বসনিয়া সীমান্তে বাংলাদেশী পাকিস্তানী আফগানিস্তানীরা প্রচন্ড শীতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এইসব দেশের লোকজন সব সময় ইসলামী শাসন চায়। দেশে যারা একটু লিবারাল পোশাক ও জীবনযাপন করতে চায় তাদেরকে এরা পশ্চিমাদের মত 'উলঙ্গ' হয়ে চলা এখানে চলবে না, এইটা আমেরিকা না, এইটা মুসলমানের দেশ এইখানে এইসব বেয়াল্লাপণা চলবে না" -এইসব খিস্তি করেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে নানা ঘুর পথে ইউরোপে ঢুকার চেষ্টা করছে। খালি একবার ঢুকতে পারলেই হলো, তারপর ওখানকার বাম ও লিবারালদের বগলের নিচে থেকে হালাল শপের দাবী উঠাবে। মসজিদ, ইসলামিক সেন্টার, মাদ্রাসা, হিজাব মাই চয়েজ, অধিক বাচ্চা পয়দা করে মুসলমান সংখ্যা বাড়ানোর কার্যক্রম তো আছেই। মাঝে মাঝে নবী প্রেমিকদের প্রতিশোধে ছুরি নিয়ে হামলে পড়া, শরিয়ার দাবী, ইসলামিক পার্টি ...
আমি অভিবাসনের পক্ষে। পৃথিবীতে সবারই আছে ভালো ও উন্নত জীবনযাপন করার অধিকার। অনুন্নত দেশের মানুষজনকে সুযোগ দিতে হবে উন্নত বিশ্বের। কিন্তু তার আগে মুসলিম জাতীয়তাবাদের ওআইসি ভেঙ্গে দিতে হবে। এটা না ভাঙ্গলে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ থেকে কি করে বেরিয়ে আসবে মুসলমানরা? কাফের মুসলমান এই বিভেদ সবার আগে ভুলতে হবে। হারাম হালালের ছুৎমার্গ ভুলতে হবে। ইসলামী শাসন ইসলামী রাষ্ট্র এই চিন্তা ত্যাগ করতে হবে। "মুসলিম রাষ্ট্র" এই কনসেপ্ট বাদ না দিলে মুসলমানদের কি করে অন্যরা বিশ্বাস করবে? তারা যে মুসলিম জাতীয়তাবাদ দিয়ে অভিবাসী সমাজে বিভেদের রাজনীতি শুরু করবে না তার গ্যারান্টি কি?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................