রাস্তাঘাটে ইসলামী দাওয়াত দেয়া টিমের উত্তর।

রাস্তাঘাটে ইসলামী দাওয়াত দেয়া টিমের সঙ্গে দেখা হয় অনেকেরই। তাদের হাস্যকর যুক্তি, ফালতু উপমা, উদ্ভট দাবী শুনেও আপনার ভিন্ন চিন্তার চর্চার অভাবে আপনি তাদের মুখের উপর পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারেন না। যদি এভাবে চিন্তা করতে পারেন আর যদি একটু সাহস থাকে তাহলে এইরকম টিমকে এই প্রশ্ন বা মতামতগুলি জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।

হুজুরদের কমন প্রশ্ন: এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড, চাঁদ সূর্য গ্রহ একটা সুনিপুণ নিয়ম মেনে চলছে এর পিছনে নিশ্চয় কোন নিয়ন্ত্রক আছে? সেই নিয়ন্ত্রক অবশ্যই সবচেয়ে যুক্তিপূর্ণ ধর্মের স্রষ্ঠা? তাহলে আমাদের কি উচিত নয় সেই স্রষ্ঠার কথা মত তার দেখানো পথ ধরে চলা?

আপনার প্রশ্ন: হুজুর সুনিপুণ নিয়ম তো ঠিক মত হতে দেখি না। এই যেমন ধরের সূর্যের আলো এই পৃথিবীতে ঠিক মত পড়ে না শুধুমাত্র পৃথিবীর বেঢপ সাইজ ও পৃথিবী যে এঙ্গেলে ঘুরে সে কারণে। এই ত্রুটির কারণে এমন দেশও আছে যেখানে মাঝরাতেও সূর্য উঠে থাকে আকাশে! আবার কোথাও ছয় মাস দিন, কোথাও ছয় মাস রাত! আবার দেখেন, আমাদের এই গ্রহটা ত্রুটিপূর্ণ একটি গ্রহ বলেই এখানে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা নেমে যায় যেটা কোন মানুষের জন্য উপযোগী নয়। আবার এমন গরম পড়ে যখন দিনের বেলা মানুষ বের হলে ঝলসে যায়। এগুলো তো একজন দক্ষ কারিগরের উদাহরণ হতে পারে না। আপনিই বলেন, পৃথিবী কি সুনিপুণ?

হুজুরের প্রশ্ন: এই যে আমাদের রিজিক যিনি দিচ্ছেন, সেই মহান রব, আমরা কি তার প্রতি সন্তুষ্ঠি জানাতে পারি না? আমাদের খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন কে? সকল ধর্ম জাতি সম্প্রদায় কিন্তু সেই একজনের কথাই বলেন। তিনি হচ্ছে মহান স্রষ্ঠা। আর আমাদের বুঝতে হবে সেই মহান স্রষ্ঠা মনোনীত ধর্ম কোনটি। অতএব রিজিকদাতার নির্বাচিত ধর্মটিকেই কি আ্মাদের বেছে নেওয়া উচিত নয়?

আপনার উত্তর: হুজুর এ কেমন রিজিকদাতা বলেন তো? ব্যাঙ পোকামাকড় খায়। আবার ব্যাঙকে সাপ খেয়ে বাঁচে। সাপকে আবার বেজি খেয়ে বাঁচে! একের পিছনে অন্যের খেয়ে পরে বেঁচে থাকাটা কি কোন মহান কর্ম হলো? এই জগত একে অন্যের খাদ্য ও শিকার হওয়ার মধ্যে রিজিকদাতার প্রতি বরং প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, কৃতজ্ঞতা নয়। তাছাড়া সাপ আর ব্যাঙের বেঁচে থাকার প্রার্থনা মেনে নিলে আরেকজনের রিজিকের কি হবে? কিছু বুঝলেন হুজুর?

হুজুরের প্রশ্ন: সৃষ্টির পিছনে অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা থাকবে। এই যে আপনার গায়ে টি-শার্ট, এটি তো কেউ সৃষ্টি করেছে তাই না? আপনার মোবাইল ফোন, এটি সৃষ্টি করেছে কেউ না হলে এটি আসল কোত্থেকে বলুন? এ জন্য ভাই আমাদের একজন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতে হবে। আর সেই সৃষ্টিকর্তার একমাত্র মনোনীত ধর্মকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে। ঠিক কিনা বলেন?

আপনার উত্তর: ঠিক বলেছেন হুজুর। তাহলে সৃষ্টারও একজন সৃষ্টিকর্তা আছে! কিন্তু যদি বলেন তিনি স্বয়ম্ভু মানে নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছেন, তাহলে এই বিশ্বজগত নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছে সেটা মানতে সমস্যা কোথায়? তারপরও যদি ধরে নেই সৃষ্টিকর্তা আছেই, তাহলে সেই সৃষ্টিকর্তাই যে আপনার অনুসরণ করা ধর্মের প্রবর্তক তার তো কোন গ্যারান্টি নেই। মরার পর যদি দেখেন সৃষ্টিকর্তা আছে কিন্তু আপনার অনুসরণ করা ধর্ম তার নয়! তখন কি করবেন?

এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলি তৈরি করতে ভ্যাটিকান সিটি ও ইসকন থেকে যৌথভাবে ৩০-৩০ ষাট ডলার পাঠানো হয়েছে। 'আগে আসলে আগে পাবেন' ভিত্তিতে প্রশ্ন প্রতি ১০ ডলারে অর্ডার নেয়া হচ্ছে।

#সুষুপ্তপাঠক
#susuptopathok
Susupto Pathok

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted