্ট এবং ছবি খুজে পাই না। তারপর দেখলাম সেই লেখা ঊধাও। কি জানি কি হয়েছে।
আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, এই যাত্রী নিবাসের নাম “ঐকতান” ( থুড়ি,ঐক্যতান) কেনো দেওয়া হলো? কাদের সংগে ‘ঐক্য’ কাদের সঙ্গে এক সুরে গান গাওয়া???? আজো বিভিন্ন ‘পরব’ উপলক্ষ্যে কৈখালী এবং চিনার পার্কে ‘বহুব্যয়’ করে বিশাল তোরন তৈরী করা হয়। যেখানে বিভিন্ন ‘পরব’ এ মাননীয়ার শুভেচ্ছা বার্তা থাকে। আমি শুভেচ্ছা বলছি কিন্তু আমি আসলে কি লেখা তা বুঝি না। কারন এক সম্পুর্ন বিদেশী ভাষায় কি সব আকি বুকি থাকে। পুর্ব পাকিস্তানে জন্ম তো, তাই বুঝি ঐ আকি বুকি গুলো “আরবী”--- কি সব যেন ছিলো== ‘আলিফ বে পে তে টে ছে ‘ কি সব, এখন ভুলে গেছি।
ভেবে অবাক হই, যাদের সন্তুষ্ট করতে বিদেশী ভাষার যাহায্য নিতে হয়, তাদের সঙ্গে ‘এক সুরে ঐক্যতান ( আবার ভুল বললাম, ঐকতান হবে) কি করে সম্ভব????? ভাষা বিদেশী, ধর্ম বিদেশী, পোষাক বিদেশী, মন পড়ে থাকে আরবে শুধু দেহ পড়ে আছে এবং পুষ্ট হচ্ছে ভারতের সম্পদে তারা ভারতের ‘মালাউন/ কাফের দের’ সঙ্গে এক সুরে কি করে গাইবে???
আমার মনে হয়, ভারতের হিন্দুরা তাদের আদিভাষা ‘সংষ্কৃত’ বর্জন করেছে, হিন্দি এবং আরবী ভাষার জগাখিচুড়ি “উর্দু” কে মানিয়ে নিয়েছে ( দক্ষিন ভারতে এবং মহারাষ্ট্রে ভালোই দেখা যায়)। কলকাতার অনেক জায়গা আছে, যেখানে হিন্দুদের এক সময়ের প্রভুরা বাস করে বিশেষ কিছু বস্তিতে, যেখানে ওই ‘আরবী এবং উর্দু ভাষায়’ কথা বার্তা হয়। তা এসব না করে, ভারতের প্রায় ২৫% যে আরবের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করে, জীবনে এক বারের জন্য হলেও যে আরবী মরুভুমিতে গিয়ে পবিত্র হতে চায় ( কাফেরদের অপবিত্র ছোঁয়ার হাত থেকে মুক্ত হতে), কিছুদিন পর ওই ২৫% যখন ৪০% হবে এবং আবার প্রভু হবে, সেই হবু প্রভুদের ‘বিশেষ ভাষা, বিশেষ ধর্ম , বিশেষ সংষ্কার” ভালো ভাবে রপ্ত করে নিলেই তো ল্যাটা চুকে যায়। “ঐক্যতানে” ( আবার ভুল ঐকতান) এক সুরে গান গাওয়া যায়।
আমার বয়ষ হয়ে গেছে, আর গান মোটেও গাইতে পারি না। তাই আমি বাদ থাকি। আর সবাই তৈরী হয়ে কাজে নেমে পড়ো।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................