আসাদ উদ্দীন ওয়াইসি পশ্চিমবঙ্গের আশু নির্বাচনে তাঁর দল আইমিম অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এই সেই রাজনৈতিক দল যার এক নেতা, ওয়ারিস পাঠান, বলেছিলেন যে ভারতের ১৫ কোটি মুসলমান ১০০ কোটি হিন্দুদের ওপর ভারী হবে। এই সেই রাজনৈতিক দল যার আরেক নেতা, আকবর উদ্দীন ওয়াইসি, যিনি আসাদ উদ্দীনের ভাই, বলেছিলেন যে ১৫ মিনিটের জন্যে যদি পুলিশ প্রশানকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়, তাহলে এই ১৫ কোটি মুসলমান ভারতের ১০০ কোটি হিন্দুদের "সাফাই করে দেবে"!
বিহারে সাম্প্রতিক নির্বাচনে আইমিম আশাতীত সাফল্য লাভ করেছে। বিহারের জনসংখ্যার মোটামুটি ১০% মুসলমান আর পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার মোটামুটি ৩০% মুসলমান। আসাদুদ্দীন অত্যন্ত ধূর্ত এবং বুদ্ধিমান রাজনীতিক। তিনি খুব ভালো ভাবে জানেন কি ভাবে মুসলমানদের অধিকাংশ জনসংখ্যাকে তার দিকে আকর্ষিত করা যায়। তাই এই ৩০%-এর মধ্যে যদি ২০-২৫% মুসলমান আইমিমকে ভোট দেয়, তাহলে আইমিম এখানে বেশ কয়েকটি আসন পাওয়ার কথা।
এর মধ্যে যদি তৃণমূল ও আইমিম কোনোরকম ক্ষমতা ভাগাভাগির রফা করে নেয় আর তার সাহায্যে সরকার গঠন করে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে আজ যা এতদিন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির আড়ালে চলছিল, তা কিন্তু তখন খোলাখুলিভাবে এবং স্বত্ত্বাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে করা হবে এবং আরও বেশী মাত্রায় করা হবে। আজ পাকিস্তান বা বাংলাদেশের হিন্দুদের যা অবস্থা হচ্ছে, অচিরে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সেই অবস্থা হতেই পারে।
এর মধ্যে কমরেডরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে কতটা কি করে উঠতে পারবে সেটা সময় বলবে, তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ইদানিং কেউই খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি।
হিন্দুদের এই ভবিষ্যৎ হওয়া থেকে আটকানোর একটাই উপায়; হিন্দুদের ঐক্য। সোনার পাথরবাটির মতো শোনালেও এটাই এখন হিন্দুদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সমর্থক, তাদেরও এবার এটা ভাববার সময় এসে গেছে, যে তারা হিন্দুদের ঐক্য চায়, সুরক্ষা চায়, না একটা অনিশ্চিত ও অসুরক্ষিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে চায়। হিন্দুদের নিজেদের পারস্পরিক মতভেদ, মতানৈক্য বা ভাবধারার বৈষম্য আপাতত সরিয়ে রেখে নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার কথা ভাববার সময় এসে গেছে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................