ফুটানকি রামা! হাতে হেরিকেন, গায়ে জামা!!

ফুটানকি রামা! হাতে হেরিকেন, গায়ে জামা!!

পৃথিবীর সর্বাধিক সংখ্যক দারিদ্র্য ও নিরক্ষর  জনগোষ্ঠীর বসবাস ভারত রাষ্ট্রটিতে। যে রাষ্ট্র নিজের দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে চরম-ব‍্যর্থ, সেই দেশটির বুদ্ধি-বিবেচনা, কাণ্ড-কারখানা দেখুন ―

ভারত সরকার অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে - চলতি অর্থ বছরের কেন্দ্রীয়-বাজেটে বিভিন্ন দেশকে সহায়তা হিসাবে বরাদ্দ রেখেছে ৭,১৪৮ রুপি। এরমধ্যে ভুটানের জন্য ৩,০০৪ কোটি রুপি বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। নেপালের উন্নয়নের সহায়তার জন্য গত বছরের বরাদ্দকৃত ৮৮০ কোটি রুপি থেকে, ৯৯২ কোটি রুপিতে উন্নীত করা হয়েছে। আফগানিস্তানের সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ ৩৫০ কোটি রুপি এবং মিয়ানমারের সাহায্যের জন্য ৪০০ কোটি রুপি ধরা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার ও বাংলাদেশের জন্য সমপরিমাণ ২০০ কোটি রুপি এবং মালদ্বীপের জন্য ২৫০ কোটি রুপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলির জন্য ৩০০ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। ইউরেশীয় দেশগুলির জন্য ১০০ কোটি রুপি এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলির জন্য ৪০ কোটি রুপি ব্যয় ধরা হয়েছে। পৃথকভাবে, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সহায়তার জন্য ১৩০ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে।

সর্বাধিক ৩,০০৪ কোটি টাকা সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যে ভুটান রাষ্ট্রের জন্য। সেই ভুটানের হি†ন্দু জনসংখ্যা হার এখন ২২.৬ শতাংশ। কয়েক বছর আগেও যা ছিল ৩০ শতাংশ। ভুটান সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌ†দ্ধ জনগোষ্ঠীর অত‍্যাচারে, সেখানকার হি†ন্দুরা- ভুটান ছেড়ে চলে যাওয়া নিরাপদ মনে করছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে যে নেপালের জন্য; সেই নেপাল মাত্র কয়েকদিন আগে চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষের সময়- ভারতের জায়গা নিজের বলে দাবী করে- মানচিত্র পরিবর্তন করার মধ্য দিয়ে, সমগ্র বিশ্বে ঝড় তুলে ভারতের উপর প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। সেই ডামাডোলের মধ্যে সুযোগ বুঝে, নেপালের ভূখণ্ড দখল করে নিয়ে গেছে চীন। হলে কি হবে, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেপালবাসীর এখনো চীনের মোহ এতটুকু কমেনি।

৩৫০ কোটি রুপি সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে আফগানিস্তানের জন্য। যে আফগানিস্তান থেকে হি†ন্দু ও শি†খরা পালানোর পথ খুঁজে পায়নি; তাদের নির্বিচারে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। অল্প কয়েকজন (ভূমি-সন্তান) হি†ন্দু ও শি†খ, লুকিয়ে রাজধানী কাবুলে বসবাস করত; তাদের নির্মূল করতে কিছুদিন আগে একটি উপাসনালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়েছে। কংগ্রেস ও বামপন্থী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত কেরলের এক ধর্মনিরপেক্ষ জে*হাদি, পাকিস্তানি জে*হাদিদের সঙ্গে মিলে- আফগানিস্তানে কা*ফের-নির্মূল অভিযানে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশের মোহাম্মদ তানভীন নামক এক যুবক, ঐ বোমা হামলায় বীরত্ব প্রদর্শন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে।

এরকম আরও অনেক তথ্য তুলে ধরতে পারি, আপাতত এই পর্যন্তই থাক।

কৃত্তিবাস ওঝা কাশীরাম
০৩/০২/২০২১খ্রিঃ

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted