ধরা যাক, কারো ক্যান্সার হয়েছে। সে যদি ডাক্তারের কাছে না গিয়ে, নিজেকে কোট-প্যান্ট অথবা শাড়ি-গহনায় সুসজ্জিত রেখে, এই ভয়ঙ্কর ঘাতকব্যাধি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে- সেটা কী বুদ্ধিমানের কাজ হবে?
সনাতনী সমাজের শরীরে কেন এই সর্বনাশা ক্ষয়রোগ ― সেই রোগের কারণ অনুসন্ধান করা এবং সেই রোগের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা যদি করা না যায়, তাহলে এই জাতির পরিণতি কী হতে চলছে - তা সহজেই অনুমেয়। কেননা শতভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও, বহু দেশ থেকে সনাতনীদের নাম-নিশানা ইতোমধ্যেই মুছে গেছে।
সনাতনী সমাজের শরীরে কেন এই সর্বনাশা ক্ষয়রোগ ― সেই রোগের কারণ অনুসন্ধান করা এবং সেই রোগের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা যদি করা না যায়, তাহলে এই জাতির পরিণতি কী হতে চলছে - তা সহজেই অনুমেয়। কেননা শতভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও, বহু দেশ থেকে সনাতনীদের নাম-নিশানা ইতোমধ্যেই মুছে গেছে।
সনাতনীদের প্রধান সমস্যা তাদের বৈরাগ্যবাদী আধ্যাত্মিক দর্শন ও ধর্ম বিশ্বাস। এই আহাম্মকদের কে বোঝাবে যে, 'কামিনী-কাঞ্চন' ত্যাগ করলে পৃথিবীতে টিকে থাকা যাবে না। সনাতনীদের ধর্ম- জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি বরং অমানবিক ভাবে খণ্ড-বিখণ্ড করেছে― বর্ণভেদ তথা অগণিত জাতপাতে বিভক্ত হয়ে সনাতনীরা একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সনাতনীরা বিড়াল কুকুর স্পর্শ করে, ইতর প্রাণী পূজা করে, অনেকে গোমূত্র পান করে ― অথচ বর্ণবাদীরা স্বজাতির একাংশকে স্পর্শ করা অপবিত্র কাজ মনে করে। যে মতাদর্শ স্বজাতিকে ঘৃণা করতে শেখায়- সেটা কীভাবে সভ্য-মানুষের ধর্ম হয়? এটাতো নিকৃষ্টতম বর্বরদের ধর্ম!
ধর্মবিশ্বাসী সনাতনীরা অনাদিকাল ধরে প্রচণ্ড নারীবিদ্বেষী। অতীতে ভারতীয় সনাতনীরা নারীদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে - দীর্ঘকাল বিধবা নারীদের জীবন্ত অবস্থায় চিতায় পুড়িয়ে হত্যা করেছে; এখন কাল্পনিক স্বর্গ-দর্শনের লোভে- দেদারসে কন্যাশিশু-ভ্রূণ হত্যা করছে। ফলে, এই জাতির নারী-পুরুষ জন-ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। যে নারীরা সন্তান জন্ম দিয়ে সৃষ্টি টিকিয়ে রেখেছে, মাতৃগর্ভে থাকাকালে সেই নারীদের হত্যা করার সময় ইতরেরা কী একবারও ভেবে দেখেছে, যে তাদের এই নারী নিধনযজ্ঞ- একটি জাতিকে বিলুপ্ত করে ফেলার নামান্তর! আসলে ধর্মান্ধতা এদের মগজ পচিয়ে দিয়েছে।
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
উপায় একটাই। পেছন দিকে না হেঁটে সামনের দিকে তাকানো। প্রাগৈতিহাসিক যুগের শাস্ত্রীয় নোংরা-আবর্জনা সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়ে, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোয় পথ চলতে হবে।
দেবাশীষ মুখার্জী
১১-০২-২০২১ AD
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................