***#আত্মঘাতী #হিন্দু #জাতি---(পর্ব - এক)
**********************************
***#এই পর্বের প্রসঙ্গঃ#মাদার তেরেসা*****
*****************************
***#মেসিডোনিয়ায় জন্ম নেওয়া আলবেনীয় বংশোদ্ভূত অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ ভারতে এসেছিলেন
খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করতে। ভারতীয়রা তাকে চেনে তেরেসা নামে। আশির দশকে এই ভদ্রমহিলাকে
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর, পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা তাকে মাদার তেরেসা উপাধি দিয়ে যে নাচানাচি করেছে, তা দেখে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কেননা, মাদার তেরেসা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি লক্ষাধিক হিন্দুকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন; যাদের এক তৃতীয়াংশকে ধর্মান্তরের জন্য প্রবল ভাবে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে, যা জোর-জবরদস্তির সামিল। কলকাতার বাঙালি হিন্দুদের এই আহম্মকীর জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল, বাংলাদেশের তৎকালীন বহু সেক্যুলার হিন্দু।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর, পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা তাকে মাদার তেরেসা উপাধি দিয়ে যে নাচানাচি করেছে, তা দেখে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কেননা, মাদার তেরেসা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি লক্ষাধিক হিন্দুকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন; যাদের এক তৃতীয়াংশকে ধর্মান্তরের জন্য প্রবল ভাবে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে, যা জোর-জবরদস্তির সামিল। কলকাতার বাঙালি হিন্দুদের এই আহম্মকীর জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল, বাংলাদেশের তৎকালীন বহু সেক্যুলার হিন্দু।
***#বাঙালি হিন্দুরা তেরেসার ফাউন্ডেশনে দু'হাত উজার করে টাকা দান করেছে। সেই টাকা দিয়ে তেরেসা হিন্দুদের দরিদ্র ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তরিত করেছে হিন্দুদের। যা ছিলো নীতি-গল্পের সেই বৃক্ষের, হাতলের জন্য কুড়ালকে কাঠ দেওয়ার সামিল। বিশাল বৃক্ষ ভেবেছিল, আমার শরীরে অফুরন্ত কাঠ। কুড়ালকে একটুখানি কাঠ দান করলে কি এসে যায়! কিন্তু বৃক্ষের কাছ থেকে হাতল পেয়ে, সেই অকৃতজ্ঞ কুড়াল, কাঠ-দাতা বৃক্ষটাকেই সমূলে উচ্ছেদ করে দেয়।
***#হিন্দুরা আবেগে গদগদ হয়ে কালীঘাট মন্দিরের নিজস্ব জমি পর্যন্ত তেরেসার ফাউন্ডেশনে দান করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, খ্রিস্টানরা কি হিন্দুদের কোন সংগঠনের জমি বা টাকা দেয়? খ্রিস্টানদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হিন্দুরা কি কোন খ্রিস্টানকে সনাতন ধর্মের ফিরিয়ে আনতে পারবে? তাহলে সর্বধর্ম সমন্বয়ের নামে হিন্দু জাতির পৃষ্ঠদেশে এভাবে ছুরিকাঘাত করার মানে কি?
***#কলকাতায় বাইপাস ধরে যেতে যেতে লক্ষ্য করছিলাম, একটি আকর্ষণীয় বিনোদন পার্কের প্রবেশ পথে বিরাট একটি যীশুর মূর্তি বানিয়ে রাখা হয়েছে। দু'হাত প্রসারিত করা যীশুর মূর্তি, যেন হিন্দুদের ধর্মান্তরিত হতে আহ্বান জানাচ্ছে। ঐ পার্কে বহু কোমলমতি হিন্দু ছেলেমেয়ে যাতায়াত করে, তাছাড়া পার্কের পাশ দিয়ে মহানগরের ব্যস্ততম মহাসড়ক। যীশুর ঐ মূর্তি, সরল-প্রাণ হিন্দুদের নিকট ধর্মান্তরের বার্তা কি পৌঁছে দিচ্ছে না? হিন্দুদের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকায় এই সমস্ত বিজাতীয় বিধর্মী পয়গম্বরের মূর্তি বানানো হচ্ছে কেন? ভাগ্য ভালো, ইসলাম ধর্মের মূর্তি বানানো যায়না। বানালে হিন্দু নাম নামধারী সেক্যুলারদের হাড্ডি গুড়া করে দেবে দুধেল গাইরা।
***#নরেন্দ্রনাথ দত্ত- যিনি স্বামী বিবেকানন্দ নামে সমাধিক পরিচিত, তিনি আমেরিকা সফরে গিয়ে 'সর্বধর্ম সমন্বয়' তত্ত্ব আমদানি করেন। হিন্দুদের বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি আয়ারল্যান্ড থেকে মার্গারেট এলিজাবেথ নামক এক খ্রিস্টান নারী ধর্মপ্রচারককে ভারতে নিয়ে আসেন। হিন্দুরা তাকে ভগ্নি নিবেদিতা নামে চেনে। মার্গারেট এলিজাবেথ কিন্তু সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেননি, আমৃত্যু খ্রিস্টান ছিলেন। অথচ কাণ্ডজ্ঞানহীন হিন্দুদের এই ভদ্রমহিলাকে নিয়ে কত আবেগের ফুলঝুরি। ধুরন্ধর লেখকরা সত্য আড়াল করে, তথ্য বিকৃত করে, অতিরঞ্জিত বই-পুস্তক লিখে, হিন্দুদের বিভ্রান্ত করেছে যুগের পর যুগ; এমনকি এখনো সমানে করে যাচ্ছে। অধিকাংশ হিন্দুই জানেনা যে, এই নিবেদিতা রামকৃষ্ণ মিশন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। মার্গারেট এলিজাবেথ স্মৃতিকথায় লিখেছে যে, রামকৃষ্ণ মিশন একটি টাউট-বাটপারদের আখড়া।
***#এলিট হিন্দুদের মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রভাব ছিল সর্বগ্রাসী। এখন অবশ্য অনেকের সামনে মুখোশ খুলে গেছে যে, রামকৃষ্ণ মিশনের মূখ্য উদ্দেশ্য যীশু ও মুহাম্মদের পূজা করা। পাকিস্তানে করাচির ইতিহাসখ্যাত রামকৃষ্ণ মিশনসহ, সেখানকার সমস্ত হিন্দু মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসীদের পায়ুপথে উত্তপ্ত লৌহদণ্ড প্রবিষ্ট করে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে; তবুও হিন্দুদের সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাগলামি থামছে না। কবে যে এদের কাণ্ডজ্ঞান হবে!
*****
***তথ্যসূত্র :
ওয়েব অফ ইন্ডিয়ান লাইফ
ক্রেডল টেলস অফ হিন্দুইজম
(পুস্তক)
মডার্ন রিভিউ, দ্য স্টেটসম্যান, অমৃতবাজার পত্রিকা, ডন, প্রবুদ্ধ ভারত, বালভারতী পত্রিকার প্রবন্ধ
***#এবং
সনাতন সদানন্দ দাশ রচিত গবেষণা মূলক নিবন্ধ।
*****
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................