"ইসলামী ব্যাংকিং" হচ্ছে মুসলমানদের মাথার পিছন দিয়ে হাত ঘুরিয়ে সুদ খাওয়ার একটা ভন্ডামী ব্যবস্থা!

"ইসলামী ব্যাংকিং" হচ্ছে মুসলমানদের মাথার পিছন দিয়ে হাত ঘুরিয়ে সুদ খাওয়ার একটা ভন্ডামী ব্যবস্থা! 

সাধারণ ব্যাংক নির্দিষ্ট হারে আমানতের উপর সুদ দিবে লাভ লোকশান নির্বিশেষে। কথিত ইসলামী ব্যাংকিং গ্রাহককে কোন নির্দিষ্ট হারে সুদ না দিয়ে লাভের মাত্রার উপর সুদ দেয়। ইসলামী ব্যাংকসহ শরীয়া ভিত্তিক ব্যাংকগুলো আমানতের উপর যে লাভ দেয় তাকে যদি সুদ না বলেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে কি ফিরিয়ে দিলো? 

ইসলাম বলে সে সুদকে হারাম করেছে ব্যবসাকে হালাল করেছে। পণ্য ক্রয় বিক্রয় ব্যতিত অর্থের উপর অতিরিক্ত লাভকেই ইসলাম সুদ বলে। ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে আপনি সেটাই গ্রহণ করেছেন। ইসলাম দূরদর্শী কোন মতবাদ নয় বলেই সুদকে হারাম করেছে। আজকের পৃথিবীতে ব্যবসা বাণিজ্য ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যাংকি ছাড়া কল্পনা করা যায় না। আর সেই ব্যবসার মূল কথা গ্রাহকের আমানতের উপর সুদ সুবিধা দেয়া। একই সঙ্গে গ্রাহককে নির্দিষ্ট হারে ঋন দেয়া হয় সুদের বিনিময়ে। এই বাস্তবতায় কথিত ইসলামী দেশগুলো এমনকি ইসলামী খিলাফত বা শরীয়া শাসিত দেশগুলোর ব্যাংকিংও সুদ নির্ভর। কিন্তু ইসলাম এইখানে অকার্যকর হয়ে যায় দেখে "ইসলামী ব্যাংকিং" নাম দিয়ে সুদমুক্ত ব্যাংকিং ঘোষণা দিয়ে মাথার পিছন দিয়ে সুদ খাওয়াখাওয়ি চলে!

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ইসলামী বন্ড বাজারে ছেড়েছে যেখানে সরকার নির্দিষ্ট হারে সুদের অঙ্ক উহ্য রেখে মুহাফার হারের উপর গ্রাহককে লাভ দিবে। সাধারণ ব্যাংকিংয়ে সেটা নির্দিষ্ট মার্জিনে গ্রাহককে জানিয়ে আমানত নেয়া হয়। বাংলাদেশে "সুদমুক্ত ব্যাংকিং" দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে! একইসঙ্গে সব কিছুকে ইসলাম ও মুসলমানিকরণের প্যানইসলামিজমের চেষ্টা তো থাকছেই।  আগে মুসলমানরা ব্যাংক থেকে সোজা সুদ নিত এখন মাথার পিছন থেকে হালাল উপায়ে সুদ নিতে আগ্রহী। ইসলামে আধুনিক যুগের অনুপযুক্ত সুদ ও ব্যাংকিংয়ের সমস্যার বিষয়টা যুগের পরিবর্তনে সামনে চলে আসলে আলেম ওলামারা ইজমা কিয়াসের মাধ্যমে এসব হালাল ব্যাংকিং ফর্মূলা বাজারে আনে যা কুরআন হাদিসের কোথাও অনুমোদন নেই! মূলত মদিনার ইহুদিদের সুদের কারবার ও ঋন দেয়ার ব্যবসা দেখেই সেটা থেকে মুসলমানদের দূরে রাখতে ও ইহুদিদের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করতে সুদকে হারাম করা হয়েছিল। মধ্যযুগে আরবের ছোট্ট একটা গন্ডির ধর্ম এই একুশ শতক পর্যন্ত দেখতে পাবে না সেটাই স্বাভাবিক। ব্যাংকিং ব্যবস্থার কথা যদি সে যুগে কেউ চিন্তা করতে পারত সে কিছুতে সুদকে হারাম করার মত হটকারিতা করত না। আশা করি ব্যাংকের সুদ দেয়া ও নেয়াকে নিশ্চয় চক্রবৃদ্ধি হারে মহাজনী সুদের কারবারকে আমরা এক করে ফেলব না!

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted