হিন্দুরা একতরফা ভাবে প্রচার করছে 'সর্বধর্ম সমন্বয়'।

হিন্দুরা একতরফা ভাবে প্রচার করছে 'সর্বধর্ম সমন্বয়'। হিন্দুরা ঐ কথা বললে কি হবে, অন্য ধর্মের লোকেরা হিন্দুদের একদম পাত্তা দেয় না।
প্রতিবেশী সমাজে বাচ্চাদের জ্ঞান হওয়ার সাথে সাথে তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে হিন্দুরা ঘৃণিত-অভিশপ্ত, যতটা সম্ভব ওদের এড়িয়ে চলবে। হিন্দুদের অন্ধভক্তি ও অন্ধ বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে, বিদেশী শক্তির কতিপয় মেধাবী ক্রিমিনাল এজেন্ট ― ধর্মগুরু, সন্ন্যাসী বা ভগবানের ছদ্মবেশে হিন্দুদের মগজে যুগে যুগে এমন কিছু স্লো-পয়জন ঢুকিয়ে দিয়েছে, হিন্দুরা ধুঁকে ধুঁকে বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতা,অস্পৃশ্যতা, নারীবিদ্বেষ ও বিষয়-বৈরাগ্যবাদের মতোই সর্বধর্ম সমন্বয় হচ্ছে, হিন্দু জাতির জন্য এক ভয়ানক অদৃশ্য মহামারী। সর্বধর্ম সমন্বয় তত্ত্বের প্রভাবে, অন্য ধর্মের প্রতি হিন্দুদের প্রবল অনুরাগ ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয় এবং অর্থের প্রয়োজনে হিন্দুরা সহজেই ধর্মান্তরিত হয়ে যায়।

বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেট-তারকা সাকিব আল হাসান। সে কলকাতার একটি ক্রিকেট ক্লাবে খেলে। সেখানে তার কোটি কোটি ভক্ত। সঙ্গত কারনেই সাকিবের কলকাতায় যাতায়াত। সম্প্রতি মিডিয়ায় একটি সংবাদ ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে যে, সাকিব-আল-হাসান কলকাতায় একটি কালীপূজা উদ্বোধন করেছে। এজন্য সাকিবের কেবল নোংরা-অশ্লীল সমালোচনাই নয়, অস্ত্রহাতে ফেসবুক লাইভে এসে তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় সাকিব জানিয়েছে, সে মিনিট দু'য়েকের জন্য কলকাতার একটি পূজামণ্ডপে গিয়েছিল ঠিকই, তবে সে পূজা-উদ্বোধন করেনি- একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে সে তা করতেও পারেনা। তবুও সে যেহেতু পূজামণ্ডপে গিয়েছে এবং তাতে তার স্বজাতিরা মনে কষ্ট পেয়েছে- এজন্য সে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং একাধিকবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। সেইসঙ্গে সাকিব ইসলামী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে, আরো জানিয়েছে- তারা যতটা ঐক্যবদ্ধ হবে ততই শক্তিশালী হবে। সাকিবের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ঐ পূজা উদ্বোধন করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী ও অন্যতম নীতিনির্ধারক ফিরহাদ হাকিম। 

হিন্দুদের পাগলামি ও বোকামি সম্পর্কে এখানে আমি আর কোন মন্তব্য করব না।

কৃত্তিবাস ওঝা
১৭/১১/২০২০খ্রিঃ

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted